পটিয়া থেকে আরও এক আসামি গ্রেপ্তার

8

নিজস্ব প্রতিবেদক

নগরীর চেরাগী মোড়ে আধিপত্য বিস্তারের জের ধরে উঠতি বয়সী দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের এক পর্যায়ে ছুরিকাঘাতে আসকার বিন তারেক (১৮) ওরফে ইভান হত্যার ঘটনায় আরও এক আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তার নাম শ্রাবণ দে (২০)। গত বুধবার দিবাগত রাতে পটিয়া থেকে মামলার এজাহারভুক্ত ওই আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়।
পুলিশ জানিয়েছে, ইভান হত্যা ঘটনায় সর্বশেষ গ্রেপ্তার হওয়া আসামি শ্রাবণ পটিয়ার করনখাইন সাধুর বাড়ির মৃত অজিত দে’র ছেলে। এ নিয়ে ইভান হত্যা মামলায় পুলিশ সাতজনকে গ্রেপ্তার করলো। তাকে গতকাল বৃহস্পতিবার আদালতে হাজির করা হলে বিচারক কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন।
সিএমপির কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদুল কবির বলেন, আসকার বিন তারেক হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি শ্রাবণ দে কে পটিয়া থানা এলাকা থেকে বুধবার দিবাগত রাত সোয়া দশটার দিকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতে রিমান্ড আবেদন দাখিল করা হয়েছে।
এর আগে ঘটনার রাতেই গ্রেপ্তার করা হয়েছিল এজাহারভুক্ত এক নম্বর আসামি শোভন দেবকে। এর পাঁচদিন পর ওই বছরের ২৭ এপ্রিল নগরীর সিআরবি সাত রাস্তার মোড় থেকে গ্রেপ্তার করা হয় আরেক আসামি প্রিয়ম বিশ্বাসকে। এরপর গত বছরের ১০ মে লোহাগাড়ার উত্তর আমিরাবাদ মজুমদার পাড়া থেকে আসামি সৌরভ দাশকে গ্রেপ্তার করা হয়। একই বছরের গত ১৫ সেপ্টেম্বর রাতে চেরাগীপাহাড় এলাকায় অভিযান চালিয়ে ইভান হত্যা মামলার তিন আসামি সজীব নাথ (১৯), সৌভিক পাল (২০) ও মো. শাখাওয়াত হোসেন (২০) কে গ্রেপ্তার করা হয়। পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা তিনজনই হত্যাকান্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে। এর মধ্যে সজীব নাথের দেয়া তথ্যে জামালখান বাই লেনের নালার ভেতর থেকে হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত টিপছোরা জব্দ করা হয়।
পুলিশের ভাষ্যমতে, ঘটনার সময় আসামিদের মধ্যে একজন ইভানকে রাজাপুর লেনের ভেতরে উপর্যূপরি ছুরিকাঘাত করে। অন্যরা তাকে চেপে ধরে কিলঘুষি মারে। এক পর্যায়ে রক্তাক্ত অবস্থায় নেতিয়ে পড়া ইভানকে গলির ভেতর থেকে ব্যস্ততম চেরাগী মোড়ের কাছে সড়কের উপর টেনে এনে লোকজনের সামনে ইচ্ছেমত পিটিয়ে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। সেখান থেকে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। ইভান পরিবারের সাথে নগরীর এনায়েতবাজার এলাকায় থাকতেন।
উল্লেখ্য, গত বছরের ২২ এপ্রিল রাতে ব্যস্ততম চেরাগী মোড়ে দুইপক্ষের সংঘর্ষে ছুরিকাঘাতে নিহত হন আসকার বিন তারেক ওরফে ইভান। নিহত ইভান বিএএফ শাহীন কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিলেন। পরদিন তার বাবা সৈয়দ মোহাম্মদ তারেক বাদি হয়ে কোতোয়ালী থানায় আটজনকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন। এতে অজ্ঞাতনামা আরও ১০-১২ জনকেও আসামি করা হয়।