পটিয়ায় পাঁচমাস পর কবর থেকে লাশ উত্তোলন

39

পটিয়া উপজেলার জিরি ইউনিয়নের কৈয়গ্রাম এলাকায় কবরস্থান থেকে ময়নাতদন্তের জন্য দাফনের ৫ মাস ২২ দিন পর হোছনে আরা বেগম নামের এক মহিলার লাশ উত্তোলন করা হয়েছে। চট্টগ্রামের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের নির্দেশনায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) সাব্বির রাহ্মান সানির তত্ত¡াবধানে নিহতের পুত্রের উপস্থিতিতে গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে লাশের দেহাবশেষ উত্তোলন করা হয়। পরে ঘটনাস্থল থেকে লাশের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ময়নাতদন্ত ও ফরেনসিক বিভাগে প্রেরণ করা হয়েছে।
জানা যায়, নিহত হোছনে আরা বেগমের (৪০) স্বামী আবুল হাশেমের সাথে তার ভাই আবুল বশরের দীর্ঘদিন ধরে জায়গা নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। এর জের ধরে গত ২১ ফেব্রুয়ারি আবুল হাশেম ও আবুল বশরের মধ্যে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে ঝগড়া হয়। দুই ভাইয়ের ঝগড়া থামাতে গেলে আবুল বশরের স্ত্রী হোছনে আরা বেগমকে কিল ঘুষি মারতে থাকে হাশেম ও তার পুত্র শাহেদ। এসময় হোছনে আরা গুরুতর আহত হলে প্রথমে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে পরে নগরীর পার্কভিউ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পার্কভিউ হাসপাতালের আইসিউতে ৩ দিন চিকিৎসাধীন থেকে পরে ইউএসটিসিতে আইসিইউ বিভাগে ১৩ দিন চিকিৎসাধীন ছিলেন। সেখানে ২ মার্চ হোছনে আরার মৃত্যু হয়। ঘটনার একমাস পর ৪ এপ্রিল নিহতের পুত্র এনামুল হাসান বাদী হয়ে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় আবুল বশর (৪৫), মোহাম্মদ শাহেদ (২০) দুইজনকে এজাহারনামীয় আসামি করা হয়। পরে এ মামলার ২ নম্বর আসামি মোহাম্মদ শাহেদকে পটিয়া থানা পুলিশ গ্রেপ্তার করে। বর্তমানে সে জামিনে রয়েছেন। এ ব্যাপারে বিবাদী আবুল বশর লাশের পুনঃ তদন্তের জন্য আবেদনের প্রেক্ষিতে জেলা ম্যজিস্ট্রেট গত ৭ আগস্ট লাশ উত্তোলনের জন্য নির্দেশ দেন।
এ প্রসঙ্গে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাব্বির রাহ্মান সানি জানান, ‘আদালতের নির্দেশে ময়নাতদন্তের জন্য লাশটি উত্তোলন করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য তা মর্গে পাঠানো হয়েছে।’