পাহাড়ি কৃষি গবেষণা কেন্দ্রে বারি কুল-৪ জাত উদ্ভাবন

38

কাপ্তাই প্রতিনিধি
কৃষিজ উন্নত জাত ও চাষাবাদ পদ্ধতি উদ্ভাবনীতে কাপ্তাইয়ের রাইখালী পাহাড়ি কৃষি গবেষণা কেন্দ্র প্রতিষ্ঠার পর থেকেই গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা পালন করে আসছে। তারই ধারাবাহিকতায় এবার বারি কুল-৪ কুলের একটি উন্নত জাত উদ্ভাবন করে সফলতা পেয়েছে প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞানিরা। গত সোমবার গবেষণা কেন্দ্রের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা শ্যাম প্রসাদ চাকমা’র সাথে বারি কুল-৪ বিষয়ে আলাপকালে তিনি জানান, বারিকুল একটি উন্নত জাতের কুল। যেটি দেখতে ডিম্বাকৃতির। প্রতিটি কুলের গড় ওজন ৩৬ গ্রাম। ষ পৃষ্ঠা ২, কলাম ৩.
ষ প্রথম পৃষ্ঠার পর
খুবই মিষ্টি (টিএসএস ১৫%), সুস্বাদু এবং খাওয়ারযোগ্য অংশ প্রায় ৯৬ ভাগ। বীজের আকার ছোট, ডিম্বাকৃতির ও ভোতা। প্রতিটি গাছে গড় ফলন প্রায় ১৯০-২০০ কেজি। এই ফল সংগ্রহের সময় মধ্য জানুয়ারি থেকে ফেব্রæয়ারি পর্যন্ত।
তিনি জানান, দীর্ঘ প্রায় সাত বছর গবেষণার পর কুলের এই উন্নত জাতটি জাতীয় বীজ বোর্ড কর্তৃক বারি কুল-৪ নামে কৃষক পর্যায়ে চাষাবাদের জন্য অবমুক্ত করা হয়। তিনি আরও জানান, বর্তমানে রাইখালী কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটে ১২টি বারি কুল-৪ এর গাছ রয়েছে। এরমধ্যে অনেকেই বাণিজ্যিকভাবে এই গাছটির চারা-কলম সংগ্রহ করছে। অনেক কৃষক ফলটি চাষ করে সফলতাও পেয়েছেন। বারি কুল-৪ এর চারা-কলম বা চোখ কলমের জন্য আমাদের এখান থেকে সংগ্রহ করা যাবে।