পলোগ্রাউন্ডে আ.লীগের জনসভা ৪ ডিসেম্বর

38

নিজস্ব প্রতিবেদক

বিএনপির সমাবেশের পাল্টা জবাব দিতে মাঠে নামছে আওয়ামী লীগ। চট্টগ্রাম থেকেই পাল্টা জবাবের রোডম্যাপ চূড়ান্ত করেছে ক্ষমতাসীন দলটি। আগামী ৪ ডিসেম্বর চট্টগ্রামের পলোগ্রাউন্ড মাঠেই জনসভা করবে আওয়ামী লীগ। চট্টগ্রামের জনসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
গতকাল শুক্রবার গণভবনে অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সভা থেকেই এমন সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। সভা থেকেই চট্টগ্রামের নেতাদের জনসভার প্রস্তুতি নেয়ার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। মূলত এই জনসভায় বিশাল জনসমাগমের মধ্যদিয়ে রাজপথে শক্তির মহড়া দেওয়ার পরিকল্পনা নিয়েছে আওয়ামী লীগ।
গতকাল আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী পরিষদের সভা থেকে বের হয়ে ওবায়দুল কাদের জানান, “একটা বিষয় আমি জানাচ্ছি, আগামী ৪ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী ও দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনা চট্টগ্রামের পলোগ্রাউন্ডে আওয়ামী লীগের জনসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে অংশগ্রহণ করবেন।”
এদিকে চট্টগ্রামে জনসভার সিদ্ধান্তের কারণে আগামী ১ ডিসেম্বর চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা ও ৪ ডিসেম্বর মহানগর আওয়ামী লীগের সম্মেলন অনুষ্ঠানের কথা থাকলেও তা পিছিয়ে যেতে পারে। গত ২৬ অক্টোবর মহানগর ও দক্ষিণ জেলায় সম্মেলনের তারিখ দিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন।
মহানগর আওয়ামী লীগের একটি সূত্র জানিয়েছেন, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে জনসভার সিদ্ধান্তের কথা জানানোর পরপরই মহানগর আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সভা ডাকা হয়েছে। আজ দারুল ফজল মার্কেটস্থ দলীয় কার্যালয়ে বাদ মাগরিব এ সভা অনুষ্ঠিত হবে। এ সভা থেকে কেন্দ্রীয় নির্দেশনা মোতাবেক জনসভার সর্বাত্মক প্রস্তুতি নেয়া হবে। জনসভা সফল করতে গঠন করা হবে বেশ কয়েকটি উপ-কমিটিও।
চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান পূর্বদেশকে বলেন, “৪ ডিসেম্বর পলোগ্রাউন্ডে যেহেতু নেত্রীর জনসভা আছে সম্মেলন হবে কিনা এ নিয়ে কোন সিদ্ধান্ত এখনোও হয়নি। তবে সম্মেলন পিছিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা বেশি। কেন্দ্রীয় নেতাদের সাথে কথা বলে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নিব। আপাতত আমরা জনসভা সফল করতে কার্যক্রম শুরু করবো।”
দলীয় সূত্র জানায়, আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলন ২৪ ডিসেম্বর। আর দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন হতে পারে ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে। তবে তার আগে রাজনীতির মাঠ উত্তপ্ত হওয়ার সম্ভাবনাও প্রবল। বিএনপি আগেভাগে জনসভা করে মাঠ গরম করায় আওয়ামী লীগও এ সমাবেশের পাল্টা জবাব দেয়ার পক্ষেই অবস্থান নিয়েছে। এসব সমাবেশ থেকে আওয়ামী লীগ কর্মকান্ড নিয়ে বিএনপির বিভ্রান্তিকর কথাবার্তা ও সরকার বিরোধী অপতৎপরতা নিয়ে জবাব দিতে মুখিয়ে আছেন আওয়ামী লীগের নেতারা। দায়িত্বশীল নেতারা গত কয়েকদিন ধরেই বিএনপির প্রপাগান্ডা রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলার অঙ্গীকার নিয়ে সাংগঠনিক রোডম্যাপ চ‚ড়ান্ত করার কথা বলে আসছিল। গতকালকের দলীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সভা থেকে দলের সাংগঠনিক শক্তি চাঙা করা ও আগামী জাতীয় নির্বাচনকে টার্গেট করেই বেশকিছু এজেন্ডা বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় এক নেতা বলেন, “কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় ১১টি এজেন্ডা ছিল। সবগুলো এজেন্ডা পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে নেত্রী পর্যবেক্ষণ করেছেন। শেষতক চট্টগ্রামের জনসভায় উপস্থিত থাকার আগ্রহের কথা নেত্রী জানিয়েছেন। একপ্রকার চট্টগ্রাম থেকেই নেত্রী নির্বাচনী কার্যক্রম শুরু করতে যাচ্ছেন। ইতোমধ্যে প্রধানমন্ত্রী চট্টগ্রামের উন্নয়নে বেশকিছু মেগাপ্রকল্প গ্রহণ করেছেন। ৪ ডিসেম্বরের জনসভা থেকে হয়তো চট্টগ্রামের উন্নয়নে আরও কিছু যুক্ত হবে।”