পলাতক আসামি তারেকের চক্রান্ত শেষ হচ্ছে না : প্রধানমন্ত্রী

20

বাংলাদেশের অগ্রগতি নিয়ে পলাতক দন্ডপ্রাপ্ত আসামি তারেক রহমান চক্রান্ত করছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, তার সরকার সব ধরণের চক্রান্ত মোকাবেলা করে দেশকে এমন একটি অবস্থানে নিয়ে গেছে, যাতে বাংলাদেশকে সম্মান করতে হবে বিশ্বকে।
গতকাল শনিবার দেশে ফেরার আগে প্যারিসে এক নাগরিক সংবর্ধনায় ভার্চুয়াল মাধ্যমে যোগ দিয়ে তিনি এ কথা বলেন। প্রবাসী বাংলাদেশি কমিউনিটি এ সংবর্ধনার আয়োজন করে।
প্রধানমন্ত্রী প্রবাসী বাংলাদেশিদের দেশে স্থাপিত ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগ করার আহ্বান জানান। রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদ সংস্থা বাসস জানায়, সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে ফ্রান্সসহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিরা অংশ নেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১০ ট্রাক অস্ত্র উদ্ধার ও ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার পলাতক আসামি তারেক রহমান বিদেশে অবস্থান করে দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে। তিনি বলেছেন, ‘২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার সাথে তারা যে সরাসরি জড়িত, এটা প্রমাণিত সত্য। আর সেই মামলায় তারেক জিয়া সাজাপ্রাপ্ত আসামি। এখন সে সাজাপ্রাপ্ত আসামি হিসেবে পলাতক। পলাতক হিসেবে বাইরে বসে দেশের ভেতরে এখনও তার চক্রান্ত শেষ হচ্ছে না। চক্রান্ত সে চালিয়ে যাচ্ছে। আমরা এই সব চক্রান্ত মোকাবেলা করে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি।আজকে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে’।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পদচিহ্ন অনুসরণ করে বাংলাদেশকে একটি উন্নয়নশীল দেশে পরিণত করতে সক্ষম হওয়ার কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, ‘তাই, এখন থেকে কেউ আমাদের অবহেলা করতে পারবে না। বিশ্ব অবশ্যই আমাদের সম্মান করবে কেননা আমরা দেশকে এমন উচ্চতায় নিয়ে এসেছি’।
তিনি বলেন, দেশকে বর্তমান অবস্থানে পৌঁছে দিতে তার সরকারকে বিএনপি-জামায়াত জোটের অগ্নিসংযোগ, তাকে হত্যার জন্য হামলার মতো অনেক বাধাবিপত্তি ও ষড়যন্ত্রের মুখোমুখি হতে হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২১ বছর পর দায়িত্ব গ্রহণ করে তারা দেশ ও জনগণের অগ্রগতির জন্য কাজ করে যাচ্ছেন। অথচ অতীতে বিএনপি-জামায়াত চক্র দুর্নীতি ও ঋণ খেলাপির সংস্কৃতি চালু করে শুধু নিজেদের ভাগ্য বদলের জন্য অর্থ হাতিয়ে নিয়েছে।
বর্তমান সরকার বাংলাদেশে ১০০টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল নির্মাণ করেছে উল্লেখ করে তিনি এসব অঞ্চলে বিনিয়োগের জন্য প্রবাসী বাংলাদেশিদের প্রতি আহ্বান জানান।
‘প্রবাসীরা এসব অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগ করলে তাদের বিশেষ সুবিধা দেওয়া হবে’ বলে তিনি উল্লেখ করেন। দেশের উন্নয়নে প্রবাসীদের অবদানের কথা স্মরণ করে শেখ হাসিনা বলেন, অতীতে গণতান্ত্রিক সব সংগ্রাম ও আন্দোলনে প্রবাসী বাংলাদেশিরা সব সময় জনগণের পাশে ছিলেন।
কোভিড মহামারী সফলভাবে নিয়ন্ত্রণে রেখে জীবন ও জীবিকার সুরক্ষার পাশাপাশি দেশের অর্থনীতির চাকা চালু রাখতে তার সরকারের নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপের কথাও তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘সাধারণ মানুষ, চাকরিজীবী, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীসহ সবাইকে বিনামূল্যে টিকা দেওয়া হয়েছে, যা অনেক উন্নত দেশও করতে পারেনি’।
তিনি মহামারিকালে সংক্রমণ থেকে সুরক্ষায় সবাইকে মাস্ক পরে থাকতে আবারও আহ্বান জানান।
দেশের সবচেয়ে বড় উন্নয়ন প্রকল্প পদ্মা সেতুর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, বিশ্বব্যাংক এ প্রকল্পের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ তুলে ধরলেও তা পরে কানাডার আদালতে ভিত্তিহীন প্রমাণিত হয়েছে। নিজেদের অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণে তার সরকারের দৃঢ় পদক্ষেপ বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ও মর্যাদা বিশ্বে আরও সুমুজ্জল করেছে বলে তিনি যোগ করেন। খবর বিডিনিউজের
স্কটল্যান্ডের গøাসগোতে জলবায়ু সম্মেলনে অংশ নেওয়ার পর লন্ডন ও ফ্রান্স সফরে যান প্রধানমন্ত্রী। গতকাল শনিবার ফ্রান্সের স্থানীয় সময় বিকালে তিনি দেশের পথে রওনা দিয়েছেন।