পশ্চিমবঙ্গের নির্বাচনে কেন এতোটা গুরুত্ব পাচ্ছে মতুয়ারা?

37

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আসন্ন বাংলাদেশ সফরে গোপালগঞ্জের ওড়াকান্দিতে মতুয়া সম্প্রদায়ের আদি ধর্মস্থানে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ওড়াকান্দি হচ্ছে সারা পৃথিবীতে ছড়িয়ে থাকা কয়েক কোটি মতুয়ার কাছে সম্প্রদায়টির প্রতিষ্ঠাতা হরিচাঁদ-গুরুচাঁদ ঠাকুরের ‘লীলাক্ষেত্র’। সে রকম একটি ধর্মীয় স্থানে মোদি এমন একটা সময়ে যেতে পারেন, যার একদিন পর থেকেই শুরু হবে পশ্চিমবঙ্গের নির্বাচন। মতুয়া মহাসংঘের একাংশের সঙ্ঘাধিপতি ও বিজেপির এমপি শান্তনু ঠাকুর বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী যদি আমাদের আদি পীঠস্থানে যান, তার একটা প্রভাব তো এখানকার রাজনীতিতে পড়বেই।’
তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী কেন, কোনও পর্যায়ের কোনও মন্ত্রী সেখানে কখনও যাননি। ওড়াকান্দি মতুয়াদের কাছে একটা আবেগের জায়গা।’ রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন পশ্চিমবঙ্গের এবারের নির্বাচনে মতুয়া সম্প্রদায়ের মানুষের ভোট খুবই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে। একদিকে যেমন এ সম্প্রদায়ের একাংশ নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন চালু না হওয়ায় হতাশ হয়ে পড়েছেন, অন্যদিকে এবার লড়াই এতোটাই হাড্ডাহাড্ডি হতে যাচ্ছে যে, মতুয়া ভোট অনেক আসনেই নির্ণায়ক শক্তি হয়ে উঠতে পারে। তাই এ জনগোষ্ঠীর মন জয় করাটা বিজেপির কাছে বিশেষ প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেছেন কলকাতার সিনিয়র রাজনৈতিক বিশ্লেষক অরুন্ধতী মুখার্জি। অরুন্ধতী মুখার্জির ভাষায়, ‘এবারের নির্বাচনেই দেখছি ছোট ছোট সম্প্রদায় বা জনগোষ্ঠীর ভোটের জন্য কী তৃণমূল কংগ্রেস কী বিজেপি – উভয় পক্ষই উঠেপড়ে লেগেছে। বিজেপির দেওয়া প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী নাগরিকত্ব আইন চালু না হওয়ায় মতুয়াদের একটা বড় অংশ হতাশ হয়ে পড়েছে। তাই ভোটের আগে ওই ধর্মীয় তীর্থস্থানে প্রধানমন্ত্রীর যাওয়াটা নিশ্চিতভাবেই তাদের মন জয় করার একটা চেষ্টা।’