পশুরহাট-বাজার মশামুক্ত করার নির্দেশ

20

নগরীর স্থায়ী ও অস্থায়ী পশুর হাটসহ সব হাট-বাজার মশকমুক্ত রাখতে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনকে (চসিক) নির্দেশনা দিয়েছে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়। গত ১ আগস্ট এ নিয়ে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় থেকে পত্র আসে চসিকের কাছে। নিয়মিত কার্যক্রমের পাশাপাশি আলাদা জোর দেওয়া হবে বাজারগুলোতে। এমনটাই জানিয়েছেন চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সামসুদ্দোহা। একইদিনে মশার প্রজননস্থল নির্ধারণ করে ওষুধ ছিটানোর কার্যক্রম চলমান রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়। তাছাড়া এসব নির্দেশনা বাস্তবায়ন ও তদারকিপূর্বক প্রতিবেদন দাখিলের কথাও বলা হয় পত্রটিতে।
এবিষয়ে চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা পূর্বদেশকে বলেন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে সব স্থায়ী ও অস্থায়ী গরুর বাজারে মশা নিধনের সর্বাত্মক ব্যবস্থা গ্রহণের কথা বলা হয়েছে। আমরা সফলতার সাথে মশা নিধন কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছি। গরুর বাজারে যাতে এডিস মশার প্রজনন হয়, এমন কোনো অবস্থা তৈরি না হয়, সেই ব্যাপারে নজর রাখা হয়েছে। তাছাড়া বাজারগুলোতে আলাদা নজর থাকবে বলে জানান এই কর্মকর্তা।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যলয়ের প্রেরিত পত্র পর্যালোচনা করে দেখা যায়, আসন্ন ঈদুল আযহা উপলক্ষে স্থায়ী ও অস্থায়ী পশুর হাটসহ সব হাট-বাজার মশামুক্ত রাখার সর্বাত্মক ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও বাজারগুলোতে পরিচ্ছন্ন ও মশামুক্তকরণ কার্যক্রম নিশ্চিতকরণ ও তদারকিপূর্বক প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশনা দেওয়া হয়। একইদিনে স্থানীয় সরকারের আরেক পত্রে এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় মশার প্রজননন্থল নির্ধারণ করে প্রয়োজনীয় কীটনাশক প্রয়োগ কার্যক্রম চলমান রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়।
এ বিষয়ে সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, মশানিধন নিয়ে আমাদের সিটি কর্পোরেশন এলাকায় নিয়মিত কার্যক্রম রয়েছে। সারাদেশের তুলনায় সফলতার সাথে আমরা মশার উপদ্রব নিয়ন্ত্রণ করতে পেরেছি। সামনে ঈদ, গরুর বাজারগুলোতে মানুষের ভিড় বাড়বে। তাই আলাদা করে নজর রাখা হবে, যাতে মশার প্রজননস্থল তৈরি না হতে পারে। তাছাড়া মশা নিধনের ওষুধ তো ছিটানো হবেই।