পাকিস্তানের জন্য চীনের ‘অত্যাধুনিক যুদ্ধজাহাজ’

87

পাকিস্তানের জন্য একটি ‘অত্যাধুনিক যুদ্ধজাহাজ’ বানানোর কাজ শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছে চীনের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম। দুই দেশের মধ্যে স্বাক্ষরিত একটি দ্বিপক্ষীয় অস্ত্র চুক্তি অনুযায়ী ইসলামাবাদ এ ধরনের চারটি যুদ্ধজাহাজ চেয়েছিল, এটি তার প্রথমটি। কৌশলগতভাবে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভারত মহসাগরে ‘ক্ষমতার ভারসাম্য’ নিশ্চিত করার লক্ষে বেইজিং এ অত্যাধুনিক যুদ্ধজাহাজটি তৈরি করে দিচ্ছে বলে চায়না ডেইলির প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে এনডিটিভি জানিয়েছে।
চীনের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমটি বলছে, নির্মাণাধীন এ জাহাজটি চীনা নৌবাহিনীর অত্যাধুনিক গাইডেড মিসাইল ফ্রিগেটের নতুন সংস্করণ হতে যাচ্ছে। আধুনিক সমরাস্ত্র সজ্জিত ও সনাক্তকরণ ব্যবস্থাসম্পন্ন নতুন এ যুদ্ধজাহাজ বিমান, সাবমেরিন ও অন্যান্য জাহাজের আক্রমণ প্রতিরোধে সক্ষম বলে জানিয়েছে চীনের রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত জাহাজনির্মাতা প্রতিষ্ঠান সিএসএসসি। জাহাজটি কোন ধরনের হতে যাচ্ছে সিএসএসসি তা সুনির্দিষ্টভাবে না বললেও এটি সাংহাইয়ের হুডং-ঝোংহুয়া শিপইয়ার্ডে তৈরি করা হচ্ছে বলে নিশ্চিত করেছে তারা।
পাকিস্তানের প্রধান অস্ত্র সরবরাহকারী দেশ চীন। দেশ দুটি একসঙ্গে একক ইঞ্জিন বিশিষ্ট যুদ্ধবিমান জেএফ-থান্ডারও তৈরি করেছে। নতুন এ যুদ্ধজাহাজটি ০৫৪এপি শ্রেণির বলে পাকিস্তানের নৌবাহিনীর বরাত দিয়ে জানিয়েছে চায়না ডেইলি। চীনের পিপলস লিবারেশন আর্মির (পিএলএ) ০৫৪এ শ্রেণির জাহাজের ওপর ভিত্তি করেই নতুন এ জাহাজটি বানানো হচ্ছে। এ ধরনের মোট চারটি যুদ্ধজাহাজের ক্রয়াদেশ দেওয়া হয়েছে বলে এর আগে পাকিস্তানি নৌবাহিনী জানিয়েছিল।
“তৈরি শেষ হলে এটি হবে প্রযুক্তিগত দিক দিয়ে পাকিস্তান নৌবাহিনীর জন্য একটি বড় সংযোজন, যা ভবিষ্যতের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় দেশটির সক্ষমতা বৃদ্ধি, শান্তি ও স্থিতিশীলতা এবং ভারত মহাসাগরে ক্ষমতার ভারসাম্য রক্ষায় ভূমিকা রাখবে,” প্রতিবেদনে বলেছে চীনের রাষ্ট্রীয় এ গণমাধ্যম।
এনডিটিভি বলছে, ‘চীন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডোরের (সিপিইসি)’ মাধ্যমে বেলুচিস্তানের গভীর সমুদ্রবন্দর গদরের নিয়ন্ত্রণ নেওয়া বেইজিং এ যুদ্ধজাহাজগুলোর মাধ্যমে ভারতের সঙ্গে ক্ষমতার ভারসাম্য নিশ্চিতে পাকিস্তানকে সহায়তা দিচ্ছে বলেই ধারণা করা হচ্ছে।
চীন এরই মধ্যে আফ্রিকার জিবুতিতে একটি সামরিক ঘাঁটি বানিয়েছে; ঋণের বিনিময়ে শ্রীলঙ্কার কাছ থেকে ৯৯ বছরের জন্য ইজারা নিয়েছে কৌশলগতভাবে খুবই গুরুত্বপূর্ণ হাম্বানটোটা সমুদ্র বন্দর। চীন-পাকিস্তানের অর্থনৈতিক করিডোরটি পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের ভেতর দিয়ে যাওয়ায় ভারত শুরু থেকেই এ প্রকল্পের বিরোধিতা করে আসছে।