পবিত্র হজ : মুসলিম উম্মাহ’র ঐক্য-সম্মিলন-ইবাদত

17

মির্জা ইমতিয়াজ শাওন

হজ ইসলামের মৌলিক পাঁচ ভিত্তির অন্যতম। শারীরিক ও আর্থিকভাবে সামর্থ্যবান নারী-পুরুষের ওপর হজ ফরজ। কোরআনে বলা হয়েছে, ‘আল্লাহর তরফ থেকে সেসব মানুষের জন্য হজ ফরজ, যারা তা আদায়ের সামর্থ্য রাখে (সুরা আলে ইমরান; আয়াত: ৯৭)।’ ২০২২ সালের পবিত্র হজ পালিত হবে আগামী ৮ জুলাই। সৌদি আরব এমনটি ঘোষণা করেছে। গত বুধবার (২৯ জুন) সৌদি আরবে জিলহজ মাসের চাঁদ দেখা গেছে। এ পরিপ্রেক্ষিতে সেখানে ৩০ জুন জিলহজ মাস গণনা শুরু হয়। এ হিসেবে আগামী ৮ জুলাই শুক্রবার হজের মূল কার্যক্রম ‘ইয়াওমে আরাফা’ অনুষ্ঠিত হবে। হিজরি জিলহজ মাসের ৯ তারিখ হজের নির্ধারিত দিন। এ দিন বিশ্ব মুসলিম উম্মাহ ঐতিহাসিক স্মৃতি বিজড়িত মিলনস্থল আরাফাতের ময়দানে উপস্থিত হন।
হজের প্রকারভেদ : সম্পাদন পদ্ধতি অনুসারে হজ তিন প্রকার: (১) ইফরাদ, (২) কিরান ও (৩) তামাত্তু। শুধু হজের ইহরামের নিয়ত করে তা সম্পন্ন করলে একে ‘ইফরাদ হজ’ বা একক হজ বলা হয়। ইফরাদ হজ পালনের জন্য ঢাকা থেকে শুধু হজের ইহরামের নিয়ত করে মক্কায় পৌঁছার পর তাওয়াফ ও সায়ি করে ইহরাম না ছেঙে ১০ জিলহজ হজ সম্পাদন হওয়ার পর ইহরাম ছাড়তে হবে।
একই ইহরামে হজ ও ওমরাহ একত্রে সম্পন্ন করলে তাকে ‘কিরান হজ’ বা যৌথ হজ বলা হয়। একত্রে ইহরামের নিয়ত করে মক্কায় পৌঁছার পর প্রথমে ওমরাহর তাওয়াফ ও সায়ি করে ইহরাম না ছেঙে সেই ইহরামেই হজ সম্পাদন করে ১০ জিলহজ ইহরাম ছাড়তে হবে।
একই সফরে প্রথমে ওমরাহর ইহরামের নিয়ত করে, তা সম্পন্নপূর্বক হজের জন্য নতুন করে ইহরামের নিয়ত করে তা সম্পাদন করাকে ‘তামাত্তু হজ’ বা সুবিধাজনক হজ বলা হয়। বাংলাদেশ থেকে অধিকাংশ হাজি তামাত্তু হজ করে থাকেন। তামাত্তু হজের ক্ষেত্রে ঢাকা থেকে শুধু ওমরাহর ইহরামের নিয়ত করে মক্কা শরিফ পৌঁছে তাওয়াফ ও সায়ি করে চুল কেটে বা মাথা মুন্ডন করে ইহরাম সমাপ্ত করতে হবে। এরপর ৭ জিলহজ হজের জন্য নতুন করে ইহরামের নিয়ত করে ১০ জিলহজ তা সমাপ্ত করতে হবে।
কিরান ও তামাত্তু হজে দমে শোকর বা কোরবানি দেওয়া ওয়াজিব। অন্যথা ১০টি রোজা পালন করতে হবে, এর মধ্যে অন্তত তিনটি রাখতে হবে হজকালীন মক্কায়, তবে হজের বা আরাফাতের দিন ও কোরবানির ঈদের দিন ব্যতীত অন্য দিনগুলোতে।
