পিছিয়ে গেল ভিকটিমের সাথে ধর্ষণ মামলার আসামির বিয়ে

15

নিজস্ব প্রতিবেদক

ধর্ষণ মামলার ভিকটিম ও আসামির মধ্যে বিয়ে হলো না আদালতে। বৃষ্টির কারণে আসামির আত্মীয় স্বজনরা আদালতে হাজির হতে না পারায় এই বিয়ে পিছিয়ে যায় বলে জানা গেছে। গ্রেপ্তার মো. সাগর ও রাজিয়ার (ছদ্মনাম) মধ্যে আদালতে বিয়ে হওয়ার কথা ছিল গতকাল সোমবার।
চট্টগ্রাম জেলা ও দায়রা জজ আজিজ আহমেদ ভূঞার আদালতে এ মামলার শুনানি হয়। এ সময় আসামি মো. সাগর আদালতে উপস্থিত ছিলেন। বর মো. সাগর বরিশাল জেলার বাসিন্দা হলেও নগরের বায়েজিদ বোস্তামী থানার কুঞ্জছায়া আবাসিক এলাকায় বসবাস করেন। তার পিতার নাম ইদ্রিস হাওলাদার।
আদালত থেকে প্রাপ্ত তথ্যমতে, চাকরির সূত্রে পরিচয় হয়ে দুইজনের মধ্যে সুসম্পর্ক গড়ে উঠে। সেই সম্পর্কের সূত্র ধরে রাজিয়ার সঙ্গে সাগরের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। সাগর রাজিয়াকে বিয়ে করার প্রস্তাব সরলভাবে বিশ্বাস করে। সাগরের কথামতো রাজিয়া সাগরের সঙ্গে ঢাকা, বরিশাল ও চট্টগ্রামের বিভিন্ন ভাড়া বাসায় স্বামী-স্ত্রী হিসেবে বসবাস করে। ইতিমধ্যে তার একটি কন্যা সন্তানের জন্ম হয়। বর্তমানে তার বয়স ১ বছর ৪ মাস। সাগর বর্তমান ঠিকানায় বাসা ভাড়া নিয়ে স্বামী-স্ত্রী হিসাবে বসবাস করে। দীর্ঘদিন থেকে কাবিননামা রেজিস্ট্রি না করায় সাগরকে জোর করলেও সাগরের পিতা ও ভাইয়ের সহযোগিতায় সব বিষয় সম্প্রতি অস্বীকার করে। চট্টগ্রাম নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ মামলার আবেদন করলে আদালত হাটহাজারী থানায় মামলার নেওয়ার নির্দেশ দেন। এ মামলায় আসামি করা হয় মো. সাগর, সাগরের ভাই রেজাউল করিম শাকিল ও পিতা মোহাম্মদ ইদ্রিস হাওলাদার।
এ বিষয়ে চট্টগ্রাম জেলা পিপি শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী জানান, গ্রেপ্তার আসামি মো. সাগর ধর্ষণ মামলার গ্রেপ্তার হয়েছে। আদালতে বাদী ও বিবাদীদের উপস্থাপন করা হয়েছে। সেখানে বাদী ও বিবাদী আদালতে বিয়ে করবেন বলে জানিয়েছেন। তাদের এক বছর চার মাসের একটি সন্তান রয়েছে। সেটা মানবিক বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে। তিনি আরও বলেন, রবিবার আসামি মো. সাগর আদালতে বিয়ে করার কথা জানিয়েছিল। আজকে আদালতে বিয়ের কথা থাকলেও আসামির পরিবারের সদস্যরা প্রকৃতিক দুর্যোগের কারণে বরিশাল থেকে এসে আদালতে উপস্থিত হতে পারেনি। আদালত আগামী ১৭ আগস্ট মামলার পরবর্তী দিন ধার্য করেছে। সেই দিন আদালতে বিয়ে হবে। বিয়ের পরে জামিন শুনানি অনুষ্ঠিত হবে। আসামি মো. সাগরকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে আদালতের কার্যক্রম শেষে।