পটিয়ায় নিহত সেই যুবকের ঠাঁই হলো হিমঘরে

28

পটিয়া প্রতিনিধি

পটিয়ায় তেলের ভাউচার চাপায় গত রবিবার নিহত যুবককের মরদেহ হিমঘরে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। নিহতের পরিবার তাকে হিন্দু দাবি করলেও বন্ধু-সহকর্মীরা তাকে মুসলিম দাবি করেছেন।
বন্ধু-সহকর্মীদের দাবি- তিনি হিন্দু পরিবারে জন্ম নিলেও গত ২০২০ সালের ১৭ নভেম্বর হলফনামামূলে তিনি ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন। হলফনামা মোতাবেক রতন দাশ থেকে নাম পরিবর্তন করে আহমদ রাখেন। এরপর থেকে তিনি ইসলাম ধর্মীয় রীতিনীতি মেনে জীবন যাপন করছিলেন।
গত রবিবার পটিয়ার কর্মস্থল থেকে নগরীতে ফেরার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় তিনি নিহত হন। সড়ক দুর্ঘটনায় তার মৃত্যু হলে দুই পক্ষ তাকে ধর্মীয় রীতি মোতাবেক আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করতে চান। বিষয়টি হাইওয়ে পুলিশের পক্ষ থেকে পটিয়া জুড়িশিয়্যাল আদালতের বিচারকের দারস্থ হন। আদালত বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করেন এবং নিহত যুবক মৃত্যুর আগে কোন ধর্ম পালন করতেন- তা নির্ণয় করে প্রতিবেদন দেয়ার জন্য হাইওয়ে পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছেন।
পটিয়া কলেজ বাজার হাইওয়ে থানার এস আই ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ আনিস জানান, আদালত শুনানি শেষে মরদেহের আনুষ্ঠানিকতা কিভাবে হবে তা উভয় পক্ষকে বসে সমঝোতা করার আদেশ দিয়েছেন। ততদিন পর্যন্ত মরদেহ হিম ঘরে সংরক্ষিত থাকবে বলে আদেশ দেন। তবে কোনো সময় বেঁধে দেননি।
নিহতের মা মনো দাশের পক্ষে নিযুক্ত আইনজীবী সুমন শিল জানান, মায়ের আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালত মরদেহ হিমঘরে সংরক্ষণের আদেশ দিয়েছেন। সমঝোতা করার আদেশ দেননি। গাউছিয়া কমিটির ২-৩শ লোক গত রবিবার হাইওয়ে থানায় এবং গতকাল সোমবার আদালত প্রাঙ্গণে উপস্থিত ছিলেন।
গাউছিয়া কমিটির পটিয়া টিম লিড়ার মোহাম্মদ ইসহাক জানান, মৃত্যুর আগে নিহত যুবক কোন ধর্ম মানতেন এর প্রতিবেদন দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। প্রতিবেদন পাওয়ার পর এ বিষয়ে আদেশ দেবেন। সে পর্যন্ত মরদেহ হিমঘরে রাখার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত রবিবার লবণাক্ত পিচ্ছিল সড়কে ব্রেক কষতেই মোটরসাইকেল উল্টে দুই আরোহী তেলবাহী ট্রাকের নিচে গিয়ে পড়েন। ফলে গাড়িটির চাকায় পিষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলেই মৃত্যুবরণ করেন রতন প্রকাশ আহমেদ। মোটরসাইকেলের অপর যাত্রী মোহাম্মদ হাসান (২৮) গুরুতর আহত হন।