হজ এর ১ম দিন : মিনার উদ্দেশে যাত্রা- ৮ জিলহজ থেকে ১২ জিলহজ পর্যন্ত এই পাঁচ দিনকে হজের দিন বলা হয়। আপনি যদি তামাত্তু হজ পালনকারী হয়ে থাকেন তাহলে এ দিন আগের মতো আবার ইহরাম বেঁধে নিন। তারপর এভাবে ইহরামের নিয়ত করুন : ‘হে আল্লাহ আমি তামাত্তু হজ করতে ইচ্ছা করেছি, আপনি এ হজ আমার জন্য সহজ করে দিন এবং আমার পক্ষ থেকে কবুল করুন।’ নিয়তের সঙ্গে সঙ্গে তিনবার তালবিয়া একটু উচ্চস্বরে পড়ুন। (মহিলারা নীরবে পড়ুন)। যারা কিরান বা ইফরাদ হজ পালন করার নিয়ত করেছেন, তারা তো আগে থেকেই ইহরামের অবস্থায় আছেন, কাজেই নতুন করে ইহরাম বাঁধতে হবে না। ৮ জিলহজ সকালে ইহরাম বাঁধা অবস্থায় মিনার উদ্দেশে রওনা হবেন। জোহর, আসর, মাগরিব, এশা এবং ৯ জিলহজের ফজরের নামাজ মিনায় আদায় করা এবং রাতে মিনায় অবস্থান করা সুন্নাত।
মিনা : তাবুর শহর হিসেবে পরিচিত মিনা হল সৌদি আরবের মক্কা প্রদেশের অন্তর্ভুক্ত মক্কা শহরের পার্শ্ববর্তী এলাকা। মক্কা থেকে এর দূরত্ব ৫ কিমি এবং এটি মক্কা থেকে আরাফাতের দিকে যাওয়ার সড়কের পাশে অবস্থিত। এর আয়তন প্রায় ২০ বর্গকিমি। হজের অংশ হিসেবে মিনায় অবস্থান করতে হয় বলে মিনা অধিক পরিচিত। ১,০০,০০০ এর চেয়েও বেশি শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত তাবুতে হাজিদের সাময়িক অবস্থানের ব্যবস্থা করা হয়। তিন দিন অবস্থানকারী হজযাত্রীদের জন্য আরামদায়ক থাকার পরিবেশ প্রদানের জন্য সৌদি আরব ধারাবাহিকভাবে কয়েক বিলিয়ন মার্কিন ডলার ব্যয় করে মিনায় বিশ্বের বৃহত্তম তাবুর শহর নির্মাণ করেছে। দামি উপকরণ টেফলন ও ফাইবার গøাসে তৈরি তাবুর ব্যবহার শুরু হয়। এর খরচ বাড়ি নির্মাণের চেয়েও বেশি। কিন্তু এরকম তাবু আগুণ ও বাতাস প্রতিরোধক এবং কমপক্ষে ৫০ বছর ব্যবহার করা যায়। সুতরাং এ শহরটি দেখতে খুবই সুন্দর। পাশাপাশি হজযাত্রীদের জন্য নিরাপদ ও আরামদায়ক জায়গা। শয়তানের প্রতীক স্তম্ভে পাথর নিক্ষেপ করার হজের রীতি মিনায় সম্পাদন করা হয়।
হজের দ্বিতীয় দিন- আরাফায় অবস্থান : হজের দ্বিতীয় দিন ৯ জিলহজ আরাফায় অবস্থান ফরজ। ফজরের নামাজ মিনায় পড়ে আরাফার ময়দানের দিকে রওনা করতে হয়। প্রয়োজনে ফজরের আগে রাতেও আরাফার উদ্দেশে রওনা করা যাবে। আরাফার ময়দানে দুপুর ১২টার পর থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত অবস্থান করতে হবে। আরাফার ময়দানে দোয়া কবুল হয়। সুতরাং এ সময় সবাইকে দোয়ায় মগ্ন থাকা উচিত। আরাফার ময়দানে জাবালে রহমতের কাছাকাছি অবস্থান করা ভালো। জোহর এবং আসরের নামাজ মসজিদে নামিরায় জামাতের সঙ্গে নির্দিষ্ট শর্তানুসারে আদায় করা উত্তম। তবে ওই জামাতে শরিক হওয়া সম্ভব না হলে যথাসময়ে জোহরের ওয়াক্তে জোহর এবং আসরের ওয়াক্তে আসর নিজ নিজ তাঁবুতে আজান-ইকামতসহকারে জামাতের সঙ্গে পড়–ন।
