পুলিশ সততার সাথে কাজ করবে, সেটাই চাই: প্রধানমন্ত্রী

11

পূর্বদেশ অনলাইন
পুলিশ এখন মানুষের ‘আস্থা ও বিশ্বাস’ অর্জন করেছে মন্তব্য করে এ বাহিনীর সদস্যদের সততার সঙ্গে দায়িত্ব পালনের তাগিদ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রোববার এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, “আপনারা জনগণের পাশে দাঁড়িয়েছেন, জনগণের পাশে থাকবেন এবং জনগণের কল্যাণে কাজ করে যাবেন, সেটাই আমাদের লক্ষ্য। সেই লক্ষ্যেই কিন্তু বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সরকারে আসার পর পুলিশ বাহিনীর জন্য যত রকমের সুযোগ সুবিধা করা এবং বিশেষায়িত বাহিনী গড়ে তোলা, মানুষের সেবাটা মানুষের দোরগোড়ায় পৌছে দেওয়া, মানুষের কাছে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা আমরা করে যাচ্ছি। “কাজেই সেইভাবে সততার সাথে আপনারা কাজ করে যাবেন, সেটাই আমরা চাই।” জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে দেশের ৬৫৯টি থানায় নারী, শিশু, বয়স্ক ও প্রতিবন্ধীদের সেবায় স্থাপিত সার্ভিস ডেস্কের উদ্বোধন এবং গৃহহীনদের জন্য বানানো ঘর হস্তান্তর করা হয় এ অনুষ্ঠানে। গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে অনুষ্ঠানে যুক্ত হন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, “জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর যে ঐতিহাসিক বার্তাটা, এই পুলিশকে জনগণের পুলিশ হতে হবে… আমি মনে করি, এই হেল্প ডেস্ক নির্মাণের মাধ্যমে নারী, শিশু, বয়স্ক, প্রতিবন্ধীদের সেবা দেওয়া এবং গৃহহীনদের গৃহ দেওয়া, এটা জনগণের পুলিশেরই কাজ। কাজেই আজকের পুলিশ জনগণের পুলিশ হিসেবেই আপনারা আজ মানুষের আস্থা, বিশ্বাস অর্জন করেছেন।” অনুষ্ঠানে সবাইকে রোজার মোবারকবাদ জানিয়ে বাংলা নববর্ষ ও ঈদের আগাম শুভেচ্ছা জানান প্রধানমন্ত্রী।
শোষিত বঞ্চিত মানুষের অধিকার আদায়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আজীবন সংগ্রামের কথা তুলে ধরে ১৯৭৫ সালের ১৫ অগাস্ট জাতির পিতাকে নির্মমভাবে হত্যা করার কথাও অনুষ্ঠানে স্মরণ করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, জাতির পিতাকে হত্যার পর বাংলাদেশ স্বাধীনতার আদর্শ থেকে বিচ্যুত হয়ে যায় এবং ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকারে এলে জনগণের কল্যাণে কাজ শুরু করে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব মো. আখতার হোসেন, পুলিশ মহাপরিদর্শক বেনজীর আহমেদ রাজারবাগ পুলিশ লাইনসে এ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।