পদ্মাসেতু-অসম্ভবকে সম্ভব করার রূপকথা

17

আবদুল মান্নান

‘পদ্মাসেতুতে বিশ্বব্যাংকের অর্থায়ন বাতিল করায় পদ্মাসেতু না হওয়ার জন্য সরকার, প্রধানমন্ত্রী এবং প্রধানমন্ত্রীর পরিবার দায়ী। আওয়ামী লীগ আমলে পদ্মাসেতু হবে না। আমরা ক্ষমতায় আসলে একটা নয় দু‘টি পদ্মাসেতু বানাবো। (বেগম জিয়া। দৈনিক মানবজমিন, ৩০ জুন ২০১২)’। ‘পদ্মাসেতু বানানোর কোন ইচ্ছা সরকারের ছিল না । তাদের লক্ষ্য ছিল লুটপাট। নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মাসেতু করা কল্পনা বিলাস বাদ দিন। (ব্যারিস্টার মওদুদ। দৈনিক ইত্তেফাক, ১১ জুলাই, ২০১২)’। যে পদ্মাসেতু নিয়ে এমন কথা আজ থেকে দশ বছর আগে অন্য অনেকের সাথে বলেছিলেন তাদের প্রথম জন, বিএনপি প্রধান ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম জিয়া। তিনি বর্তমানে দুর্নীতির দায়ে অভিযুক্ত হয়ে কারাভোগ করছেন । অন্যজন বেগম জিয়ার মন্ত্রীসভার গুরুত্বপূর্ণ ও অত্যন্ত ক্ষমতাধর সদস্য ছিলেন । সংসদে দাঁড়িয়ে একবার বলেছিলেন উত্তর পূর্ব ভারতের বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সহায়তা করা বাংলাদেশের নৈতিক দায়িত্ব কারণ তারা তাদের স্বাধীনতার জন্য লড়াই করছেন। করোনা কালে তিনি পরলোক গমন করেছেন । বিশ্বব্যাংক যখন ২০১২ সালের ২৯ জুন নানা ধরণের বায়বীয় অজুহাতে পদ্মাসেতুতে প্রত্যাশিত ঋণ বাতিল করে একই বছর ৮ জুলাই সংসদে দাঁড়িয়ে প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা ঘোষণা করেন বাংলাদেশ তার নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মাসেতু নির্মাণ করবে। তাঁর এই ঘোষণাতে চারিদিকে বেশ হাস্যরোল সৃষ্টি হলো । হাসপাতালে চিকিৎসারত একজন সিনিয়র সাংবাদিক নিয়মিত হাসপাতাল হতে টিভিতে এসে বলতে শুরু করেন ‘শেখ হাসিনা বাঁশের সাঁকো আর পদ্মার উপর সেতুর মধ্যে পার্থক্য বুঝলেন না’। তখন মনে মনে বলেছিলাম ‘দু’টার মধ্যে পার্থক্য বুঝলে ওই শেখ হাসিনাই বুঝেছেন অন্য কেউ না বুঝতে পারেন।’ এই সংবাদিক বঙ্গবন্ধুর কৃপা ধন্য। তাঁর বদান্যতায় স্বাধীন বাংলাদেশের সংসদ সদস্যও হয়েছিলেন ।
এমন কথা শুধু দু’একজন বলেন নি । বলেছেন দেশের অনেক গুরুত্বপূর্ণ অর্থনীতিবিদ, সুশীল সমাজের এক শ্রেণীর চিন্তক, রাজনীতিবিদ এমন কি গোপনে খোদ আওয়ামী লীগের ভিতরের কোন কোন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি । এই সব ব্যক্তিরা নানা জনে নানা উদ্দেশ্যে বিশ্ব ব্যাংকের পদ্মাসেতুর ঋণ দেয়ার সিদ্ধান্ত হতে সরে যাওয়ার বিষয়ে কথা বলেছেন। তবে তাদের একটি অভিন্ন লক্ষ্য ছিল। আওয়ামী লীগ সরকার তথা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তাঁর পরিবারকে জনগণের সামনে হেয় প্রতিপন্ন করা। এই সব ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর মধ্যে বিএনপি বা তাদের সমমনা মিডিয়া অথবা ব্যক্তিদের মূল উদ্দেশ্য ছিল রাজনৈতিক। কোন কোন মিডিয়ার জন্য বিশ্বব্যাংকের পদ্মাসেতু হতে সরে যাওয়ার ব্যাপারটি ঈদের আনন্দ সৃষ্টি করেছিল। এই ব্যাপারে একটি ইংরাজি ও একটা ইংরাজি দৈনিক মূখ্য ভূমিকা পালন করে।
