পশুখাদ্যের দাম বৃদ্ধিতে দিশেহারা ডেইরি ফার্ম উদ্যোক্তারা

22

নিজস্ব প্রতিবেদক

আমদানিকৃত পাউডার দুধে নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্কারোপ, খামারি পর্যায়ে ভর্তুকি প্রদান, পশু খাদ্যের দাম নিয়ন্ত্রণ ও মাংস আমদানি বন্ধসহ বিভিন্ন দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন চট্টগ্রামের ডেইরি খামারিরা। গতকাল বৃহস্পতিবার নগরীর প্রেস ক্লাবের সামনে চট্টগ্রামের ডেইরি ফারমার্স এসোসিয়েশনের উদ্যোগে এই বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়। বিক্ষোভে নগরী ও জেলার পাঁচ শতাধিক খামারি অংশ নেন।
বিক্ষোভ সমাবেশে চট্টগ্রামের ডেইরি ফারমার্স এসোসিয়েশনের সভাপতি নাজিম উদ্দিন হায়দার বলেন, ডেইরি খাতের উদ্যোক্তারা দেশের মাংস ও দুধের চাহিদার যোগান দিয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু করোনার পর থেকে গত দুই বছর ধরে পশু খাদ্যের দাম বেড়েই চলছে। এই সময়ে পশু খাদ্যের দাম ২০০ শতাংশের বেশি বেড়েছে। কিন্তু দুধের দাম বাড়েনি। দুধের দামের চেয়ে উৎপাদন খরচ বেড়ে যাওয়ায় লোকসান গুনতে হচ্ছে খামারিদের। দিনের পর দিন এভাবে লোকসান দিয়ে খামারিরা গরু বিক্রি করে দিচ্ছেন। বহু খামার ইতোমধ্যে বন্ধ হয়ে গেছে। এই খাতের খামারিদের বাঁচাতে সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা করেন তিনি।
এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মালিক মোহাম্মদ ওমর বলেন, গত দুই বছর ধরে খামারিদের দুরাবস্থা যাচ্ছে। খামারিদের বাঁচাতে পশু খাদ্যের দাম নিয়ন্ত্রণ, আমদানিকৃত পাউডার দুধে নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্কারোপ, খামারি পর্যায়ে ভর্তুকি প্রদান এবং মাংস আমদানি বন্ধ করতে হবে। অন্যথায় খামারের খরচ চালাতে না পেরে অচিরেই বেশিরভাগ খামার বন্ধ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। মানবন্ধনে খামারিরা সরকারের নিকট ৯টি দাবি উত্থাপন করেন। এসব দাবি নিয়ে গত ২৫ মে প্রধানমন্ত্রী বরাবর চিঠি দেন তারা।
এসোসিয়েশনের তথ্যমতে, চট্টগ্রামে দুই হাজারের বেশি ডেইরি খামার রয়েছে। যেখানে বাণিজ্যিকভাবে ১০ হাজারের বেশি গাভী রয়েছে। কিন্তু করোনার পর থেকে খাদ্যের দাম বৃদ্ধিসহ উপরোক্ত সংকটে কমপক্ষে তিনশ খামার বন্ধ হয়ে গেছে।