পশ্চিমবঙ্গে করোনাকালেও মদ বিক্রিতে ঘাটতি নেই!

16

করোনার করাল থাবায় বিশ্ব অর্থনীতিতে ধস নামলেও ব্যতিক্রম ভারতের পশ্চিবঙ্গের মদ বিক্রিতে! লকডাউন দিয়েও রাজ্যটিতে সুরাপায়ীদের ঠেকিয়ে রাখতে পারেনি কর্তৃপক্ষ। পশ্চিমবঙ্গের পরিসংখ্যান বলছে, চলতি বছরের মে থেকে আগস্ট মাস পর্যন্ত রাজ্যে মদ বিক্রি থেকে পাওয়া শুল্ক গত বছর এই সময়ে যা ছিল তার থেকে মাত্র দুই শতাংশ কম! মার্চ থেকে টানা ৪২ দিন বন্ধের পর গেল ৪ মে থেকে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে কনটেনমেন্ট জোনের বাইরে মদের দোকান খোলার অনুমতি দেয় রাজ্য। রাজ্য আবগারি দফতর থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, এ বছর মে থেকে আগস্ট পর্যন্ত মদ বিক্রি থেকে রাজ্যের কোষাগারে জমা পড়েছে তিন হাজার ৫০০ কোটি টাকার বেশি। গত বছর এই সময়ে, অর্থাৎ মে থেকে আগস্ট পর্যন্ত রাজ্যের আয় হয়েছিল তিন হাজার ৬০০ কোটি টাকা। এই পরিসংখ্যান থেকে স্পষ্ট, লকডাউন বা কোভিড পরিস্থিতিতে মদ বিক্রিতে খুব একটা প্রভাব ফেলতে পারেনি।
এই চার মাসের মধ্যেও জুলাই এবং আগস্ট মিলিয়ে ১০ দিন লকডাউন ছিল। ওই দিনগুলোতে মদের দোকান বন্ধ ছিল। গত বছরে ওই সময়ে এ রকম কোনো বন্ধ ছিল না। তার পরেও এই আয় মুখে হাসি ফুটিয়েছে আবগারি দফতরের কর্মকর্তাদের। তবে তারা স্বীকার করেছেন, গত বছরের থেকে বিক্রির পরিমাণ বেশ খানিকটা কমেছে। রাজ্যে প্রায় ২৫০০ মদের অফ শপ রয়েছে। এক দোকানদারের কথায়, ‘‘রাজ্য সরকার মদের উপর ৩০ শতাংশ বাড়তি কর ধার্য করায় করের ঘাটতি হয়নি তেমন। তবে মদের বিক্রির পরিমাণ কমেছে।”