একটি ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার কথা বলি। একটি বড় সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় হতে একজন অবসর প্রাপ্ত শিক্ষক, যিনি কোন রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত তেমন বলা যাবে না তিনি একদিন অনেকটা ‘হায় হায়’ স্বরে বললেন ‘দেখেছেন ভাই শেখ হাসিনা দেশের কি সর্বনাশটা করলেন?’ আমি কিছুটা অবাক হয়ে জানতে চাই ‘শেখ হাসিনা আবার কি করলো?’ জবাবে উল্লেখিত অধ্যাপক একটির পত্রিকা বরাত দিয়ে তিনি বলেন ‘দেখেন নি পদ্মাসেতুর সব অর্থ শেখ হাসিনা আর তাঁর পরিবার তুলে খেয়ে ফেলেছে বলে এই পত্রিকাটি খবর দিয়েছে?’ আমি আকাশ থেকে পরি । বলি আমার জানা মতে বিশ্বব্যাংকতো কোন অর্থ ছাড় করেনি তা হলে শেখ হাসিনা কি ভাবে এই ঋণের টাকা খেয়ে ফেললেন?’ তাঁর সাফ জবাব । যেহেতু এই পত্রিকায় খবরটি প্রকাশিত হয়েছে তা মিথ্যা হতে পারে না । তাঁকে বুঝানোর চেষ্টা করি ‘সব খবর সব সময় সত্য হয় না । তা বুঝ বিচার করে বিশ্বাস করার ক্ষমতা আপনার নিশ্চয় আছে’ । কে শোনে কার কথা । আমি নিজেই এই কুতর্কের অবসান ঘটাতে প্রসঙ্গ পাল্টাই ।
যেহেতু যারা পদ্মাসেতু প্রকল্প হতে বিশ্বব্যাংক ঋণ দেয়ার সিদ্ধান্ত হতে সরে যাওয়ায় দুর্নীতির গন্ধ পাওয়া যাচ্ছে বলে বেশ জোরসোরে সরকার আর শেখ হাসিনার সমালোচনা করতে আদাজল খেয়ে মাঠে নেমে গেল আর তাদের বক্তব্য স্বনামে বিভিন্ন মিডিয়া প্রচার করা শুরু করলো তাদের নাম এখন নথিভূক্ত। তাই তাদের কয়েকজনের নাম পূনঃউল্লেখ না করলেই নয়। এদের মধ্যে ছিলেন ড. আকবর আলি খান, ড. এ বি এম মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম, ড. এমাজউদ্দিন আহমদ, ড. ওয়াহিদ উদ্দিন মাহমুদ, ড.স্বপন আদনান, সাবেক আমলা ইনাম আহমদ চৌধুরী, ড. বদিউল আলম মজুমদার, ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ, ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য, বদরুদ্দিন উমর, ড. হোসেন এইচ মনসুর, ড. সাদেক আহমেদ, ড. মোস্তাফিজুর রহমান, ড. শাহদীন মালিক, ফরহাদ মাজহার, এম হাফিজুদ্দিন খান প্রমুখরা। এদের অনেকেই আওয়ামী লীগ হতে বিভিন্ন সময় সুবিধাভোগি বা কৃপাধন্য । তৎকালিন সেতু মন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেন, সেতু সচিব মোর্শারফ হোসেন ভুঁইয়া, প্রধানমন্ত্রীর অর্থনীতি বিষয়ক উপদেষ্ঠা ড. মশিউর রহমান এরা সকলে যে পদ্মাসেতুর কথিত দুর্নীতির সাথে জড়িত আছেন তা বলতে বিশ্বব্যাংকতো বটেই সরকারের ভিতরের বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি ও সাবেক আমলা বাংলাদেশ দুর্নীতি দমন কমিশনের উপর প্রচন্ড চাপ সৃষ্টি করে । এর অন্যতম কারণ হচ্ছে সাবেক আমলা হিসেবে এদের এটা চিন্তা করতে কষ্ট হয় যে বিশ্বব্যাংক বা অন্যান্য উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা ছাড়া দেশের কোন উন্নয়ন প্রকল্প হাতে নেয়া সম্ভব হতে পারে। সেই সময় দুর্নীতি কমিশনের একজন পরিচালক ছিলেন সাহাবউদ্দিন চুপ্পু । ক‘দিন আগে তিনি একাধিক টিভিতে