পুলিশ দেখে নদীতে ঝাঁপ ৩০ ঘণ্টা পর লাশ উদ্ধার

23

চন্দনাইশ উপজেলার পূর্ব দোহাজারীতে পুলিশ দেখে নদীতে ঝাঁপ দিয়েছিলেন সাবের আহমদ (৫৫)। এরপর প্রায় ৩০ ঘণ্টা পর ভেসে উঠে তার লাশ। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে সাবেরের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করেছে।
জানা গেছে, সাবের আহমদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা রয়েছে। গত ১ ডিসেম্বর রাত ৮টায় দোহাজারী তদন্তকেন্দ্রের পুলিশ দোহাজারী পৌরসভার বার্মা কলোনিতে আসামি গ্রেপ্তারে অভিযান চালায়। এ সময় পুলিশ দেখে সাবের আহমদ পালাতে গিয়ে শঙ্খনদীতে ঝাঁপ দেন। স্থানীয়রা রাত ৮টা থেকে তার সন্ধান করে এবং পরে গত ২ ডিসেম্বর দুপুর থেকে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের একটি দল দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত তল্লাশী চালিয়েও তাকে খুঁজে পায়নি। এ সময় উৎসুক জনতা ভিড় জমায়। সন্ধ্যায় ডুবুরী দল চলে গেলেও পরিবারের সদস্যরা নদীর পাড়ে রাতে অবস্থান নেয়। রাত আড়াইটার দিকে শঙ্খনদীতে তার লাশ ভেসে উঠলে পুলিশ গিয়ে লাশ উদ্ধার করে।
দোহাজারী তদন্তকেন্দ্রের ইনচার্জ মনিরুল ইসলাম ভুইয়া জানান, সাবের আহমদের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। তিনি বলেন, নিয়মিত অভিযানের অংশ হিসেবে ১ ডিসেম্বর বার্মা কলোনিতে পুলিশ অভিযান চালায়। অভিযানকালে কাউকে নদীতে ঝাঁপ দিতে তারা দেখেননি। ২ ডিসেম্বর সকালে খবর আসে শঙ্খব্রিজ থেকে এক ব্যক্তি আত্মহত্যার চেষ্টা করছে। এ সময় ফায়ার সার্ভিসকে সহায়তা করতে পুলিশ ঘটনাস্থলে যাওয়ার পর স্থানীয়রা সাবের আহমদের বিষয় সম্পর্কে জানান।