পুলিশ পরিচয়ে তল্লাশি, পরে ডাকাতি

8

ঈদগাঁও প্রতিনিধি

গভীর রাতে পুলিশ পরিচয়ে মাইক্রোবাসযোগে সশস্ত্র ডাকাতরা অস্ত্রের মুখে মোটরসাইকেল আরোহীদের জিম্মি করে নগদ টাকা, দামি মোবাইল সেট লুটে নিয়েছে। এসময় ডাকাতের মারধরে আহত হয়েছেন ব্যবসায়ীসহ তিনজন।
গতকাল রবিবার ভোরগত রাত আড়াইটার সময় চকরিয়া উপজেলার খুটাখালী ইউনিয়নের সেগুন বাগিচা সড়কের তক্তারব্রিজ নামক এলাকায় ঘটে ডাকাতির এ ঘটনা।
অভিযোগে জানা গেছে, এদিন রাতে খুটাখালী ইউনিয়নের সেগুন বাগিচা গ্রামের পান ব্যবসায়ী মো. ইলিয়াছ মোটরসাইকেলে করে বাড়ি থেকে বাজারে ফিরছিলেন। এসময় তাদের মোটরসাইকেল তক্তারব্রিজ নামক এলাকায় পৌঁছলে রাস্তার পাশে দাঁড়ানো মাইক্রোবাসে থাকা লোকজন তাদের গতিরোধ করে প্রশাসনের লোক পরিচয় দিয়ে তল্লাশি করে। একপর্যায়ে তাদের হাত-পা বেঁধে ফেলে ধানি জমিতে ফেলে দেয়। তখন তাদের কাছ থেকে নগদ ৪০ হাজার টাকা ও মোবাইল সেট ছিনিয়ে নেয় ডাকাতের দল।
অপরদিকে বাজার থেকে মোটরসাইকেলযোগে ঘরে ফিরছিলেন ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দীন। তাদেরকে একই কায়দায় বেঁধে মারধর করে টাকা মোবাইল ছিনিয়ে নেয় ডাকাতের দলটি। এর কিছুক্ষণ পর খুটাখালী বাজার থেকে সেগুন বাগিচা যাচ্চিলেন মোটরসাইকেল রাইডার ছোটন। তাকেও গতিরোধ করে মারধর করে টাকা-মোবাইল ফোন কেড়ে নেয় তারা।
ছোটন বলেন, তারা সংখ্যায় ৭-৮ জন। প্রথমে তারা পুলিশের লোক পরিচয় দেয়। তাদের প্রত্যকের হাতে অস্ত্র রয়েছে। আমি রাইডার পরিচয় দেয়ার পর বারবার জিজ্ঞাসা করে পান ব্যবসায়ীরা কোথায়। অস্বীকার করায় হাতে-পায়ে আঘাত করে বেঁধে রাস্তার পাশে বসিয়ে রাখে। পরে মাইক্রোবাসে করে পালিয়ে যায়।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন গত বছরের ২১ জুন একই এলাকায় ফিল্মি কায়দায় পথচারীদের গতিরোধ করে ডাকাতি করে দুর্বৃত্তরা। চলতি বছরেরও আগস্ট মাসেও চালক ফরিদকে কুপিয়ে জখম করে।
স্থানীয় ওয়ার্ড মেম্বার নুর মোহাম্মদ পেটান বলেন, বিষয়টি লোকমুখে শুনে প্রশাসনকে অবহিত করা হয়েছে।
খুটাখালী ইউনিয়নের দায়িত্বপ্রাপ্ত চকরিয়া থানা পুলিশের এসআই মো. ইস্রাফিল জানিয়েছেন, এমন ঘটনা কেউ জানায়নি। আপনার মাধ্যমে জানলাম। খোঁজ-খবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।