পলিথিনশেড পদ্ধতির মূলাচাষে সাফল্য

58

খাগড়াছড়ির দীঘিনালা উপজেলার মেরুং ইউনিয়নের বেলছড়িতে পলিথিনশেড পদ্ধতিতে শীতকালীন মূলার আগাম চাষ করে সাফল্য পেয়েছেন মো. শাহ জালাল (২৫)। অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ালেখা করে বেকার ঘুরছিলেন, মাঝে মধ্যে অন্যের জামিতে কাজ করতেন। বর্গা জমি নিয়ে মাঝে মধ্যে সবজি চাষ করতেন শাহ জালাল। সব সময় মাথায় ভাবনা থাকত নতুন কোনো ফসলের চাষ করার।
সরেজমিনে শাহ জালালের সবজি ক্ষেতে গিয়ে দেখা যায়, যেখানে ভিন্ন পদ্ধতিতে বীজ বপন করা হয়েছে। মো. শাহ জালাল বলেন, অনেক কষ্ট করে আগাম জাতে মূলার বীজ সংগ্রহ করে পলিথিনশেড করে বপন করি, এতে ফলন ভাল হয়েছে।
৩০শতক জমিতে আগস্ট মাসের মাঝামাঝিতে ইউনাইটেড কোম্পানির ট্রাপিআনা জাতের মূলা বীজ বপন করি। বপনের ৪৫দিনের মধ্যে গাছ বড় হতে থাকে। এরপর প্রতিকেজি মূলা ৫০টাকা ধরে বিক্রি করছি। এতে আমি আশা করছি- ৫০হাজার টাকার মত মূলা বিক্রি করতে পাবর।
আগাম চাষ পদ্ধতি কী ভাবে শিখলেন? এর জবাবে তিনি বলেন, ফেসবুকের মাধ্যমে চুয়াডাঙ্গা উপজেলার কৃষি অফিসারের পেইজ থেকে আমি এই পদ্ধতি জানতে পারি এবং চুয়াডাঙ্গা কৃষি অফিসারের সাথে যোগাযোগ করে তারপর চাষ শুরু করি। এছাড়াও ফসলি অ্যাপ ও ইউটিব থেকেও ভিডিও দেখে বিভিন্ন সমস্যার সমাধান জানতে পেরেছি। তবে আমাদের দীঘিনালা উপজেলা কৃষি অফিস থেকে তেমন কোন পরামর্শ পায়নি। তিনি আরো বলেন, আমাদের কৃষি অফিস থেকে নতুন নতুন ফসলের চাষ পদ্ধতি ও বীজ পেলে এলাকার অনেক লোক তামাক চাষ ছেড়ে দেবে। তামাক চাষ করা ক্ষতি জেনেও চাষ করার কারণ- তামাক পাতা বেচার নিশ্চয়তা আছে। সবজি চাষ করলে অনেক সময় পুঁজিও উঠেনা।