মো. সোহেল রানা, দীঘিনালা
পার্বত্যাঞ্চলের পাহাড়িদের বাঁশের তৈরি পাটি ও ধান রাখার ঝুঁড়ি (পাহাড়িদের ভাষায় তলই ও ডোল) বাঁশের অভাবে বিলুপ্তির পথে। পাহাড়ের স্থানীয় চাহিদা পূরণ এই পাটি দেশের বিভিন্ন স্থানে যেত এখন স্থানীয় চাহিদা পূরণে করতে হিমসিম খাচ্ছে। এই পাটিতে পাহাড়ের বসবাসরত জনগোষ্ঠী মাটিতে বিছিয়ে ঘুমাতো এবং ধান শুকানো কাজে ব্যবহার করত। এখনও পার্বত্যাঞ্চলের দুর্গম এলকাতে এই পাটি দিয়ে ধান শুকানোর কাজে ব্যবহার হয়ে আসছে এবং যাদের খাট-পালং ক্রয়ের সামর্থ্য নেই তারা মাটির উপর বিছিয়ে ঘুমানোর কাজে ব্যবহার করে আসছে। আগে পাহাড়ে প্রাকৃতিকভাবে প্রচুর বাঁশ উৎপাদন হত। ঢলু বাঁশ নামক বাঁশ দিয়ে এই পাটি তৈরি করত স্থানীয় পাহাড়ি সম্প্রদায়ের কারিগররা। অপরদিকে স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত ধান বছর ব্যাপি সংরক্ষণ করে রাখার জন্য ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
দীঘিনালা উপজেলার বানছড়া এলাকা পাটি বিক্রেতা বিনয় চাকমা জানান, পাহাড়ে বাঁশ এখন কমে গেছে তাই জঙ্গলে অনেক খোঁজাখুঁজি করে ঢলু বাঁশ সংগ্রহ করে তিন/ চার দিনে তৈরি করে বাজারে বিক্রি করতে নিয়ে আসি। প্রতিটি পাটি ৪৫০-৫০০ টাকা ধরে বিক্রয় করি। এই টাকা দিয়ে কোন মতে জীবন চলে। তবে আগে বাঁশ বেশি ছিল, বেশি করে পাটি তৈরি করতে পারতে পারতাম। সব বাঁশ দিয়ে পাটি ও ধান রাখার ঝুঁড়ি তৈরি করা যায় না। শুধু মাত্র ডুলু বাঁশ দিয়েই এসব সামগ্রী তৈরি করা যায়।