পানি নিষ্কাশনে সব বাধা অপসারণ চান মেয়র

14

নগরীর জলাবদ্ধতা নিরসনে যে মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন কাজ চলছে সেটির কাজ সম্পূর্ণ হতে সময় লাগবে। চলমান বর্ষা মৌসুমে নগরবাসীকে জলাবদ্ধতা থেকে মুক্তি দিতে খালের উপর অস্থায়ীভাবে তৈরি বাঁধ অপসারণ চান চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) মেয়র মো. রেজাউল করিম।
গতকাল শুক্রবার ডোম খাল ও নয়াখালে বাঁধ পর্যবেক্ষণ করতে গিয়ে তিনি এসব কথা বলেন। এছাড়া নিজ বাড়ির সামনে জমে থাকা পানির কথা উল্লেখ করে মেয়র জানান, কোথাও কোথাও ১২ থেকে ১৮ঘন্টায়, এমনকি চব্বিশ থেকে আটচল্লিশ ঘন্টায়ও পানি সরে যেতে পারেনি। সেখানে নাগরিক দুর্ভোগ চরম মাত্রাকেও ছাড়িয়ে গেছে। চসিকের নিয়মিত পরিষ্কার অভিযানে দেখা যায় আবর্জনার এক তৃতীয়াংশই পলিথিন ও প্লাস্টিক জাতীয় পণ্যের বর্জ্য। এসব বর্জ্য অসচেতনভাবে খাল-নালায় নিক্ষেপ করছে মানুষ। ফলে জলাবদ্ধতা নিরসনে ও পানি নিষ্কাশনে অন্তরায় হয়ে আছে পলিথিন ও প্লাস্টিক পণ্যের বর্জ্য। এমন সময়ে চট্টগ্রাম শহরকে জলাবদ্ধতামুক্ত রাখা, পরিবেশ রক্ষা ও কর্ণফুলী নদীর প্রবহমানতা ফিরিয়ে আনতে ড্রেজিং কাজে বড় বাঁধা এসব প্লাস্টিক পণ্য ও পলিথিন। পলিথিনের ভয়াবহ আগ্রাসন থেকে নদী ও শহর বাঁচাতে পর্যায়ক্রমে পলিথিন উৎপাদন বন্ধ করতে চাই আমরা। এ ব্যাপারে সর্বমহল থেকে চসিককে সহযোগিতা করতে হবে।
মেয়র আরো বলেন, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের মেগা প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে পাঁচ হাজার ৬১৬ কোটি ৪৯ লাখ ৯০ হাজার টাকা। প্রকল্পটি সরাসরি বাস্তবায়ন করছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ইঞ্জিনিয়ারিং ব্রিগেড। ২০১৭ সালের জুলাইয়ে শুরু হওয়া এ প্রকল্প ২০২০ সালের জুনে শেষ হওয়ার কথা থাকলেও কাজ শেষ না হওয়ায় এক বছর সময় বাড়িয়ে ২০২১ সাল পর্যন্ত করা হয়, এ কাজ এখনো শেষ হয়নি। নগরীর পানি নিষ্কাশনের প্রধানতম খাল ও নালাগুলোর প্রায় প্রত্যেকটির জায়গায় জায়গায় বাঁধ দেয়া রয়েছে এবং খাল ও নদীর সংযোগ স্থলে বাঁধ দিয়ে স্লুইচ গেইট ও টাইডাল ওয়াটার রেগুলেটর সিস্টেম নির্মাণের কাজও অসম্পূর্ণ। তাই বর্ষা মৌসুম শুরুর অনেক আগে থেকেই আমি শঙ্কা করেছিলাম অল্পবৃষ্টিতেই পানি নগরীর অলি, গলি ও রাস্তাঘাট ডুবিয়ে বাসাবাড়িতে প্রবেশ করে অবর্ণনীয় দুর্দশার সৃষ্টি করতে পারে। তাই সিডিএকে অনুরোধ করেছিলাম বর্ষা মৌসুমের জন্য অস্থায়ীভাবে ও দ্রুততার সহিত খাল-নালার বিভিন্ন জায়গার বাঁধগুলো অপসারণ করতে। যে কোন কারণেই হোক এটি করা হয়নি বা করা তাদের পক্ষে সম্ভব হয়নি, তাই মৌসুমের প্রথম বৃষ্টিতেই নগরীর অধিকাংশ এলাকা পানিতে নিমজ্জিত হয়।