জিলহজের নয় তারিখে হাজি সাহেবগণ যখন আরাফার ময়দানে অবস্থান করেন তখন তাদের ওপর আল্লাহ তায়ালার তরফ থেকে অগণিত রহমত নাজিল হতে থাকে। অসংখ্য আদম সন্তানকে মাফ করে দেয়া হয়। এই অবস্থা দেখে শয়তানের গায়ে জ্বালা শুরু হয়। এবং আরাফার দিন শয়তান যতটুকু রাগান্বিত হয় অন্য কোনো সময় এত রাগান্বিত হয় না। হাদিসে এসেছে ‘শয়তান অন্যকোনো দিনে নিজেকে এত ছোট, অপদস্ত মনে করে না যতটুকু আরাফার দিনে মনে করে। ওকে এত বেশি রাগান্বিত কখনো দেখা যায় না যতটুক আরাফার দিনে দেখা যায়। তার এই অবস্থার কারণ হচ্ছে আল্লাহ তায়ালার পক্ষ থেকে রহমত নাজিল হওয়া এবং অগণিত গোনাহগার বান্দাকে ক্ষমা করে দেয়া। (মুয়াত্তা ইমাম মালেক)। নবী করিম (সা.) বলেন, আরাফার দিনে যে পরিমান বান্দাকে আল্লাহ তায়ালা মুক্ত করেন, অন্যকোনো সময়ে তা হয় না। আল্লাহ তায়ালা তখন আপন রহম ও দয়ার গুণের সঙ্গে আরাফায় অবস্থানকারী বান্দাদের কাছাকাছি চলে আসেন। তারপর ফেরেস্তাদের সঙ্গে ফখর করে বলেন, তারা (আরাফায় অবস্থানকারী বান্দারা) কী চায়? (সহীহ মুসলিম)। রহমত ও দয়ার গুণের সঙ্গে আরাফায় অবস্থানকারীদের নিকটে এসে যাওয়ার দ্বারা ইঙ্গিত হচ্ছে বান্দাদেরকে ক্ষমা করে দেয়া।
মুজদালিফায় অবস্থান : মিনা ও আরাফার মাঝখানে অবস্থিত ময়দানের নাম মুজদালিফা। এখানে ১০ জিলহজ রাত (৯ জিলহজ দিবাগত রাত) অতিবাহিত করা হাজিদের জন্য জরুরি। মুজদালিফায় পৌঁছে এশার ওয়াক্ত হলে এক আজান ও এক ইকামতে প্রথমে মাগরিবের ফরজ তারপর এশার ফরজ পড়ুন এরপর মাগরিবের ও এশার সুন্নাত এবং বেতর পড়ুন। মাগরিব ও এশার নামাজ পড়ার পর সুবহে সাদিক পর্যন্ত মুজদালিফায় অবস্থান করা সুন্নাতে মুআক্কাদাহ্। সুবহে সাদিক থেকে সূর্যোদয় পর্যন্ত অবস্থান ওয়াজিব। এ রাতে জাগ্রত থাকা ও ইবাদতে নিমগ্ন হওয়া মোস্তাহাব। হজের আনুষ্ঠানিকতার অংশ হিসেবে ৯ জিলহজ রাত ও ১০ জিলহজ সুবহে সাদিকের পর থেকে সূর্য অস্ত যাওয়ার আগ পর্যন্ত মুজদালিফায় অবস্থান করা ওয়াজিব। মুজদালিফায় অবস্থান প্রসঙ্গে কোরআনে কারিমে আল্লাহ উল্লেখ করেন, ‘যখন তোমরা আরাফা থেকে প্রত্যাবর্তন করো তখন আল্লাহকে স্মরণ করো (মাশয়ারুল হারামে) মুজদালিফায়। স্মরণ করো যেভাবে তিনি নির্দেশ দিয়েছেন, তোমরা তো ইতোপূর্বে পথভ্রষ্ট ছিলে। ’ সূরা বাকারা: ১৯৮।
