পরবর্তী নির্বাচন নওয়াজ শরিফের সিদ্ধান্তে

26

পূর্বদেশ ডেস্ক

পাকিস্তান মুসলিম লীগের (নওয়াজ) সহ-সভাপতি মরিয়ম নওয়াজ বলেছেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ সিদ্ধান্ত দেওয়ার পর পাকিস্তানে পরবর্তী জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সেই সঙ্গে ইমরান খান কীভাবে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শূন্য পারফরম্যান্স নিয়ে আগামী নির্বাচনে জনগণের মুখোমুখি হবেন সেই প্রশ্ন করেছেন তিনি।
পিটিআই প্রধান তার দুর্বল অর্থনৈতিক পারফরম্যান্সের বোঝা পিএমএলের (এন) ওপর চাপাতে চাইলে ব্যর্থ হবেন মন্তব্য করে মরিয়ম বলেন, খেলা এখন ইমরান খানের হাতে নেই। নিজের ব্যর্থতার দায় থেকে বাঁচার চেষ্টা করছেন তিনি (ইমরান)। পিটিআই সরকার দেশের অর্থনীতির জন্য ল্যান্ডমাইন পুঁতে এবং ভেন্টিলেটরে রেখে গেছেন।
দ্য ডন পত্রিকা সূত্রে জানা যায়, গত রবিবার পাকিস্তানের গুজরাটের কোটলা শহরে দলীয় কর্মীদের এক সমাবেশে এসব কথা বলেন মরিয়ম নওয়াজ।
এর আগে গত শনিবার পাঞ্জাবের শিয়ালকোটে এক জনসভায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান তাকে হত্যার ষড়যন্ত্র চলছে দাবি করে বলেন, এই ষড়যন্ত্রের সঙ্গে যারা জড়িত, তাদের নাম ও পরিচয় দিয়ে একটি ভিডিও তৈরি করেছেন। তার কিছু হলে হত্যাকারী কারা ও তাদের পরিচয় যেন জনগণের সামনে উন্মোচিত হয় এজন্য একটি ভিডিওটি তৈরি করে রেখেছেন তিনি। তবে রবিবারের জনসভায় ইমরান খানের সেই দাবি উড়িয়ে দিয়েছেন মরিয়ম নওয়াজ। বলেছেন, ইমরান খানকে হত্যা চেষ্টার অভিযোগ ও এর সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের নামসহ তৈরি সেই ভিডিও প্রকাশ করা হলে প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের চেয়েও পিটিআই প্রধানের (ইমরান খান) জন্য বেশি নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হবে। খবর বাংলানিউজের
মরিয়ম নওয়াজ বলেন, ‘ইমরান খান কোনো ট্র্যাজেডি ঘটার জন্য অপেক্ষা করবেন না। যদিও আমি নিশ্চিত যে ভিডিও তৈরির বিষয়টি মিথ্যা এবং আমি আপনাকে (খান) গ্যারান্টি দিই যে নওয়াজ শরিফের একটি বড় হৃদয় রয়েছে এবং তিনি নিরাপত্তার ব্যবস্থা নিশ্চিত করবেন। আপনার জন্য শাহবাজ শরিফের চেয়েও বেশি নিরাপাত্তার ব্যবস্থা করবেন।’
নওয়াজ কন্যা বলেন, ‘আমি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রানা সানাউল্লাহকে ইমরান খানের কাছ থেকে সেই ভিডিওটি সংগ্রহ করতে এবং পরবর্তী কোনো ট্র্যাজেডি ঘটার জন্য অপেক্ষা না করতে বলব। নওয়াজ শরিফের বিজয় দেখতে ইমরানের জীবনের জন্য প্রার্থনা করবেন। কারাগারে নওয়াজ শরিফের কাছ থেকে এয়ার কন্ডিশনার সুবিধা প্রত্যাহারের হুমকি দেওয়ার জন্য কট‚ক্তি করে পিটিআই প্রধানকে তিনি মনে করিয়ে দেন যে, তার বাবাই (নওয়াজ) ২০১৩ সালে নিজের নির্বাচনী প্রচার স্থগিত করে তাকে (ইমরান) হাসপাতালে দেখতে গিয়েছিলেন।