পবিত্র মাহে রমজান শুরু

31

নিজস্ব প্রতিবেদক

রহমত, মাগফিরাত ও নাজাতের সওগাত নিয়ে বছর ঘুরে আবার এলো মাহে রমজান। দেশের আকাশে গতকাল শনিবার হিজরি ১৪৪৩ সালের রমজান মাসের চাঁদ দেখা গেছে। শুরু হয়েছে মাসব্যাপী সিয়াম সাধনা। করোনা মহামারির মধ্যে রমজানে গত দুইবছর সামাজিক দূরত্ব মেনে এবাদত বন্দেগি করলেও এবার তেমন কোনো শর্ত আরোপ নেই। তবে তারাবির নামাজ একই নিয়মে পালনের আহবান জানিয়েছেন ইসলামিক ফাউন্ডেশন (ইফা)। দেশের আকাশে চাঁদ দেখা যাওয়াতে গতকাল রাতে মসজিদগুলোতে এশার নামাজের পরে প্রথম তারাবির জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। শেষ রাতে সেহরি খেয়ে আজ প্রথমদিনের রোজা রেখেছেন ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা।
বায়তুল মোকাররমে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সভাকক্ষে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির পক্ষ থেকে রমজানের চাঁদ দেখার বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা দেওয়া হয়। এরপর থেকে মসজিদে মসজিদে এশার নমাজের পর তারাবির নামাজ আদায়ের ব্যবস্থা করা হয়।
রমজান মাসের চাঁদ দেখার পর থেকেই ঘরে ঘরে রোজার প্রস্তুতি শুরু হয়ে যায়। এ মাসে প্রতিদিন সুবেহ সাদিক থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত দিবাভাগে পানাহারবঞ্চিত থেকে সংযমের মাধ্যমে আত্মশুদ্ধি অর্জন করে মহান আল্লাহতায়ালার অনুগ্রহ কামনা করবেন ধর্মপ্রাণ মুসলমানেরা। রাত কাটাবেন এবাদত-বন্দেগিতে। বিশ্বব্যাপী চলমান মহামারি থেকে রক্ষা পেতেও মহান আল্লাহর কাছে অনুগ্রহ প্রার্থনা করবেন তারা।রমজান শেষেই দেখা মিলবে মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতরের।
এদিকে রমজান মাসে খতম তারাবিহ পড়ার সময় সারাদেশের সব মসজিদে একই পদ্ধতি অনুসরণ করার জন্য ইসলামিক ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে আহŸান জানানো হয়েছে। ইসলামিক ফাউন্ডেশন জানায়, রমজান মাসে দেশের প্রায় সব মসজিদে খতম তারাবিহ নামাজে পবিত্র কোরআনের নির্দিষ্ট পরিমাণ পারা তিলাওয়াত করার রেওয়াজ চালু রয়েছে। তবে কোনো কোনো মসজিদে এর ভিন্নতা পরিলক্ষিত হয়। এতে কর্ম উপলক্ষে বিভিন্ন স্থানে যাতায়াতকারী মুসল্লিদের মধ্যে কোরআন খতমের ধারাবাহিকতা রক্ষা করা সম্ভব হয় না। এই অবস্থায় ধর্মপ্রাণ মুসল্লিদের মধ্যে একটি অতৃপ্তি ও মানসিক চাপ অনুভূত হয়। কোরআন খতমের পূর্ণ সওয়াব থেকেও তারা বঞ্চিত হন। এ পরিস্থিতি নিরসনকল্পে রমজানের প্রথম ছয় দিনে দেড় পারা করে নয় পারা এবং বাকি ২১ দিনে এক পারা করে ২১ পারা তিলাওয়াত করলে ২৭ রমজান রাতে অর্থাৎ পবিত্র শবে কদরে কোরআন খতম করা সম্ভব।