পটিয়া ও কর্ণফুলীতে ২ জনের আত্মহত্যা

13

পটিয়ায় এক যুবক আত্মহত্যা করেছেন। তার নাম মো. সাকিব উদ্দিন (২৪)। গত শনিবার রাতে ঘুমের ওষুধ খেয়ে তিনি আত্মহত্যা করেছেন। অন্যদিকে কর্ণফুলীতে আত্মহত্যা করেছেন এক গৃহবধূ। তার নাম রাজিয়া সুলতানা সূর্য (১৮)। গত শনিবার রাতে তিনি আত্মহত্যা করেছেন।
জানা গেছে, পটিয়ায় পছন্দের পাত্রীকে বিয়ে করতে না পেরে সাকিব আত্মহত্যা করেন। তিনি উপজেলার হাইদগাঁও ইউনিয়নের দীঘিরহাটের রফিক আহমদের পুত্র। তিনি একজন প্রবাসী, সম্প্রতি দেশে ফেরেন। এরপর বাড়ির লোকজন তার জন্য পাত্রী ঠিক করেন। এতে রাজি ছিলেন না সাকিব। কিন্তু পরিবার তার পছন্দের বিষয়ে কর্ণপাত করেনি। তাই ক্ষোভে শনিবার রাতে ঘুমের ওষুধ খান সাকিব। গতকাল তাকে অজ্ঞান অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। এরপর প্রথমে পটিয়া হাসপাতাল ও পরে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) হাসপতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার মৃত ঘোষণা করেন।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, সাকিব কিছুদিন আগে দেশে ফিরলে তার বিয়ের আয়োজন করা হচ্ছিল। তবে তার পছন্দের মেয়েকে মেনে না নেওয়ায় পরিবারের সঙ্গে তার দ্ব›দ্ব শুরু হয়। এর জেরে শনিবার রাতে অতিরিক্ত ঘুমের ওষুধ খান তিনি। রবিবার সকালে তাকে অজ্ঞান অবস্থায় প্রথমে পটিয়া হাসপাতাল ও পরে চমেক হাসপাতালে নেওয়া হয়। চমেক হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
পটিয়া থানার ওসি রেজাউল করিম মজুমদার জানান, অতিরিক্ত ঘুমের ওষুধ খেয়ে প্রবাসী যুবকের আত্মহত্যার খবর পেয়েছি। তাকে পটিয়া হাসপাতাল থেকে চমেক হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
অন্যদিকে কর্ণফুলীতে বিয়ের চার মাসের মাথায় আত্মহত্যা করেছেন গৃহবধূ রাজিয়া সুলতানা সূর্য (১৮)। গত শনিবার রাতের কোন এক সময় তিনি আত্মহত্যা করেন। তবে কী কারণে তিনি অত্মহত্যা করেন, তা কেউ জানাতে পারেননি। তিনি ৩ মাসের অন্তঃসত্ত¡া ছিলেন। তার স্বামী মোহাম্মদ রনি পেশায় মাছ ব্যবসায়ী। স্বামীর বাড়ি কর্ণফুলী উপজেলার চরপাথরঘাটা ইউনিয়নের মোহছেন বাপের বাড়ি এলাকায়। গৃহবধূর বাপের বাড়ি একই উপজেলার শিকলবাহা ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ড এলাকায়। তার পিতার নাম হাফেজ আহমদ।
চরপাথরঘাটা ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ড মেম্বার ফরিদ জুয়েল জানান, চারমাস আগে সামাজিকভাবে তাদের বিয়ে হয়। এর মধ্যে কেউ সংসারে কোন অশান্তি দেখেননি। কী কারণে শনিবার রাতে স্বামীকে ঘুমে রেখে তিনি আত্মহত্যা করেছেন কেউ জানেন না। রবিবার সকালে পাশের বাড়ির লোকজন গৃহবধূকে ঝুলন্ত এবং স্বামীকে ঘুমন্ত অবস্থায় দেখতে পান। পরে তাকে উদ্ধার করে চমেক হাসপতাালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার মৃত ঘোষণা করেন।
কর্ণফুলী থানার ওসি দুলাল মাহমুদ জানান, অন্তঃসত্ত¡া গৃহবধূর আত্মহত্যার ঘটনার খবর পেয়েছি। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে মর্গে প্রেরণ করে। লাশের অবস্থা দেখে আত্মহত্যা বলেই মনে হয়েছে। ময়নাতদন্ত করা হয়েছে। এর রিপোর্ট পেলে বিস্তারিত জানা যাবে।