পাকিস্তানের স্বপ্ন ভেঙে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ইংল্যান্ডের

11

পূর্বদেশ অনলাইন
রোমাঞ্চ ঘিরে ধরেছে তাদের, স্বপ্নের সীমানায় হাজির হয়েছে ১৯৯২ বিশ্বকাপ। ধুঁকতে ধুঁকতে ফাইনালে ওঠা পাকিস্তানকে নিয়েই আলোচনাই হচ্ছিল মূলত। তুলনা করা হচ্ছিল ইমরান খানের ১৯৯২ বিশ্বকাপ জেতা দলটির সঙ্গেও। তাই মিরাকল অব নাইন্টি টুর মতো মিরাকল অব টুয়েন্টির আশায় ছিলেন অনেকে। কিন্তু ২০১৯ ওয়ানডে বিশ্বকাপ জয়ী ইংল্যান্ড তা হতে দিলে তো? কঠিন করে হলেও ম্যাচটা ৫ উইকেট জিতে সংক্ষিপ্ততম ফরম্যাটের দ্বিতীয় ট্রফি ঘরে তুলেছে ইংলিশ দল। শুরুতে ১৩৮ রানের লক্ষ্যটা মামুলী মনে হচ্ছিল। কিন্তু পাকিস্তানের বোলিং লাইন আপে সেটাই কঠিন হয়ে দাঁড়ায় ইংলিশদের সামনে। প্রথম ওভারেই অ্যালেক্স হেলসের (১) উইকেট নিয়ে ইংল্যান্ডকে কাঁপিয়ে দেন শাহীন। তাতেও ঝামেলা ছিল না। ফিল সল্ট আর বাটলার মিলে সেই ধাক্কা সামাল দিচ্ছিলেন। কিন্তু পাওয়ার প্লের মাঝেই এই ব্যাটারদের বিদায় দিয়ে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিতে পেরেছিল পাকিস্তান দল। যার পুরো কৃতিত্ব হারিস রউফের। শুরুতে সল্টকে (১০) ফিরিয়েছেন। তার পর বিপজ্জনক বাটলারকেও গ্লাভসবন্দী করালে অন্যরকম ইঙ্গিত মিলতে থাকে। কঠিন চাপে পড়ে যাওয়া দলটিকে তখন থেকেই সামলে নিয়েছেন বেন স্টোকস। হ্যারি ব্রুককে নিয়ে শুরুতে ৩৯ রান যোগ করেছেন। শাদাব খান ২৩ বলে ২০ রান করা ব্রুককে ফিরিয়ে জুটি ভাঙলে ইংলিশদের চাপ বাড়ে আরও। কিন্তু ওয়ানডে বিশ্বকাপ জেতানো স্টোকস কক্ষপথচ্যুত হতে দেননি দলকে। মঈন আলীকে নিয়ে ৪৭ রানের গুরুত্বপূর্ণ জুটিতেই জয়টাকে নিয়ে আসেন দৃষ্টিসীমানায়। ১৮.২ ওভারে মঈন যখন আউট হন, তখন ১১ বলে ৬ রান প্রয়োজন ইংল্যান্ডের। মঈন দলকে জয়ের দুয়ারে পৌঁছে দিয়ে ১২ বলে ১৯ রানে ফিরেছেন। তার পর তো ওভারের ষষ্ঠ বলেই স্টোকসের ব্যাটে জয়ের আনন্দে ভাসে ইংল্যান্ড। মঈনের ইনিংসে ছিল ৩টি চার। ম্যাচ জয়ের নায়ক মূলত বেন স্টোকস। আবারও প্রমাণ করলেন কঠিন চাপের সময় তার তুলনা শুধু তিনিই। ৪৯ বলে ৫ চার ও ১ ছক্কায় ৫২ রানে অপরাজিত থেকেছেন। এক ওভার হাতে রেখেই জিতে যায় ইংল্যান্ড।