পদ্মাসেতুর উদ্বোধনে যুক্তরাষ্ট্র, ভারত ও পাকিস্তানের শুভেচ্ছা

21

পূর্বদেশ ডেস্ক

পদ্মা সেতুর উদ্বোধন উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং বাংলাদেশের জনগণের প্রতি অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, ভারত ও পাকিস্তান। পৃথক শুভেচ্ছা বার্তায় বাংলাদেশের উন্নয়নযাত্রায় পদ্মা সেতুর উদ্বোধনকে একটি গুরুত্বপূর্ণ দৃষ্টান্ত বলে অভিহিত করা হয়।
গতকাল মার্কিন দূতাবাসের জারি করা একটি মিডিয়া নোটে বলা হয়েছে, পদ্মা সেতু বাংলাদেশের অভ্যন্তরে নতুন এবং গুরুত্বপূর্ণ সংযোগ তৈরি করবে, বাণিজ্য বৃদ্ধি করবে এবং জীবনযাত্রার মান উন্নত করবে।
যুক্তরাষ্ট্র পদ্মা সেতুকে দক্ষিণ এশিয়ায় আঞ্চলিক সংযোগের উন্নয়নে বাংলাদেশের নেতৃত্বের আরেকটি উদাহরণ হিসেবে অভিহিত করে বলেছে, পদ্মা সেতুর উদ্বোধন উপলক্ষে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশকে অভিনন্দন জানিয়েছে।
এখানে মার্কিন মিশন বলেছে, অন্তর্ভুক্তিমূলক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির জন্য জনগণ এবং পণ্যকে দক্ষতার সাথে সংযুক্ত করার জন্য টেকসই পরিবহন অবকাঠামো তৈরি করা গুরুত্বপূর্ণ।
এদিকে গতকাল ঢাকার ভারতীয় হাই কমিশন থেকে এক শুভেচ্ছা বার্তায় উল্লেখ করা হয়, যুগান্তকারী পদ্মা সেতু প্রকল্পের সফল সমাপ্তি ও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর পদ্মা সেতু উদ্বোধন উপলক্ষে ভারতের সরকার ও জনগণ বাংলাদেশের সরকার ও জনগণকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাচ্ছে।
এতে বলা হয়, বহুল প্রতীক্ষিত এ প্রকল্পটির সমাপ্তি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাহসী সিদ্ধান্ত ও দূরদৃষ্টিসম্পন্ন নেতৃত্বের সাক্ষ্য দেয়। আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস ছিল, যা আমরা অবিচলভাবে সমর্থন করে এসেছি, যখন বাংলাদেশ একাই প্রকল্পটি এগিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল।
পদ্মা সেতু শুধু আন্তঃবাংলাদেশ যোগাযোগকেই উন্নত করবে না। এটি ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যের সাধারণ অঞ্চলগুলোকে সংযুক্ত করার ক্ষেত্রে দরকারী লজিস্টিকস ও ব্যবসার জন্য প্রয়োজনীয় গতি প্রদান করবে। সেতুটি আমাদের দ্বিপাক্ষিক ও উপ-আঞ্চলিক সংযোগ বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫০তম বার্ষিকীতে পদ্মা সেতু উদ্বোধনের এ তাৎপর্যপূর্ণ উপলক্ষটি ভারতের জনগণ আবারও বাংলাদেশের ভ্রাতৃপ্রতিম জনগণকে অভিনন্দন জানাচ্ছে।
এছাড়া পদ্মা সেতুর উদ্বোধন উপলক্ষে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানিয়েছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ। বাংলাদেশের উন্নয়নযাত্রায় পদ্মা সেতুর উদ্বোধন একটি গুরুত্বপূর্ণ দৃষ্টান্ত বলে অভিহিত করেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে লেখা এক বার্তায় পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী এ অভিনন্দন জানান। শুভেচ্ছা বার্তাটি গতকাল ঢাকার পাকিস্তান হাইকমিশন থেকে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পৌঁছানো হয়েছে। একই সাথে বার্তাটি ইসলামাবাদে বাংলাদেশ হাইকমিশনেও পৌঁছানো হয়।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুস্বাস্থ্য এবং বাংলাদেশের জনগণের উন্নতি ও সমৃদ্ধি কামনা করে শাহবাজ শরিফ বলেন, বাংলাদেশকে একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক ও টেকসই প্রবৃদ্ধির পর্যায়ে নিয়ে যেতে শেখ হাসিনার দৃঢ় সংকল্পের একটি প্রমাণ হলো পদ্মা সেতু।