পাঠকের কথা

32

রাষ্ট্রীয় পদকে ভূষিত করুন

সাহাদাত হোসাইন সাহেদ

বাংলাদেশ যতই এগিয়ে যাবে, মানুষ নিজ ইতিহাসে আস্থা রেখে চললে, চলাটা সহজ হবে। মুক্তিযুদ্ধ আমাদের স্বপ্নের সৌধ। আর এক স্বপ্নকে চিত্রকরের মত দায়িত্বশীল পথে এগিয়ে নিতে ছুটে চলা এক মহিয়সী পথিকৃৎ-বেগম মুশতারী শফি। বীর মুক্তিযোদ্ধা, সাহিত্যিক, চট্টগ্রাম নারী আন্দোলনের অগ্রদূত, স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের সূতিকাগার শহীদ জায়া বেগম মুশতারী শফি।গতকাল ২০ ডিসেম্বর ২০২২ইং ছিল উনার প্রথম প্রয়ান দিবস। চট্টগ্রামের এনায়েত বাজার ‘মুশতারী লজে’ অদ্যম এই মহিয়সী বেগম মুশতারী শফির শোকাবহ নদীর স্মৃতিকথা শুনতে হয় পরিবারের উদ্যোগে। যা শুধু বিস্মৃতি হৃদয়ের অনুতাপ। আমরা একটি বর্ষ না পুরাতে সবই নিমিষেই ভুলতে বসেছি।ছিলনা রাজনৈতিক কোন দিকবহুল অনুষ্ঠান। মর্মাহত করেছে প্রশাসন ও বর্তমান সরকারি নির্ধারকের এমন অমনোযোগী মনো তাড়না। ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে কিভাবে অনুপ্রাণিত হবে,তা নিয়ে এখনোই বড্ড সংশয়ে ভুগছি। অথচ সর্বক্ষেত্রে অকুতোভয়ী এই নারী স্বদেশ ও মুজিব অনুগত স্বপ্ন বুননে ছিল একাত্ম। উনি অজানা অচেনা কেহ না। জাতির জন্য পঞ্চাশ বছর অগণিত, পাহাড়সম কাজ করে গেছেন বেগম মুশতারী শফি। তিনি স্বাধীনতা যুদ্ধে, ঘাতক দালাল নির্মূল করার যুদ্ধে, নারীর অর্থনৈতিক মুক্তির যুদ্ধে, সাহিত্য সমৃদ্ধির সোপানে কলমী যুদ্ধে অবিরত লড়েছেন। তাঁর প্রকাশিত গ্রন্থমালায় আছে অনেক অনেক বইসামগ্রী। তিনি কিংবদন্তী এক মুক্তিসারথী। মৃত্যুর ১৪ ডিসেম্বর বুদ্ধিজীবী দিবসের জন্য কাগজে মেয়ের কাছে রেখে গেছেন শপথের বানীঃ এখন প্রতিবাদ নয়, প্রতিরোধ চাই, চাই রাজনৈতিক আদর্শিক সংগ্রাম। যারা একাত্তরে নির্বিচারে গণহত্যা চালিয়েছে, বুদ্ধিজীবীদের নৃশংসভাবে হত্যা করেছে, সেই খুনিদের সাথে আপোস হতে পারেনা। বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী অনুযোগ নয়,সর্ব বিষয়ে সর্ব ক্ষেত্রে অসাধারণ শহীদ জায়া কালজয়ী অদম্য সংগ্রামী মানুষের প্রতিকৃৎ- বেগম মুশতারী শফিকে মরনোত্তর রাষ্ট্রীয় পদকে সম্মান প্রদর্শনের করার দাবী জানাচ্ছি। উনি বঙ্গবন্ধুর প্রবল অনুরাগী বলেই মৃত্যুর পূর্ব মুহূর্তে বঙ্গবন্ধু নামটি উচ্চারণ করে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন। বেগম মুশতারী শফি ওপারে, বিধাতা উনাকে জান্নাত মেহমান করে রেখ।

আমি নারী

আয়েশা সিদ্দিকা হ্যাপি

আমি নারী, তাতে আছে ভয় কি? আমি তো সব পরি। এসমাজে হাজারো অন্যায় অত্যাচার শিকার আমি, পুরুষদের হাজার অনুপ্রেরণারও উৎস আমি।
মনুষ্য সন্তান তৈরি করার কারিগরও আমি।
হ্যাঁ আমিই নারী, তাতে লুকানোর কী আছে ?
পুরো পৃথিবীর সাথে লড়াই করতে আমি পারি।
সবচেয়ে কঠিন দায়িত্ব গুলো পারি নিজের কাঁধে তুলে নিতে। আমি নারী অতি সাধারণ একজন গৃহিনী, একজন মা, একজন মেয়ে, একজন স্ত্রী, একজন বোন। হ্যাঁ আমি নারী, সকল অন্যায়ের প্রতিবাদও আমি করতে পারি। পারি ভালোবাসার মত ভালোবাসতে সবাইকে। পারি নিজের জটরে হাজার মানুষ তৈরি করতে। আবার পারি যেকোনো পরিস্থিতিতে নিজেকে মানিয়ে নিতে। আমি নারী সবকিছুর ভাগিদার আমি। আমায় ছাড়া চলতে পারবেনা পুরুষ। তবে কেনো এতো ছোট মনে করো নারী বলে আমায় ? শুনোনি কখনও রবি ঠাকুরের কবিতা ? ‘পৃথিবীর যা কিছু চির কল্যাণকর অর্ধেক তার আনিয়াছে নারী, অর্ধেক তার নর।’ তাহলে ভয় কী তোমার। তবে এসো সবাই একসাথে কাজ করি সংসার, সমাজ, এবং দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে।