পটিয়ায় বাল্যবিয়ে বন্ধ, খাবার গেল বরের বাড়িতে

49

বাল্য বিয়ে দেয়ার অভিযোগে পটিয়ায় মেয়ের অভিভাবককে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হাবিবুল হাসান। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গতকাল শুক্রবার দুপুরে উপজেলার কুসুমপুরা ইউনিয়নের বিনিনিহারা গ্রামস্থ কনের বাড়িতে উপস্থিত হয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত আকদ অনুষ্ঠানের সময় এ জরিমানা করেন। এ সময় কনের পিতার কাছ থেকে ১৮ বছরের নিচে মেয়েকে বিয়ে না দেয়ার জন্য মুচলেকা নেয়া হয়। আকদ শেষে দুপুরে শিকলবাহা ক্রসিংস্থ একটি কমিউনিটি সেন্টারে বিবাহত্তোর সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের কথা ছিলো। সে মতে ওই কমিউনিটি সেন্টারে আপ্যায়ণের আয়োজন করা হয়। বড়লিয়া ইউনিয়নের বেলখাইন গ্রামের বাসিন্দা হাজী ছালেহ আহমদ সওদাপরের প্রবাসী ছেলে আফসার উদ্দিন অপু ছিলেন বিয়ের বর।
জানা গেছে, বিনিনিহারা গ্রামের বাসিন্দা মোহাম্মদ মহসীন মনসা স্কুল অ্যান্ড কলেজের দশম শ্রেণিতে পড়–য়া এক কিশোরীকে বিয়ে দেয়ার জন্য কাবিননামা সম্পন্ন করেন। গতকাল শুক্রবার বাড়িতে গোপনে আকদ অনুষ্ঠান সম্পন্ন করার জন্য যাবতীয় আয়োজন করা হয়। গোপন সংবাদ পেয়ে পটিয়া থানার এস আই মাকসুদের নেতৃত্বে একটি পুলিশ টিম নিয়ে অভিযান পরিচালনা করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার। এসময় কুসুমপুরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইব্রাহিম বাচ্চু এবং ৪নং ওয়ার্ডের মেম্বার ইউনুস উপস্থিত ছিলেন। ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে কিশোরীর বাবাকে জরিমানা করে তার কিশোরী মেয়েকে সাবালিকা না হওয়া পর্যন্ত বিয়ে দেয়া যাবে না- এমন মুচলেকা আদায় করা হয়।
স্থানীয় চেয়ারম্যান ইব্রাহিম বাচ্চু জানান, বিবাহ অনুষ্ঠান সম্পন্ন করতে না পারায় প্রীতিভোজের খাবার বরের বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়া হয়। কমিউনিটি সেন্টারে ৫’শ বরযাত্রী প্রীতিভোজে অংশ নেয়ার কথা ছিলো।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার হাবিবুল হাসান জানান, কনের বয়স কম হওয়ায় বাল্য বিয়ে বন্ধ করে তার বাবাকে জরিমানা করা হয়। ১৮ বছরের আগে কনেকে বিয়ে না দেয়ার বিষয়ে মুচলেকাও নেয়া হয়।