পাহাড়ের পাদদেশে ঝুঁকিপূর্ণ বসতি থাকতে দেওয়া হবে না : মেয়র

17

 

সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী বলেছেন, বৈধ বা অবৈধ, পাহাড়ের গায়ে বা পাদদেশে ঝুঁকিপূর্ণ বসতি কিংবা স্থাপনা থাকতে দেয়া হবে না। জনস্বার্থে জানমাল রক্ষায় এ সকল বসতি ও স্থাপনা উচ্ছেদ করা হবে। তিনি গতকাল শুক্রবার বিকেলে লালখান বাজারস্থ শাহ্ গরীব উল্লাহ্ হাউজিং ও কুসুমবাগ হাউজিং সোসাইটিতে ভারী বর্ষণে পাহাড় ধসকবলিত এলাকা পরিদর্শনকালে এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, এখানে পাহাড় ধ্বসের ঘটনা ঘটলেও বড় ধরণের ক্ষয়-ক্ষতি বা প্রাণহানি ঘটেনি। তবে যে কোনো সময় বড় ধরণের বিপর্যয় ঘটবার আশংকা রয়েছে। নিকট অতীতে ভারী বর্ষায় টাইগারপাসে বড় ধরণের পাহাড় ধ্বংসের ঘটনায় অগণিত প্রাণহানি ঘটেছে। তারপরও জনসচেতনতা আসেনি। মৃত্যুভয়কে পরোয়া না করে যারা পাহাড়ের গায়ে বা পাদদেশে বসতি গড়েছেন তাদের স্বার্থেই এসব গুঁড়িয়ে দেয়া হবে। প্রশাসনসহ নগর উন্নয়নের সাথে সংশ্লিষ্ট সকল সংস্থাকে পরিবেশ ও পাহাড় সুরক্ষায় সব ধরণের কৌশলগত পদক্ষেপ গ্রহণের আহŸান জানান তিনি। বিশেষ করে রিটানিং ওয়াল ছাড়া কোনো পাহাড়ের গায়ে বা পাদদেশে আবাসন ও স্থাপনা নির্মাণের নকশা অনুমোদন না করার জন্য সিডিএ’র প্রতি অনুরোধ জানান তিনি।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ শহীদুল আলম, প্যানেল মেয়র মো. গিয়াস উদ্দিন, চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী ফরিদ, কাউন্সিলর আবুল হাসনাত মো. বেলাল, চসিক সচিব খালেদ মাহমুদ, মেয়রের একান্ত সচিব মুহাম্মদ আবুল হাশেম, অতিরিক্ত প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা মোরশেদুল আলম চৌধুরী প্রমুখ।
উল্লেখ্য, নগরীর উত্তর পাহাড়তলী ওয়ার্ডে ঝুঁকিপূর্ণ পাহাড়ের পাদদেশে বসবাসকারী ৮৫টি পরিবারের ২৫০ জন সদস্যকে ফিরোজ শাহ্ কলোনী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আশ্রয় প্রদান করা হয়। এ আশ্রয় কেন্দ্রে স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. জহুরুল আলম জসিম গত চারদিন ধরে খাবার বিতরণ করে আসছেন। এই কার্যক্রমের আওতায় নাসিরাবাদ সরকারি মডেল স্কুলে আশ্রিত ৩০টি পরিবারকে খাদ্য সহায়তা দেয়া হচ্ছে। বিজ্ঞপ্তি