পটিয়া থানা ঘেরাও করে সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তারের দাবি

46

কোলাগাঁও ইউনিয়নের লাখেরা গ্রামে আবু বক্কর মেম্বার ও রমজান আলীর বিরোধের জেরে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে বিরোধের জেরে হামলা পাল্টা হামলা ও মামলা মোকদ্দমার সৃষ্টি হয়েছে। দুই গ্রæপের শোডাউনেরকালে ভয়ে গ্রামের লোকজন এখন আতংকিত হয়ে পড়েছে। এদিকে গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে গ্রামের লোকজন পটিয়া থানা ঘেরাও করেছে। এর আগে গ্রামবাসী পটিয়া সদরে বিক্ষোভ মিছিলও করেন। বিক্ষোভকারীরা মিছিল নিয়ে পটিয়া থানার ওসি বোরহান উদ্দিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। ওসি বোরহান উদ্দিন সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার করার আশ্বাস দিয়েছেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার কোলাগাঁও ইউনিয়নে রয়েছে শিপইয়ার্ডসহ বেশকিছু শিল্প কারখানা। ঘিরে কয়েকটি গ্রূপ সক্রিয়। আধিপত্যকে কেন্দ্র করে খুন হয়েছেন স্বেচ্ছাসেবক লীগের কোলাগাঁও ইউনিয়নের সভাপতি জামাল উদ্দিন আকবর, প্রজন্মলীগের কোলাগাঁও ইউনিয়নের আহবায়ক মোহাম্মদ বাহাদুর। আহত হয়েছেন ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি ইুউছুপ আলী ও তার ভাই মোহাম্মদ নওশাদ। এদের বিরুদ্ধে গ্রামবাসী গতকাল বুধবার পটিয়া থানা ঘেরাও করেছে।
কোলাগাঁও ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক বুলবুল হোসেন জানিয়েছেন, বিভিন্ন ব্যবসা নিয়ে তাদের এলাকায় এখন সন্ত্রাসী কর্মকান্ড শুরু হয়েছে। লাখেরা দীঘির পাড়টি এখন সন্ত্রাসীদের এলাকায় পরিণত হয়েছে। বক্কর মেম্বার আর রমজান আলীর সঙ্গে প্রতিযোগিতা চলছে আধিপত্যের। গ্রামবাসী নিরাপত্তা চেয়ে বিক্ষোভ মিছিল সহকারে থানা ঘেরাও করে এবং সন্ত্রাসীদের গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছেন।
পটিয়া থানার ওসি বোরহান উদ্দিন জানিয়েছেন, সন্ত্রাসী যে দলের হোক না কেন, তাদের রেহাই নেই। শিল্প কারখানাকে ঘিরে মূলত সন্ত্রাসীদের আধিপত্য চলছে। উপজেলার লাখেরা গ্রামে টহল পুলিশ জোরদার করা হয়েছে। দুই সন্ত্রাসী গ্রূপের প্রধানদের গ্রেপ্তার করতে ইতোমধ্যে পটিয়া কালারপুল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।