পরীক্ষিত ও যোগ্য নেতাদের নিয়েই কমিটি গঠন হবে

17

কোনো প্রকার ব্যক্তিগত পছন্দ ও অপছন্দকে প্রশ্রয় না দিয়ে দলের তৃণমূলের ত্যাগী, পরীক্ষিত, দক্ষ ও যোগ্য নেতাদের নিয়ে শীঘ্রই দক্ষিণ জেলা বিএনপির কার্যনির্বাহী কমিটি গঠন করা হবে বলে জানিয়েছেন আহবায়ক আবু সুফিয়ান। গতকাল চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।
আবু সুফিয়ান বলেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সরকার দলীয় ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগ মধ্যযুগীয় বর্বরতা চালাচ্ছে। দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীরা এখন শান্তিতে নেই। যারা ভিন্ন মতের আর্দশ লালন করে, প্রশাসনের ছত্রছায়ায় তাদের উপর জুলুম-নির্যাতন চালাচ্ছে সরকার দলীয় নেতাকর্মীরা। আওয়ামী লীগ সরকার দেশের স্বার্থ বিলিয়ে দিয়েছে ভারতের কাছে। তারা ভারতের সাথে যে চুক্তি করেছে তাতে বাংলাদেশের ন্যূনতম স্বার্থ রক্ষা করা হয়নি। চুক্তিতে কি আছে সেটা প্রকাশ করা দরকার। যা জেনেছি, চুক্তিতে বাংলাদেশ কিছুই পায়নি। তারা শতভাগ ভারতের কাছে বিলিয়ে দিয়েছেন।
কেন্দ্র থেকে ৬৫ সদস্যের আহব্বায়ক কমিটি গঠনের পর প্রথমবার মিডিয়ার সামনে আসেন কমিটির নেতারা। নবগঠিত কমিটির এটা প্রথম সভাও। সভায় সাংবাদিকদের সহযোগিতা প্রত্যাশা করেন আবু সুফিয়ান।
আবু সুফিয়ান বলেন, নেতাকর্মীদের উপর হামলা মামলার পরও বিএনপি মানুষের অধিকারের কথা বলে যাচ্ছে। সা¤প্রতিক সময়ের ঘটনাগুলো প্রমাণ করে আওয়ামী লীগ রাজনৈতিক চরিত্র হারিয়ে একটি সন্ত্রাসী সংগঠনে পরিণত হয়েছে। আওয়ামী লীগ তাদের ছাত্র, যুব ও দলীয় কর্মীদের নিয়ন্ত্রণ করতে সম্পূর্ণরূপে ব্যর্থ হয়েছে। কোনো প্রকার আদর্শের ভিত্তিতে সংগঠন পরিচালনা না করে শুধু পেশীশক্তি নির্ভর দল পরিচালনায় কী ভয়াবহ পরিণতি আনে তা আজ স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। মানুষের জানমালের নিরাপত্তা ও স্বাভাবিক জীবনের নিশ্চয়তা এ দেশে এখন সুদূর অতীতের গল্প। ছাত্রলীগ কর্তৃক আবরার হত্যাকান্ড একটি উদাহরণ মাত্র। সারাদেশে বিরোধী দল ও মতের মানুষের ওপর আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসী সংগঠন যুবলীগ-ছাত্রলীগের অত্যাচার যেকোনো সময়ের তুলনায় সীমা ছাড়িয়ে গেছে।
তিনি বলেন, একটি গণতান্ত্রিক দেশে বিরোধী দলের উপর এত দমন নিপীড়ন পৃথিবীর ইতিহাসে নেই। রাজনৈতিক সংগঠন হিসেবে বিগত ১৩ বছর ধরে বিএনপি সীমাহীন প্রতিকূলতার মধ্যদিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। ১১/১ এর অসাংবিধানিক সরকার এবং পরবর্তী আওয়ামী লীগ সরকার বিএনপিকে নিশ্চিহ্ন করার হীন ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। বিএনপিকে স্বাভাবিক রাজনৈতিক সাংগঠনিক কর্মকান্ডও পরিচালনা করতে দিচ্ছে না।
নিজেদের কার্যক্রম সম্পর্কে তিনি বলেন, আগামীকাল (আজ) শুক্রবার আহব্বায়ক কমিটির প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হবে। পরবর্তীতে ঢাকার শেরে বাংলা নগরে শহীদ জিয়ার কবর জিয়ারতের মাধ্যমে দক্ষিণ জেলা বিএনপির আনুষ্ঠানিক র্কাযক্রম শুরু হবে। আগামী ৩ মাসের মধ্যে ইউনিয়ন, পৌরসভা ও উপজেলায় সম্মেলনের মাধ্যমে কমিটি দেয়া হবে।
অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী জাফরুল ইসলাম চৌধুরী, যুগ্ম আহব্বায়ক আলী আব্বাস ও সদস্য সচিব মোস্তাক আহমেদ খান। উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক শেখ মো. মহিউদ্দিন, ইদ্রিস মিয়া চেয়ারম্যান, অ্যাড. ইফতেখার হোসেন চৌধুরী, মোশারফ হোসেন, এম রহিম, এড. মো. ফোরকান, বদরুল খায়ের চৌধুরী, এহসান এ খান, এম. মঞ্জুর উদ্দিন চৌধুরী, কামরুল ইসলাম হোসাইনী, এসএম মামুন মিয়া, মজিবুর রহমান চেয়ারম্যান, মোজাফফর আহাম্মেদ টিপু, লিয়াকত আলী, অ্যাড. নূরুল ইসলাম প্রমুখ।