পটিয়ায় স্বামীকে গাছের সাথে বেঁধে নববধূকে গণধর্ষণ

87

পটিয়ায় স্বামীকে গাছের সাথে বেঁধে রেখে নববধূকে গণধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। পটিয়া উপজেলার কোলাগাঁও ইউনিয়নের বড়ুয়া পাড়া এলাকায় গত ৭ জুন রাতে এ ঘটনা ঘটে। ধর্ষণের পর নববধূর স্বামীর কাছ থেকে একটি মোবাইল ফোন সেট ও ১৩ হাজার টাকা ছিনতাই করেছে ধর্ষকরা। এ ঘটনায় গত ১৩ জুন পটিয়া থানায় লিখিত অভিযোগের পর প্রাথমিক তদন্তে সত্যতা পাওয়োর পর তা মামলা হিসেবে রেকর্ড করা হচ্ছে বলে নিশ্চিত করেছেন পুলিশ। গত ৮ মাসে কোলাগাঁওস্থ ইউনিয়নে আরো ৩টি গণধর্ষণের ঘটনা ঘটে। এছাড়া একই এলাকায় কয়েকটি খুন ও বরযাত্রীবাহী বাসে গণ ডাকাতির ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত আসামিরা হলেন- কোলাগাঁও ইউনিয়নের খায়ের উল্লাহ সওদাগরের বাড়ির বাসিন্দা মৃত আবুল হোসেনের পুত্র মোহাম্মদ হান্নান (৩২), বাদশা মিয়ার পুত্র মন্টূ (৩০), ফোরক মাঝির পুত্র জুয়েল (২৮) ও আজিজুল হক মেম্বারের বাড়ির বাসিন্দা মোহাম্মদ ছত্তারের পুত্র মিন্টূ (৩৩)। অন্য দুজন অজ্ঞাত। এদের মধ্যে ১নং আসামি চিহিৃত ইয়াবা ব্যবসায়ী। তার বিরুদ্ধে নগরীর কোতোয়ালী থানায় মাদকের একটি মামলা রয়েছে। এছাড়া মন্টু ও জুয়েল যুবলীগ নেতা আকবর আলী হত্যা মামলার এজাহারভূক্ত আসামি। তারা জামিনে এসে এলাকায় প্রতিনিয়ত অপরাধ চালিয়ে যাচ্ছে। নববধূর লিখিত অভিযোগে অভিযোগ করা হয়, গত ৭ জুন বোয়ালখালীস্থ তার বাবার বাড়ি থেকে স্বামীর সাথে কোলাগাঁস্থ ভাড়া ঘরে যাওয়ার পথে রাত ৯ টার সময় বড়ুয়া পাড়া এলাকায় ৭ জন বখাটে তাদের পথরোধ করে। এরপর তার স্বামীকে মারধর করে একটি গাছের সাথে বেধে রেখে তাকে নির্জন স্থানে নিয়ে হত্যার ভয় দেখিয়ে পালাক্রমে আসামিরা গণধর্ষণ করে। রাত ১ টার দিকে তারা তাকে এবং তার স্বামীকে ছেড়ে দেয়। তবে ছেড়ে দেয়ার আগে তার স্বামীর মোবাইল ফোন সেট ও পকেট থেকে ১৩ হাজার টাকা ছিনতাই করে। ভিকটিম জানান, ১৫-২০ দিন আগে ঘরোয়াভাবে তার বিয়ে হয়। করোনার কারণে সামাজিকতা হয়নি। তার স্বামী পেশায় মাঝি। তারা সামশু চেয়ারম্যানের বাড়ি এলাকায় একটি ভাড়া ঘরে বসবাস করেন। পটিয়া থানার ওসি বোরহান উদ্দিন জানান, গত ১৩ জুন লিখিত অভিযোগ পাওয়ার পর তা কোলাগাঁও পুলিশ ফাঁড়ির আইসিকে তদন্তের জন্য দেয়া হয়। প্রাথমিক সত্যতা পাওয়ার পর তা মামলা হিসেবে রেকর্ড করার প্রক্রিয়া চলছে। তবে আসামিদের গ্রেপ্তারের স্বার্থে এ বিষয়ে বিস্তারিত কিছু এখনই জানানো সম্ভব হচ্ছে না। উল্লেখ্য, গত ৫ মাস আগে গত বছরের ১৮ নভেম্বর কোলাগাঁস্থ একটি মজারে জেয়ারত শেষে বাড়ি ফেরার পথে এক কিশোরী গণধর্ষণের শিকার হয়। পরদিন ধর্ষকদের নিয়ে কিশোরীর পরিবারের সাথে সমঝোতা বৈঠক চলার সময় পটিয়া উপজেলার কোলাগাঁও ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের নির্মাণধীন নতুন বাড়ির ছাদ থেকে ৩ ধর্ষককে আটক করে। এ সময় পালিয়ে যায় আরো ৩ ধর্ষক। এছাড়া গত বছরের ১৯ ডিসেম্বর কোলাগাঁওয়ে ওমান প্রবাসীর স্ত্রী আত্বীয়ের বাড়ি থেকে নিজ ঘরে ফেরার পথে চার সন্তানের জননী গণধর্ষণের শিকার হয়। উপজেলার কোলাগাঁও ইউনিয়নের নলান্ধা গ্রামে একটি জঙ্গলে নিয়ে তাকে গণধর্ষণ করে চার যুবক। এরপর তাকে নির্জন ওই জঙ্গলে ফেলে রেখে চলে যায় ধর্ষকরা। পরে এ বিষয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হলে পুলিশ অভিযুক্ত দুই ধর্ষককে আটক করে।
এর আগে ২ অক্টোবর স্কুল থেকে ফেরার পথে নির্জন স্থানে নিয়ে এক ছাত্রীকে ধর্ষণ করা হয়। ধর্ষণের শিকার স্কুল ছাত্রী চরকানাই বহুমূখী উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী। ধর্ষণের অভিযোগে পুলিশ তাৎক্ষণিক অভিযান চালিয়ে লোকমান হাকিমকে (৩০) কে গ্রেপ্তার করে। সে কোলাগাঁও ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মৃত মোহাম্মদ মুছার পুত্র।