সাক্ষাৎকার দিয়ে পরিষ্কার ভাষায় বলেছেন তাঁকে কি ভাবে সরকারের দু‘জন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি বাড়ীতে ডেকে নিয়ে চাপ সৃষ্টি করে সেতু মন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেনকে গ্রেফতারের ব্যবস্থা করার জন্য। সাহাবুদ্দিন চুপ্পু রাজি হন না কারণ সেতু মন্ত্রীর বিরুদ্ধে গ্রহণযোগ্য কোন প্রমাণতো তাদের হাতে নেই । সেই দুই ক্ষমতাধর ব্যক্তি তাঁর উপর বেশ বিরক্ত হন। তাঁদের একজন বর্তমানে প্রয়াত। তাঁরা মনে করেছিলেন সেতু মন্ত্রীকে গ্রেফতার করলে বিশ্বব্যাংক আবার ফিরে আসবে। কিছুদিন পর সেতু মন্ত্রী নিজেই তাঁর পদ থেকে সরে দাঁড়ান । ড. মশিউর রহমান দীর্ঘ ছুটিতে যান। সেতু সচিবকে গ্রেফতার করে কারাগারে নেয়া হয় যেখানে তিনি প্রায় দেড় মাস কারাবন্দি থাকেন। কিন্তু কোন কিছুতেই বিশ্বব্যাংক সন্তুষ্ট নয় কারণ অন্য আরেক ষড়যন্ত্র বাস্তবায়নে তারা খুব ব্যস্ত আর সেই ষড়যন্ত্রের মূল কুশিলবরা এই বাংলাদেশেরই সন্তান, পশ্চিমা দূনিয়াতে বেশ সমাদৃত । তখন বাংলাদেশ ব্যাংকের গর্ভনর ছিলেন ড. আতিউর রহমান । তিনি আমাদের গ্রন্থিত পদ্মাসেতু নিয়ে একটি গ্রন্থ প্রকাশনা অনুষ্ঠানে এসেছিলেন পদ্মাসেতু নিয়ে তাঁর অভিজ্ঞতা আর ষড়যন্ত্রের কথা বলতে । তিনি সেই প্রকাশনা অনুষ্ঠানে জানালেন তাঁরা বিশ্বব্যাংকের এক সভায় অংশ নিতে ওয়াশিংটন ডিসিতে গিয়েছিলেন । সেই সভা শেষে তিনি বিশ্বব্যাংকের বিদায়ি সভাপতি রবার্ট জোলিকের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎকারের জন্য তাঁর একান্ত সচিবের কাছ হতে একটু সময় চেয়ে নিয়েছিলেন । তাঁরা যখন জোলিকের একান্ত সচিবের কক্ষে অপেক্ষা করছিলেন তার কিছু পর তারা দেখেন বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্টের কক্ষ হতে তিনজন বাঙালি বের হচ্ছেন । তাঁরা ড. আতিউরকে দেখে একটু অবাক হয়ে যান । এই তিনজন দেশেতো বটেই তাদের একজন আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বেশ পরিচিত । বিশ্ব ব্যাংকের প্রেসিডেন্ট ওই দিনই পদ্মাসেতুর অর্থায়ন একক সিদ্ধান্ত বলে বাতিল করে দেন । এমন সিদ্ধান্ত নজিরবিহীন ।
প্রায় প্রতিদিন বাংলাদেশের মিডিয়াতে পদ্মাসেতু, তার অর্থায়ন, ব্যয় ইত্যাদি নিয়ে জাতীয় সংসদ, বিভিন্ন মিডিয়াতে বিএনপি’র নেতা নেত্রীরা ক্লান্তিহীন ভাবে মিথ্যা বলতে থাকেন যা যে কোন মাপকাঠিতেই অজ্ঞতার চরম নিদর্শন । কখনো কখনো এমন কথাও বলেন এই সেতুর ভিত্তি প্রস্তরতো বেগম জিয়া স্থাপন করেছিলেন । তারা পদ্মাসেতুর নীচের অংশে নির্মাণ সমাপ্ত প্রায় রেল সংযোগকে পদ্মাসেতু প্রকল্পের সাথে এক করে ফেলেছেন । তারা বুঝতে অপারগ যে দুটি পৃথক প্রকল্প । পদ্মাসেতু নিজস্ব অর্থে বাস্তবায়ন করেছে বাংলাদেশ সরকারের সেতু বিভাগ আর রেল সংযোগ বাস্তবায়ন করছে রেল মন্ত্রণালয় । পরেরটার বাজেট হচ্ছে চল্লিশ হাজার কোটি টাকা যার মধ্যে চীনের অর্থায়ন হচ্ছে একুশ হাজার কোটি টাকা । পদ্মাসেতু না হলে এই রেল সংযোগ নির্মাণ কঠিন হতো । পদ্মাসেতুর উপর দিয়ে বিদ্যুৎ ও গ্যাস সংযোগ নেয়া হবে। ইন্টারনেট সংযোগ ওপারের মানুষের জন্য এখন সহজ হবে এই সেতুর কারণে । এই সব এই প্রকল্পের অংশ ছিলো না । একটি বড় রাজনৈতিক দলের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের এমন কথা অনেক গÐমূর্খকে লজ্জিত করেছে ।
সব ঠিকঠাক থাকলে ২৫ জুন, শনিবার প্রথানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যিনি এই পদ্মাসেতুৃর স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন সেই সেতু উদ্বোধন করবেন বলে কথা রয়েছে ।
পদ্মাসেতুর কারিগরি দিক নিয়ে দেশে ও আন্তর্জাতিক মহলে অনেক কথা হয়েছে, লেখা লেখি হয়েছে । ক’টি পিলার, তার শক্তি কেমন এই সব নিয়ে হিসাব নিকাশ হয়েছে দেশে ও বিদেশে। কিন্তু এই সব হিসাব নিকাশের বাইরে আছে সব চেয়ে বড় পিলার, বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা । তিনি তাঁর নামে এই সেতুর নামকরণ করতে রাজি হন নি। এটি তাঁর মহানুভবতা। কিন্তু যতদিন বাঙালি আর বাংলাদেশ থাকবে, যতদিন এই সেতুর উপর দিয়ে মানুষ আর যানবাহন চলাচল করবে ততদিন শেখ হাসিনার নাম এই দেশের ইতিহাসে অমর হয়ে থাকবে যেমন আছে তাঁর পিতার নাম যদিও তাঁর নাম ইতিহাস থেকে মুছে ফেলতে কম চেষ্টা হয়নি। তা সম্ভব হয়নি, হবেও না। সম্্রাট শাহজাহান তাজমহল বানিয়েছিলেন । কোথাও তাঁর নাম লেখা নাই। কিন্তু সাক্ষি আছে ইতিহাস। পদ্মাসেতুর ক্ষেত্রেও ঠিক তেমনটি বলা চলে ।
পদ্মাসেতু শুধু এই বাংলাদেশের জন্যই আশির্বাদ নয় । এই সেতু দুই বাংলা তথা ভারতের মধেও মৈত্রী বন্ধনের নূতন মাত্রা যোগ করবে । বাড়বে মানুষে মানুষে যোগাযোগ আর বাড়বে বাণিজ্যের পরিমাণ । বাংলাদেশের জিডিপিতে যোগ হবে দশ বিলিয়ন ডলার । মোট জিডিপি’র আকার আড়াই শতাংশ বাড়বে । ভারতের সাথে বর্তমানে বাংলাদেশের বার্ষিক বাণিজ্যের পরিমান এক বিলিয়ন ডলার । তা বেড়ে দুই বিলিয়ন ডলারে দাঁড়াবে । সকালে কোলকাতা যাত্রা করে কাজ সেরে রাতে ঢাকা ফেরা যাবে ।
জয়তু শেখ হাসিনা । আপনি পিতার মতো আবার প্রমাণ করেছেন বাঙালি নিজের প্রচেষ্টায় করতে পারেনা এমন কোন কাজ নাই । ত্রিশ লক্ষ মানুষ যদি তাঁর ডাকে নিজ দেশের জন্য নিজের জীবন দিতে পারে তারা শুধু পদ্মাসেতু নয় আরো এমন অনেক বড় প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে পারে । প্রয়োজন শুধু আপনার মতো যোগ্য নেতৃত্ব । আপনি বাঙালিকে নিজের সক্ষমতার আস্থা ফিরিয়ে দিয়েছেন । তবে সতর্ক থাকতে হবে এটি মাথায় রেখেযে যারা দেশের বিরুদ্ধে এই ষড়যন্ত্রে লিপ্ত ছিলেন তাঁরা এই যাত্রায় হয়তো পরাজিত হয়েছেন কিন্তু আগামীতে এই মানুষগুলোই ছোবল মারতে উদগ্রিব হয়ে থাকবেন না তা নিশ্চিত করে বলা যাবে না। আপনার দীর্ঘায়ু কামনা করি। এখনো অনেক কাজ বাকি। আপনার কথায় যেতে হবে অনেক দূর। বেছে নিন কাদের নিয়ে সামনের দীর্ঘ পথ পারি দেবেন। সাথে যারা আছেন তারা সকলেই আপনার শুভাকাক্সিক্ষ নাও হতে পারে।

লেখক : সাবেক চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন ও সাবেক উপাচার্য, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় । ২২ জুন, ২০২২ ।