আরাফাত ময়দান, জাবালে রহমত, মুজদালিফা: জাবালে রহমত, ক্ষমার পাহাড় হিসেবেও পরিচিত। রাসূল হযরত মুহাম্মদ (সা) এখানে দাঁড়িয়ে বিদায় হজের ভাষণ দিয়েছিলেন। জনশ্রুতি আছে, হজরত আদম (আ.) ও বিবি হাওয়া পুনরায় এখানে একে অপরের দেখা পেয়েছিলেন। জিলহজের ৯ তারিখ আরাফাতের দিন হাজীরা আরাফাতে অবস্থান করেন এবং আল্লাহর কাছে নিজের পাপ মুক্তির জন্য ক্ষমা চান।
জাবাল মানে পাহাড়। জাবালে রহমত হলো, রহমতের পাহাড়। জাবালে রহমত সৌদি আরবের মক্কার পূর্ব দিকে আরাফাতে অবস্থিত একটি পাহাড়। একে জাবালে রহমত (রহমতের পাহাড়) বলেও উল্লেখ করা হয়। রাসূল মুহাম্মদ (সা) এখানে দাঁড়িয়ে হজীদের সামনে বিদায় হজের ভাষণ দিয়েছিলেন। পাহাড়টি গ্রানাইটে গঠিত এবং উচ্চতা প্রায় ৭০ মি। এই পাহাঙে একটি উঁচু পিলার আছে। একে কেউ কেউ দোয়ার পাহাড়ও বলেন। পিলারের কাছে যাওয়ার জন্য পাহাঙের গায়ে সিঁড়ি করা আছে। সিঁড়ি বেয়ে চূড়ায় উঠা যায়।
এই পাহাঙের চতুর্দিকে দৈর্ঘ্যে প্রস্থে দুই মাইল। এই বিরাট সমতল ময়দানের নাম আরাফাত। ময়দানের তিন দিক পাহাড়বেষ্টিত। ময়দানের দক্ষিণ পাশ ঘেঁষে মক্কা হাদা তায়েফ রিং রোড। এই সড়কের দক্ষিণ পাশে আবেদি উপত্যকায় মক্কার উম্মুল কোরআন বিশ্ববিদ্যালয়। উত্তরে সাদ পাহাড়। সেখান থেকে আরাফাত সীমান্ত পশ্চিমে প্রায় এক কিলোমিটার। সেখান থেকে দক্ষিণে মসজিদে নামিরায় গিয়ে আরাফাত সীমান্ত শেষ হয়েছে।
জাবালে রহমত মুসলিমদের নিকট খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি পাহাড়। মুজদালিফা সৌদি আরবের মক্কা নগরীর নিকটবর্তী একটি সমতল এলাকা। এই স্থান হজের সাথে সম্পর্কিত। মিনা ও আরাফাতের পথে মিনার দক্ষিণ পূর্বে এর অবস্থান। প্রতিবছর ৯ জিলহজ তারিখে আরাফাতে অবস্থানের পর মুসলিমরা মুজদালিফায় আসে। এখানে রাত্রিযাপন করা হজ্জের অংশ। পরবর্তীতে মিনায় শয়তানের প্রতীক স্তম্ভে পাথর নিক্ষেপের জন্য এখানে থেকে পাথর সংগ্রহ করা হয়।
