পুলিশের বিচ্ছিন্ন কব্জি সংযোজন

82

নিজস্ব প্রতিবেদক

লোহাগাড়ায় ‘দা’ দিয়ে কুপিয়ে পুলিশ কনস্টেবলের হাত থেকে কবজি বিচ্ছিন্ন করার ঘটনায় হামলাকারীকে খুঁজে না পেলেও তার স্ত্রীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। হামলাকারীর স্ত্রীও এ ঘটনায় দায়ের করা মামলার আসামি।
অন্যদিকে, দীর্ঘ ৯ ঘন্টাব্যাপী অপারেশন করে কনস্টেবল জনির বিচ্ছিন্ন কব্জি সংযোজন করা হয়। বর্তমানে তিনি ওই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন এবং পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথাও বলেছেন বলে জানান লোহাগাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আতিকুর রহমান।
গত রবিবার রাতে বান্দরবান জেলার লামা উপজেলায় অভিযান চালিয়ে ওই নারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানান চট্টগ্রামের সাতকানিয়া সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শিবলী নোমান।
জানা গেছে, রবিবার সকাল পৌণে ১০ টার দিকে লোহাগাড়া উপজেলার পদুয়া ইউনিয়নের ৯ নম্বর লালারখিল ওয়ার্ডে আসামি ধরতে গিয়ে হামলার শিকার হন জনি খান নামে এক পুলিশ কনস্টেবল। আসামি কবির আহাম্মদ কনস্টেবল জনিকে ধারালো দা দিয়ে কুপিয়ে তার বাম হাত থেকে কবজি বিচ্ছিন্ন করে পালিয়ে যান। পুলিশ অভিযানে নিয়ে গিয়েছিল কবিরের বিরুদ্ধে মারামারির ঘটনায় দায়ের করা মামলার বাদী আবুল হোসেন কালুকেও। পালিয়ে যাওয়ার সময় কবির বাদী কালুকেও কুপিয়ে আহত করেন।
পলাতক কবির আহামদ (৩৫) লোহাগাড়ার পদুয়া ইউনিয়নের লালারখীল গ্রামের মৃত আলী হোসেনের ছেলে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শিবলী নোমান পূর্বদেশকে জানান, হামলার ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে লোহাগাড়া থানায় কবির ও তার স্ত্রী রুবি আক্তার এবং কবিরের মাকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। কবিরসহ আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান শুরুর পর বান্দরবানের লামায় তাদের অবস্থান শনাক্ত করে অভিযান চালানো হয়। তবে সেখানে শুধুমাত্র রুবিকে পাওয়া যায়।
এছাড়াও আহত জনি খানকে প্রথমে লোহাগাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। এরপর তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। রবিবার বিকেলে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য হেলিকপ্টারে করে ঢাকায় নিয়ে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এ বিষয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শিবলী নোমান আরও বলেন, কনস্টেবল জনি খান বিপদমুক্ত আছেন। হাতের বিচ্ছিন্ন অংশ প্রতিস্থাপনে এক দফা অস্ত্রোপচার হয়েছে। তবে প্রতিস্থাপনের জন্য আরও দীর্ঘমেয়াদি চিকিৎসা প্রয়োজন বলে চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন।
লোহাগাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আতিকুর রহমান পূর্বদেশকে বলেন, গত রবিবার বিকেল ৫ টায় ঢাকার আল মানার হাসপাতালে দীর্ঘ ৯ ঘন্টাব্যাপী অপারেশন করে জনির বিচ্ছিন্ন কব্জি সংযোজন করা হয়। বর্তমানে তিনি ওই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন এবং পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথাও বলেছেন। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, অস্ত্রোপচারটি সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে।