পল্লীর সমাজব্যবস্থা সার্থকভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন জসিম উদ্দীন

57

চট্টগ্রাম সাহিত্য পাঠচক্রের উদ্যোগে পল্লীকবি জসিম উদ্দীন জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে এক সাহিত্য আলোচনা সভা সংগঠনের সভাপতি বাবুল কান্তি দাশের সভাপতিত্বে গত ৭ জানুয়ারি সন্ধ্যা ৭টায় কদমমোবারক স্কুল মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান আলোচক ছিলেন পল্লীকবি জসিম উদ্দীন স্মৃতি বৃত্তি পরীক্ষার সভাপতি শিক্ষক রতন দাশ গুপ্ত। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আসিফ ইকবালের পরিচালনায় এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন কবি আশীষ সেন চট্টগ্রাম দক্ষিণজেলা কৃষকলীগের সহ সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার আবুল কাশেম, গীতিকার মোঃ লিফটন, সংগীতশিল্পী অচিন্ত্য কুমার দাশ, সাংবাদিক প্রশান্ত বড়ুয়া, সংগঠনের সহ-সভাপতি এম. নুরুল হুদা চৌধুরী, যুগ্ম সম্পাদিকা শবনম ফেরদৌসী, সাংগাঠনিক সম্পাদক বিজয় শংকর চৌধুরী, সংগঠক সুজিত দাশ মিন্টু, অপু দাশ, সাংস্কৃতিক সম্পাদক কাকলী দাশ গুপ্তা, ব্যাংকার ফরিদুল আলম নোবেল, জসিম উদ্দীন, রোজী চৌধুরী, সুমন চৌধুরী প্রমুখ। সভায় বক্তারা বলেন, হাজার বছরের বাংলা কবিতার বিকাশের ধারায় জসীম উদ্দিন একটি উজ্জ্বল ও বিশিষ্ট নাম। রবীন্দ্রযুগের কবি হয়েও রবীন্দ্র প্রভাব থেকে সম্পূর্ণ মুক্ত থেকে পল্লীজীবনকে অবলম্বন করে জসীম উদ্দিন নির্মাণ করেছেন স্বকীয় এক কাব্যভূবন। তাঁর সাধনায় খুলে গেছে বাংলা কবিতার নতুন এক দুয়ার। বাংলা গীতিকা থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে জসীম উদ্দিন আধুনিক দৃষ্টি দিয়ে চোখ ফেরালেন পল্লীজীবনের দিকে। পল্লীর সহজ জীবন প্যাটানোর দিকে। বাংলার লোকজীবনের বৃহত্তর আঙ্গিনায় অবারিত গ্রামীণ জনপদে তিনি খুঁজে পেলেন তাঁর শিল্প বৃক্ষের প্রতœবীজ। বাংলার জীবন প্রকৃতি আর পল্লীর সাধারণ মানুষ নিয়েই গড়ে উঠেছে জসীম উদ্দিনের কবিতালোক। গ্রামীণ জীবনকেন্দ্রিক বিস্ময়কর এক কবি ভাষায় হাজার বছরের বাংলার পল্লী নতুন প্রাণ নিয়ে জেগে উঠল জসীম উদ্দিনের কবিতায়। সভায় বিশেষ কর্মের জন্য শিক্ষক রতন দাশ গুপ্তকে পল্লীকবি জসিম উদ্দীস স্মারক সনদ প্রদান করা হয়