পাতানো খেলা রোধে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি বাফুফের

37

ফুটবল কেবল বিনোদনই নয়, বিশাল বাণিজ্যও। করোনাভাইরাস বিশ্ব ফুটবলকে দাঁড় করিয়েছে বড় এক চ্যালেঞ্জের মুখে। খেলা ঠিকমতো না হওয়ায় অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তায় বিশ্বের বড় বড় ক্লাবও। করোনা পরবর্তীতে ফুটবল শুরু হলে নিজেদের অর্থনৈতিক ক্ষতি কাটিয়ে তুলতে সক্রিয় হতে পারে ফুটবলের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট দুষ্টচক্র। নানা সিন্ডিকেটের মাধ্যমে ফুটবলের নীতিকে নষ্ট করতে সক্রিয় হতে পারে তারা। যা নিয়ে শঙ্কিত ফুটবলের অভিভাবক সংস্থা ফিফাও। দুষ্টচক্র যাতে ফুটবলের সততা নষ্ট করতে না পারে, সে বিষয়ে এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশন (এএফসি) ইতিমধ্যেই সদস্য দেশগুলোকে কিছু গাইডলাইন মেনে চলার নির্দেশনা দিয়েছে। তাই বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) পরবর্তী মৌসুমে পাতানো খেলা রোধে ‘জিরো টলারেন্স নীতি’ অবলম্বনের ঘোষণা দিয়েছে।
এএফসির গাইডলাইন প্রসঙ্গে বাফুফের সিনিয়র সহসভাপতি ও প্রফেশনাল লিগ কমিটির চেয়ারম্যান আবদুস সালাম মুর্শেদী বলেছেন, ‘করোনাভাইরাস মহামারি ফুটবল অঙ্গনকে এক চ্যালেঞ্জের মুখে দাঁড় করিয়েছে। এর মধ্যে পাতানো খেলার মাধ্যমে ফুটবলের সততা নষ্ট হওয়ার ঝুঁকি বৃদ্ধি অন্যতম। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ফুটবল খেলা বিঘœ হওয়ায় যে অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা সৃষ্টি হয়েছে, তাতে ফুটবল খেলা ম্যানুপুলেশন করার জন্য বিভিন্ন সিন্ডিকেট এই সুযোগ নেয়ার চেষ্টা করবে।’
করোনার পর খেলা শুরু হলে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে পাতানো খেলা বেড়ে যেতে পারে আশঙ্কা করছে সবাই। যে কারণে পুনরায় ফুটবল মাঠে গড়ালে পাতানো খেলা রোধের চেষ্টা প্রত্যেকটি ফেডারেশনের দায়িত্ব বলে মনে করছে এএফসি। সদস্য দেশগুলোকে নিজ নিজ ঘরোয়া ফুটবল খেলা পরিচালনার ক্ষেত্রে পাতানো খেলা রোধকল্পে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি অনুসরণ করার নির্দেশনা দিয়েছে এশিয়ার ফুটবলের অভিভাবক সংস্থাটি। আবদুস সালাম মুর্শেদী বলেন, ‘এএফসির মতো পাতানো খেলা রোধ করতে আমরাও বদ্ধপরিকর। তাই আগামী মৌসুমে এ বিষয়ে কোনো ছাড় দেয়া হবে না। ফুটবলের সততা ঠিক রাখতে আমরা ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি অনুসরণ করব। আমরা এ বিষয়ে সকলের সহযোগিতা কামনা করছি।’