আরাফার ময়দানে অবস্থান সংক্রান্ত বিভিন্ন বিধিবিধান : আরাফার ময়দানে অবস্থান করার জন্য গোসল করে নেয়া মুস্তাহাব। আরাফার ময়দানে সবজায়গায় অবস্থান করা বৈধ। তবে রাস্তা এবং জনবিচ্ছিন্নভাবে অবস্থান করাকে উলামায়ে কেরাম মাকরূহ বলেছেন। আরাফায় অবস্থানের জন্য বতনে আরনা নামক স্থানকে নির্বাচন করা নাজায়েজ। বতনে আরনা হচ্ছে একটি পাহাড়ি উপত্যকা, যা আরাফার মসজিদের পশ্চিম পার্শ্বে একেবারে লাগুয়া। উলামায়ে কেরামের মতে উক্ত স্থানটি আরাফার ময়দানের বাহিরে অবস্থিত। অবস্থানের জন্য উত্তম পদ্ধতি হচ্ছে সূর্য হেলে যাওয়ার আগ পর্যন্ত মসজিদে নামিরার নিকটে অবস্থান করা। তারপর সুযোগ হলে জোহরের নামাজের পরেই বা আসরের নামাজের পর জাবালে রহমতে গিয়ে অবস্থান করা। আরাফায় অবস্থানের সময় খুব বেশি দোয়া, ইস্তেগফার ও জিকির-আজকার করা। উলামায়ে কেরাম বলেন, আরাফায় অবস্থানের সময় হাত ওঠিয়ে দোয়া করা মুস্তাহাব। নিজের জন্য, পিতা-মাতা, আত্মীয়-স্বজন ও বন্দু-বান্ধবের জন্য দোয়া করা। দোয়ার মাঝে মাঝে তালবিয়া তথা ‘লাব্বায়িক আল্লাহুমমা লাব্বায়িক…. পাঠ করা। দোয়া কবুল হওয়ার ব্যাপারে দৃঢ় বিশ্বাস রাখা। একাগ্রতার সঙ্গে দোয়ায় মগ্ন হওয়া। মনে রাখতে হবে, সব জায়গায় সমানভাবে দোয়া কবুল হয় না। বরং তার নির্দিষ্ট কিছু জায়গা আছে যেখানে দোয়া কবুল হওয়ার আশা বেশি। এমন একটি স্থান হচ্ছে আরাফার ময়দান। তাই দোয়ার ব্যাপারে গুরুত্ব দেয়া। গাফেলতির সঙ্গে বা শুয়ে শুয়ে আরাফায় অবস্থানের সময় পার করাকে উলামায়ে কেরাম মাকরূহ বলেছেন। তাই হাজিদের কর্তব্য হচ্ছে উক্ত সময়টাকে গণিমত মনে করা। প্রসিদ্ধ ঘটনা আছে এক গরিবকে আল্লাহ তায়ালা ধনী বানানোর সিদ্ধন্তা নিলেন। তাই কারো ওসিলায় তার সামনে এনে একটা স্বর্ণের টুকরা রেখে দিলেন। কিন্তু ওই লোকের বদ আমলের কারণে সে ওই সম্পদ থেকে বিরত হলো। কারণ, যখন সে স্বর্ণের টুকরার সামনে এলো তখন সে অন্ধলোক কীভাবে হাটে তা দেখানোর জন্য চোখ বন্ধ করলো। আর এই ফাঁকে সে স্বর্ণের টুকরাটাকে পেছনে রেখে চলে এল। তাই আরাফার ময়দানেও আমাদের গাফেলতির কারণে আখেরাতে মুক্তির পরোয়ানা হাতছাড়া হয়ে যেতে পারে। তাই ওখানে আমাদের অবস্থা যেন ওই গরিবের মতো না হয়। সর্বশেষ কথা হচ্ছে হজের অংশ হওয়ার কারণে যেমন ইবাদতের দিক থেকে আরাফার ময়দান গুরুত্বপূর্ণ। বিশ্বমুসলিমের আন্তর্জাতিক সম্মেলনস্থল হওয়ার কারণেও আরাফার ময়দান গুরুত্বপূর্ণ।

লেখক : সাংবাদিক ও ব্যবস্থাপনা
পরিচালক : বা’বুল কাবা হজ কাফেলা