পাহাড়ে ঝুঁকিপূর্ণ বসবাসকারীদের সরাতে আজ থেকে অভিযান

14

নিজস্ব প্রতিবেদক

পাহাড়ের পাদদেশে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাসকারীদের উচ্ছেদে অভিযান চালানো হবে আজ থেকে। গতকাল শনিবার রাতের মধ্যে সকলকে সরে যেতে নির্দেশ দিয়েছে জেলা প্রশাসন। এ বার্তা পৌঁছে দিতে বিভিন্ন পাহাড়ে জেলা প্রশাসন এবং সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে মাইকিং করা হয়।
গতকাল শনিবার বিকালে নগরীর আকবরশাহ থানা এলাকায় পাহাড়ধসে প্রাণহানির ঘটনার স্থান পরিদর্শনে গিয়ে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমানসহ সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তারা এ তথ্য জানান।
গতকাল দুপুর দেড়টায় আকবরশাহ্ থানার বিজয়নগর উত্তর পাহাড়তলীর ফিরোজশাহ এলাকা পরিদর্শনকালে ঝুঁকিপূর্ণ পাহাড়ের ঢালুতে বসবাসকারীদের জানমালের নিরাপত্তার জন্য নিরাপদ স্থানে সরে যেতে অনুরোধ করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমান।
এসময় তিনি জানান, মহানগরীতে ১৯টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রয়েছে যেখানে আশ্রয়গ্রহণকারীদের জন্য পর্যাপ্ত খাদ্য সরবরাহ নিশ্চিত করা হয়েছে। পাহাড়ধসে ক্ষয়ক্ষতি কমাতে পাহাড়ের ঢালুতে ঝুঁকিপূর্ণ স্থাপনা অপসারণে এসব এলাকায় গ্যাস, বিদ্যুৎ ও পানির সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হবে।
উল্লেখ্য, শুক্রবার রাতে নগরীর ফিরোজ শাহ এলাকায় পাহাড়ধসে চার জন নিহত ও দুই জন আহত হয়েছেন। এর আগে গত বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই ঝুঁকিপুর্ণ পাহাড়ের ঢালুতে বসবাসকারীদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে যাওয়ার জন্য মাইকিং করার পাশাপাশি লিফলেটও বিতরণ করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট এলাকার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের তদারকিতে রেড ক্রিসেন্টে, এমএম ফাউন্ডেশন, সিপিপি এর স্বেচ্ছাসেবকরা ঝুঁকিপূর্ণ পাহাড়ের ঢালুতে বসবাসকারীদের নিরাপদ আশ্রয়কেন্দ্রে সরিয়ে নেওয়ার জন্য গত ১৬ জুন থেকে কাজ করে যাচ্ছেন।
এরই ধারাবাহিকতায় চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন ইতোমধ্যেই নিরাপদে কোয়াড পি-ব্লক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ফিরোজশাহ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ওয়াই ডব্লিউ সি এ স্কুল ও হাজী হযরত (রা.) আলিয়া মাদ্রাসায় এ পর্যন্ত ৩২টি পরিবারকে সরিয়ে নিয়েছে।
এদিকে, পাহাড়ে ঝুঁকিপূর্ণ বসতি সরিয়ে নিতে নগরীতে ১৯টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে।
জেলা প্রশাসনের জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা সজীব কুমার চক্রবর্তী বলেন, যারা আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান নেবেন তাদের জন্য ফ্রি খাবার ও নাশতার ব্যবস্থা করা হয়েছে। আগামীকাল (আজ রবিবার) আকবরশাহ এলাকার ঝুঁকিপূর্ণ পাহাড়ে বসবাসকারীদের উচ্ছেদ করার মধ্যে দিয়ে অভিযান শুরু হবে। পর্যায়ক্রমে নগরীর সবক’টি পাহাড়ের ঝুঁকিপূর্ণ বসতি উচ্ছেদ করা হবে। এসব অবৈধ বসতঘর থেকে গ্যাস, বিদ্যুৎ ও পানির সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হবে।