পটিয়া উপজেলার কোলাগাঁও ইউনিয়ন প্রজন্মলীগের আহবায়ক মোহাম্মদ বাহাদুর হত্যা মামলার প্রধান আসামি আবদুল মান্নানকে (৩০) গত সোমবার রাতে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তার বিরুদ্ধে কোলাগাঁও ইউপি মেম্বার আবু বক্করকে হত্যার চেষ্টা ও চাঁদাবাজি মামলায় গ্রেপ্তারী পরোয়ানা রয়েছে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পটিয়ার কালারপুল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ শফিকুল ইসলাম অভিযান চালিয়ে হত্যা মামলার প্রধান আসামি মান্নানকে গ্রেপ্তার করেন। ২০১৭ সালের ৯ ফেব্রুয়ারিতে কোলাগাঁও মেরিন ডকইয়ার্ড এলাকায় চিহ্নিত সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজ আবদুল মান্নান প্রকাশ মান্নানের নেতৃত্বে বাহাদুরকে হত্যার ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনায় বাহাদুরের ছোট ভাই মোহাম্মদ মোরশেদ বাদী হয়ে মান্নান প্রকাশ মান্নাসহ ৭ জনকে আসামি করে পটিয়া থানায় একটি মামলা করে।
জানা গেছে, গ্রেপ্তার মান্নান কোলাগাঁও ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান শামসুল ইসলামের ঘরে ডাকাতি ও তাকে গুলি করে হত্যার চেষ্টা মামলারও এজাহারভুক্ত আসামি। দীর্ঘদিন ধরে কোলাগাঁও ইউনিয়নের বিভিন্ন শিল্পপ্রতিষ্ঠানকে ঘিরে চাঁদাবাজি, জায়গা দখল, ইয়াবা ব্যবসা, চুরি, ছিনতাইসহ বিভিন্ন অপরাধে জড়িয়ে পড়ে। একই এলাকায় জামাল উদ্দিন আকবর নামের স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতিকে বাহাদুর হত্যা মামলার আসামি শাহীনসহ কয়েকজন প্রকাশ্যে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করে।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, কর্ণফুলী নদীর পূর্ব তীরে পটিয়া উপজেলার কোলাগাঁও ইউনিয়নে বেসরকারিভাবে গড়ে ওঠা বিদ্যুৎ কেন্দ্র ও শিল্প কারখানাকে ঘিরে চাঁদাবাজি ও টেন্ডারবাজি নিয়ন্ত্রণে নিতে বিভিন্ন গ্রুপ প্রতিযোগিতা করে। এসব গ্রুপের প্রতিযোগিতার ফলে গোলাগুলি ও মারামারিসহ নানা ঘটনায় ইউনিয়নের লোকজন আতঙ্কে থাকে। গ্রুপগুলোর মধ্যে ব্যবসা নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি ইয়াবা ও চোলাই মদের রমরমা ব্যবসা অন্যতম। মাদক সেবনকারীরা প্রতিদিনই বিভিন্ন এলাকা থেকে লাইট ও বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান থেকে দান বাক্স ভেঙে টাকা লুটের ঘটনা ঘটছে। এলাকাবাসী প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
পটিয়া কালারপুল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ শফিকুল ইসলাম জানিয়েছেন, ইউপি মেম্বারকে হত্যা চেষ্টা ও চাঁদাবাজি মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি আবদুল মান্নানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।