পুরনো নকশায় হবে শহীদ মিনার নির্মাণ কাজ

21

পূর্বদেশ অনলাইন
চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার নগরের কে সি দে সড়ক এলাকায় অবস্থিত। ১৯৬২ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি শহীদ মিনারটি নির্মিত হয়। এটির তত্ত্বাবধানের দায়িত্বে আছে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন। তবে এই মিনারটি দুই স্তম্ভ বিশিষ্ট। একটি ছোট এবং অন্যটি উঁচু।

সাংস্কৃতিক কমপ্লেক্স প্রকল্পের অধীনে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারটি নতুনভাবে তৈরির জন্য ভাঙা হয়েছে। গণপূর্ত অধিদফতর সূত্র জানিয়েছে, নির্মাণকাজ শেষ হবে ৯ মাসের মধ্যে। পুরনো নকশায় শহীদ মিনারটি নির্মাণ করা হবে। নকশা পরিবর্তনের সুযোগ নেই।

শুক্রবার (১৪ জানুয়ারি) সকালে দেখা গেছে, সাংস্কৃতিক কমপ্লেক্স নির্মাণ উপলক্ষে শহীদ মিনার এলাকায় কাজ চলছে। স্কেভেটর দিয়ে মাটি কাটা হচ্ছে।

সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় চট্টগ্রাম মুসলিম ইন্সটিটিউট হল ভেঙে সাংস্কৃতিক কমপ্লেক্স নির্মাণ করছে। ২৩২ কোটি টাকার প্রকল্পের কাজ শুরু হয় ২০১৮ সালের জানুয়ারি মাসে। প্রকল্পের অধীনে মুসলিম ইন্সটিটিউট হল ও পাবলিক লাইব্রেরি ভেঙে ১৫ তলা গণগ্রন্থাগার ও আট তলা অডিটরিয়াম ভবন নির্মাণ করা হচ্ছে।

রাস্তার বিপরীত পাশে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার অংশে সাংস্কৃতিক কমপ্লেক্স প্রকল্পের আওতায় ২৫০ জন ধারণক্ষমতার একটি গ্যালারিসহ মুক্তমঞ্চ এবং পশ্চিম পাশে নিচতলায় ক্যাফে ও দুই তলায় মিউজিয়াম তৈরি করা হবে। আর মাঝখানে থাকবে শহীদ মিনার। উভয়পাশের সংযোগ ঘটাতে রাস্তার ২১ ফুট ওপর দিয়ে হাঁটার ব্যবস্থা ও একটি প্লাজা নির্মাণ করা হবে।

গণপূর্ত অধিদফতরের নির্বাহী প্রকৌশলী রাহুল গুহ জানান, গত ২৭ ডিসেম্বর থেকে স্থাপনাটি সংস্কারের লক্ষ্যে ভাঙার কাজ শুরু হয়েছে। আমরা ৯ মাস সময় পেয়েছি। তাই দ্রুত কাজ চলছে। আশা করছি, ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসে নতুন নির্মিত শহীদ মিনার শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য উন্মুক্ত করা যাবে।

তিনি আরও বলেন, বিকল্প হিসেবে মিউনিসিপ্যাল স্কুল মাঠে শহীদ মিনার নির্মাণকাজ চলছে। দুয়েক সপ্তাহের মধ্যে সেটির কাজ শেষ হবে।