পনরই আগস্ট : বঙ্গবন্ধু, বাংলাদেশ, বাঙালিত্ব নামেয় তিনটি হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছিল

7

জামাল উদ্দিন

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট নৃশংস হত্যাকাÐের শিকার বাংলাদেশের স্থপতি, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। বঙ্গবন্ধুকে হত্যা নিছক কোন সাধারণ হত্যাকাÐ ছিল না। এদিন কেবল জাতির পিতাকে হত্যা করে রাষ্ট্র ক্ষমতা দখল করাই মূল উদ্দেশ্য ছিল না। সেদিন তিনটি হত্যাকাÐ সংঘটিত হয়েছিল। এক. বঙ্গবন্ধু, দুই. বাংলাদেশ এবং তিন. বাঙালিত্ব। আমরা অনেক সময় দাবি করি, এ অঞ্চলের মানুষ অসা¤প্রদায়িক চেতনায় উদ্বুদ্ধ ছিল। আমাদের এ ভূ-খÐ সা¤প্রদায়িক স¤প্রীতির উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। কিন্তু ইতিহাস ঠিক তেমনটি বলে না। এক সময় আমরা হয়তো অসা¤প্রদায়িক চেতনায় বিশ্বাসী ছিলাম। কিন্তু ব্রিটিশ শাসনের শেষের দিকে এসে সেই চেতনার বিলুপ্তি ঘটে। কেননা সা¤প্রদায়িক চেতনার ভিত্তিতেই ভারত উপমহাদেশ ভাগ হয়ে যায়। দ্বি-জাতি তত্তে¡র ভিত্তিতে হিন্দু এবং মুসলমান নামে দুটি ভিন্ন জাতির জন্য দুটি কৃত্রিম রাষ্ট্র তৈরি করা হয়। অর্থাৎ সা¤প্রদায়িক চেতনার বদ্ধমূল ধারণা থেকেই পাকিস্তান নামক রাষ্ট্রটির জন্ম। আর অন্য সা¤প্রদায়িক অনুষঙ্গের উপস্থিতির কথা বাদই থাক। দু’টি রাষ্ট্রের মধ্যে পাকিস্তান নামক রাষ্ট্রটি পুরোটাই সা¤প্রদায়িকতায় ভরপুর ছিল। তারা ইসলামের নামে বিভিন্ন নির্যাতন ও শোষণে লিপ্ত ছিল। পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী ক্ষমতা কুক্ষিগত করে মানুষকে নিপীড়ন করার মন্ত্রে দীক্ষিত হয়। দ্বি-জাতি তত্তে¡র ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠিত আর একটি রাষ্ট্র ভারত। মোটকথা ইসলামের অপব্যবহার আর ভারতের বিরোধিতা করাই ছিল পাকিস্তান রাষ্ট্রের মূল স্তম্ভ। শোষণ আর নিপীড়নের হাত থেকে বাঁচতে আমাদের এ অঞ্চলের মানুষ জাতির পিতার নেতৃত্বে অসা¤প্রদায়িক চেতনার বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করে।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শুরু থেকেই অনুমান করেছিলেন, পাকিস্তান নামক রাষ্ট্রের কাঠামোর মধ্যে বাঙালিত্ব চেতনা বিকশিত হওয়ার কোন সম্ভাবনা নেই। তখন থেকেই শুরু হয় আমাদের স্বাধিকার আন্দোলন। ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে ১৯৫৪ সালের যুক্তফ্রন্টের নির্বাচন, ১৯৬২ সালের শিক্ষা আন্দোলন, ১৯৬৬ সালের ছয় দফা, ১৯৬৯ সালের গণঅভ্যুত্থান ও ১৯৭০ সালের নির্বাচনের মধ্য দিয়ে ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে আমরা ইতিহাসে প্রথম বাংলাদেশ নামক একটি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্রের মালিক হই। কিন্তু দেখা গেল, স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার মাত্র সাড়ে তিন বছরের মাথায় ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতাকে হত্যার মধ্য দিয়ে কেবল রাষ্ট্রনায়ক অথবা স্বাধীনতার স্থপতিকে হত্যা করা হলো তা নয়, ইতিহাসের কলঙ্কময় এ হত্যাকাÐের মাধ্যমে পুরো বাংলাদেশকে ফের পূর্ব পাকিস্তানে রূপান্তর করা হয়। সব ধরনের মৌলবাদী চিন্তা-চেতনার অনুষঙ্গ ফিরে আসে। বাংলাদেশকে আবার পূর্ব পাকিস্তান বানিয়ে উল্টোপথে যাত্রা শুরু হয়। এতে করে আমরা আবার আমাদের বাঙালিত্বকে হারিয়ে ফেলি। বাঙালিত্ব এবং বাঙালিত্বের অনুষঙ্গের ওপর শুরু হয় একের পর এক আক্রমণ। অর্থাৎ বাঙালিত্বের বিপরীতে ধর্মীয় মৌলবাদী চেতনার বিকাশের সব ধরনের আয়োজন সম্পন্ন করা হয়। বঙ্গবন্ধুকে হত্যা অকল্পনীয় ছিল। বঙ্গবন্ধুর চিন্তায় কখনও আসেনি যে, বাঙালিরা ষড়যন্ত্র করে তাকে হত্যা করতে পারে।
বঙ্গবন্ধুকে হত্যার বিষয়ে দেশী-বিদেশী বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার তথ্য তার কাছে ঠিক মতো পৌঁছে ছিল কিনা, তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। অনিশ্চিত এ কারণেই যে, মিলিটারি ব্যুরোক্রেসিসহ যারা গোয়েন্দা সংস্থায় থাকেন, তারা তথ্য আদান-প্রদানের ক্ষেত্রে এক ধরনের বাধার সৃষ্টি করেন।
আমাদের মনে রাখতে হবে, মুক্তিযুদ্ধে ১০০ জনের কম বাঙালি সেনাবাহিনীর অফিসার পদে অংশগ্রহণ করেছিলেন। পাকিস্তান থেকে ফিরে এসেছিল এক হাজার জনের মতো অফিসার। আমি বলব না যে, যারা পাকিস্তান থেকে ফিরে এসেছিলেন তারা সবাই মুক্তিযুদ্ধের বিরোধী ছিলেন। পাকিস্তানে যারা অবস্থান করছিলেন, তাদের দৃষ্টিভঙ্গি এবং প্রশিক্ষণ ছিল অন্য রকমের। যুদ্ধের সময় তারা পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর ভূমিকা এবং ৯ মাসের যুদ্ধের নৃশংসতা দেখেননি। স্বাধীন দেশের শুরুতেই সামরিক এবং আমলাতান্ত্রিক ব্যবস্থায় অভ্যন্তরীণ দ্ব›দ্ব ছিল। কিন্তু আশ্চর্যজনক বিষয় হচ্ছে, সামরিক বাহিনীর কয়েকজন বাঙালী অফিসার, সম্ভবত সাতজন, পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর সঙ্গে আত্মসমর্পণ করেছিল, যারা বাংলাদেশের বিপক্ষে যুদ্ধে অংশ নিয়েছিল। যেসব পাকিস্তানি সামরিক অফিসার আত্মসমর্পণ করেছিল, তাদের মধ্যে ওই সাত বাঙালি সামরিক অফিসার ছিল। চাকরি চলে যাওয়ায় না খেয়ে মরতে বসেছে বলে জেনারেল ওসমানী তাদের বঙ্গবন্ধুর কাছে নিয়ে গিয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধুকে জানানো হয়, তারা পাকিস্তানের পক্ষে যুদ্ধ করে আত্মসমর্পণ করেছে। তখন বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, ‘এদের আর্মিতে নিয়েছিল কে? এরা তো পুলিশ হওয়ারও উপযুক্ত না।’ বঙ্গবন্ধুর অনুকম্পায় তাদের পুলিশে রূপান্তর করা হয়। পরবর্তী পর্যায়ে এরাই ডিআইজি পর্যন্ত হয়েছিল। ১৯৮৪ সালে চট্টগ্রামে শেখ হাসিনাকে হত্যা চেষ্টার সময় ২৭ জন আওয়ামী লীগ কর্মী জীবন দিয়েছিল, ওই হত্যাকাÐের অর্ডার দিয়েছিল ওই ঘরানার একজন পুলিশ কর্মকর্তা। আমাদের মনে রাখতে হবে ১৯৭০ সালে যখন প্রাদেশিক পরিষদের নির্বাচন হয় তখনও সুস্পষ্টভাবে স্বাধীনতার কথা আসেনি। কেবল ছয় দফা উত্থাপিত হয়। কারণ, বঙ্গবন্ধু মনে করতেন ছয় দফা বাস্তবায়িত হলেই আমরা স্বাধীনতার পথে এগিয়ে যাব। সেই ১৯৭০-এর নির্বাচনেও প্রায় ২৪ শতাংশ মানুষ ছয় দফার বিরুদ্ধে ভোট দিয়েছিল। স্বাধীনতা তো দূরের কথা, ছয় দফার বিরুদ্ধেই ছিল ২৪ শতাংশ মানুষ। এ লোকগুলো কোথায় গেল? এ লোকগুলোর পরাজয়ের গøানি এবং এর সঙ্গে যুক্ত হয় পাকিস্তানের ষড়যন্ত্র, সামরিক এবং বেসামরিক ষড়যন্ত্রকারী চক্র। ফলে বঙ্গবন্ধুর প্রশাসন এবং সরকারকে অকার্যকর করা, জনপ্রিয়তা হ্রাস করাসহ সব জায়গা থেকে সব ধরনের ষড়যন্ত্র অব্যাহত ছিল। আজকে আমেরিকা আমাদের উন্নয়ন সহযোগী এবং চীন আমাদের অন্যতম বন্ধু রাষ্ট্র। মনে রাখতে হবে, আমাদের স্বাধীনতার শেষ মুহূর্তে এসে যখন জাতিসংঘে বাংলাদেশের পক্ষে-বিপক্ষে ভোটাভুটি হয়, তখন সোভিয়েত বলয়ের মাত্র কয়েকটি রাষ্ট্র আমাদের পক্ষে ভোট দিয়েছিল। জাতিসংঘের অনেক রাষ্ট্র, যাদের আমরা ইসলামী রাষ্ট্র এবং বৃহৎ শক্তি বলি তারা কিন্তু আমাদের স্বাধীনতার বিপক্ষে ছিল। কাজেই সার্বভৌম বাংলাদেশ সৃষ্টি কেবল পাকিস্তানের পরাজয়ই ছিল না, ওই সকল বৃহৎ শক্তিরও পরাজয় ছিল। ১৯৭৫ সালে সারাবিশ্বে ভিন্ন অবস্থা বিরাজ করে। সামরিক শক্তি হিসেবে সোভিয়েত ইউনিয়ন, পুঁজিবাদের দেশ আমেরিকা এবং কমিউনিজম দেশ চীন এ বিষয়গুলো এক একটি ফ্যাক্টর হিসেবে কাজ করে। বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে বিশ্ব নেতা যেমনÑ ফিদেল কাস্ট্রো, মার্শাল টিটো, শ্রীমতি ইন্দিরা গান্ধীর সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়গুলোকে বিচ্ছিন্ন করে দেখার সুযোগ নেই। অর্থাৎ সব ঘটনার সম্মিলিত ফলাফলই ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে হত্যা। এর মধ্য দিয়ে পরাজিত শক্তি এবং তাদের দোসরদের আক্রোশ মিটে। আজকে আমরা যাদের বন্ধু রাষ্ট্র বা উন্নয়ন সহযোগী বলি তাদেরও কিন্তু আক্রোশ ছিল। হেনরি কিসিঞ্জারের বক্তব্যগুলো এবং পরবর্তীকালে তাদের ভূমিকা বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, কেবল পাকিস্তানই যে পরাজিত শক্তি তা নয়, অন্যরাও পরাজয় মেনে নিতে পারেনি। তারা শেষ পর্যন্ত পাকিস্তান নামক রাষ্ট্রকে সমর্থন করেছিল এবং যুদ্ধে অংশীদারিত্ব ছিল। এর সঙ্গে যুদ্ধাপরাধী জামায়াত-শিবির রাজাকারদের ষড়যন্ত্র তো ছিলই।
বঙ্গবন্ধুকে জানতে হলে আমাদেরকে পেছনের ইতিহাসে ফিরে যেতে হবে। আগরতলা ষডযন্ত্র মামলা থেকে মুক্তির পর ততদিনে সারাদেশে শেখ মুজিবুর রহমান একক নেতা হিসাবে জনমনে অধিষ্টিত হয়। জেল থেকে মুক্তির পর ১৯৬৯ সালের ২৩ ফেব্রæয়ারি রেসকোর্স ময়দানে কেন্দ্রীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের পক্ষ থেকে সংবর্ধনা সভায় সিদ্ধান্তক্রমে ডাকসু ভিপি ও ছাত্রসংগ্রাম পরিষদের নেতা হিসাবে তোফায়েল আহমদ ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান’ বলে ঘোষনা করলে লক্ষ জনতা মুহুর্মুহু করতালি ও শ্লোগান সহকারে তা অনুমোদন করে। এভাবেই বাঙালি জাতি তাঁর সর্বশ্রেষ্ঠ সন্তানকেই বঙ্গবন্ধু অভিধায় অভিষিক্ত করেছিলো। তারপর ৭০ এর নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিপুল বিজয়। ক্ষমতা হস্তান্তর নিয়ে তালবাহানা চলতে থাকে। একপর্যায়ে ইয়াহিয়া খান পার্লামেন্ট স্থগিত ঘোষনা করলে সারাদেশ আগ্নেয়গিরির মতো জ্বলে উঠে। ৩ মার্চ পল্টন ময়দানে অনির্ধারিতভাবে বঙ্গবন্ধুর উপস্থিতিতে স্বাধীনতার ইশতেহার পাঠ করেন ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক শাজাহান সিরাজ। সর্বসম্মতিক্রমে বঙ্গবন্ধুকে স্বাধীনতার স্থপতি ঘোষনা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে উত্তোলিত পতাকাকে স্বাধীন বাংলার জাতীয় পতাকা, কবিগুরু রবীন্দ্রনাথের ‘আমার সোনার বাংলা-আমি তোমায় ভালবাসি’ গানটি জাতীয় সংগীত হিসাবে ঘোষনা সহ আরও বিস্তারিত কর্মপন্থা ঘোষিত হয়। সাতই মার্চ রেসকোর্স ময়দানে বাঙালি জাতির স্মরণকালের ঐতিহাসিক ভাষন দান কালে তিনি বলেন- ‘এবারের সংগ্রাম মুক্তির সংগ্রাম-এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।’ এর পর আর বাকী থাকে কি? ২৩ মার্চ পল্টন ময়দানে পাকিস্তান দিবসের পরিবর্তে প্রতিরোধ দিবস পালিত হয়। সারাদেশে স্বাধীন বাংলার পতাকা উডিয়ে দেয়া হয়। পাকিস্তানের পতাকা পুড়িয়ে দেয়া হয়। এলো ২৫ মার্চ। মধ্যরাতে বর্বর পাকবাহিনী স্মরণকালের বৃহত্তম গণহত্যা শুরু করে।
বঙ্গবন্ধুকে গ্রেফতার করা হয়। স্বাধীনতা আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় দ্রæততম সময়ের ব্যবধানে মুক্তিযুদ্ধ তথা জনযুদ্ধে রূপান্তরের প্রক্রিয়া অবাক বিস্ময়ে সারা দুনিয়া তাকিয়ে রইলো। জনযুদ্ধ চলাকালীন বর্বর পাকিস্তানের সামরিক শাসক কর্তৃক বঙ্গবন্ধুর বিচার ও ফাঁসির বিষয়টি বিশ্বব্যাপী আলোচিত। নয় মাসের ব্যবধানে মুক্তি ও মিত্রবাহিনী সমন্বয়ে দেশ ১৬ ডিসেম্বর দেশ শত্রæমুক্ত হল। ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি পাকিস্তানের কারাগার থেকে বঙ্গবন্ধু ফিরে এলেন বিজয়ীর বেশে। এসেই স্বাধীন দেশের শাসনভার গ্রহণ করলেন। ১৯৭৪ সালে দেশীয় ও বিদেশি চক্রান্তে দুর্ভিক্ষ দেখা দিলে কিংবা নানা অরাজক অবস্থা ঘরের ভেতরে ও বাইরে দেখা গেলে বিশেষ বিবেচনায় চতুর্থ সংশোধনীর মধ্য দিয়ে বাকশালের আত্মপ্রকাশ ঘটে। ১৯৭৫ সাল। ততদিনে নদীর জল অনেক গড়ালেও বঙ্গবন্ধু অনেক গোয়েন্দা রিপোর্ট কে পাত্তা দেননি এই ভেবে যে- ‘কোন বাঙালি অন্তত: তাকে হত্যার চিন্তাও করতে পারেনা।’ অবশেষে এলো সেই শোকাবহ দিন। পনেরোই আগস্ট। বাঙালি জাতির ইতিহাসে বঙ্গবন্ধু সহ সপরিবারে ইতিহাসের বর্বরতম পৈশাচিক হত্যাকাÐের দিনটি প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে শোকের দিন হিসাবে বাঙালি জাতি ও বাংলাদেশ স্মরণ করবেই।
লেখক: গবেষক ও প্রকাশক