পরমাণু যুদ্ধের হুমকি ছোট করে দেখবেন না: রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী

27

পূর্বদেশ অনলাইন
ইউক্রেন ইস্যুতে সামনে আসা পরমাণু যুদ্ধের হুমকিকে খাটো করে না দেখতে পশ্চিমাদের সতর্ক করেছে রাশিয়া। সোমবার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ সতর্ক করে বলেছেন, কিয়েভকে অস্ত্র সহায়তা দিয়ে পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটো মূলত রাশিয়ার সঙ্গে ‘ছায়া যুদ্ধে’ লিপ্ত রয়েছে। রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে সম্প্রচারিত সাক্ষাৎকারে ব্যাপক পরিসরে কথা বলেন রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ। তিনি বলেন, ইউক্রেন সংঘাত অবসানে কোনও চুক্তি সই করতে হলে তা মূলত নির্ভর করবে মাঠের সামরিক পরিস্থিতির ওপর।
ল্যাভরভের কাছে তৃতীয় বিশ্ব যুদ্ধ এড়ানোর গুরুত্ব জানতে চাওয়া হয়। এছাড়া বর্তমান পরিস্থিতির সঙ্গে ১৯৬২ সালে কিউবার ক্ষেপণাস্ত্র সংকটের তুলনা হয় কিনা জানতে চাওয়া হয়।
জবাবে ল্যাভরভ বলেন, রাশিয়া পরমাণু যুদ্ধ এড়ানোর নীতি সমুন্নত রাখতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে। তিনি বলেন, ‘এটাই আমাদের মূল অবস্থান, যার ওপর ভিত্তি করে সবকিছু হচ্ছে। ঝুঁকি এখন বিবেচনাযোগ্য। আমি কৃত্রিমভাবে সেই ঝুঁকিগুলো সামনে আনতে চাই না। অনেকেই তা চাইবেন। বিপদ গুরুতর, বাস্তব। আর আমাদের এটি অবমূল্যায়ন করা উচিত নয়।’
দুই মাসের বেশি সময় ধরে ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসন চলছে। ১৯৪৫ সালের পর কোনও ইউরোপীয় দেশে এটাই সবচেয়ে বড় আক্রমণ। এতে হাজার হাজার মানুষ হতাহত হয়েছে, ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়েছে বহু শহর ও নগর। প্রায় ৫০ লাখ ইউক্রেনীয় দেশ ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন। মস্কো নিজেদের পদক্ষেপকে ‘বিশেষ অভিযান’ বলছে। তাদের দাবি, এই অভিযানের লক্ষ্য ইউক্রেনকে নিরস্ত্রীকরণ করা এবং দেশটিকে ফ্যাসিবাদ থেকে রক্ষা করা। ইউক্রেন এবং পশ্চিমাদের দাবি মস্কো এসব মিথ্যা অজুহাতে উস্কানিহীন আগ্রাসন শুরু করেছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
মস্কোর পদক্ষেপের পক্ষ নিয়ে আলোচনার ঘাটতির জন্য ওয়াশিংটনকে দায়ী করেন সের্গেই ল্যাভরভ। তিনি বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র কার্যত সমস্ত যোগাযোগ বন্ধ করে দিয়েছে কারণ ইউক্রেনে রাশিয়ানদের রক্ষা করতে আমরা বাধ্য ছিলাম।’ ল্যাভরভ দাবি করেন পশ্চিমারা স্পর্শকাতর অস্ত্র সরবরাহ করায় এই সংঘাত অবসানের বদলে দীর্ঘমেয়াদি লড়াইয়ে পরিণত হতে যাচ্ছে। ইউক্রেনকে জাভেলিন ট্যাংক বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র, সাঁজোয়া যান, অত্যাধুনিক ড্রোন সরবরাহ করা হচ্ছে বলে জানান তিনি। ল্যাভরভ বলেন, ‘বিশেষ অভিযানের প্রেক্ষাপটে রাশিয়ার সামরিক পদক্ষেপের জন্য এই অস্ত্রগুলো বৈধ নিশানা হবে’। সূত্র: রয়টার্স