পটিয়ায় দু’জনের আত্মহত্যা

18

পটিয়ায় পৃথক এলাকায় গতকাল বুধবার দুইজনের আত্মহত্যার খবর পাওয়া গেছে। আত্মহননকারীরা হলেন কেলিশহর গুচ্ছগ্রাম এলাকায় সামশুল আলমের স্ত্রী হাজেরা বেগম (৪৫) ও বোয়ালখালী খিতাপচর এলাকার রনজিত শীলের পুত্র রিংকু শীল (৩২)। পটিয়া থানা পুলিশ লাশ দু’টি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করেছে।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, কেলিশহর গুচ্ছগ্রাম এলাকার সামশুল আলমের পরিবারে বেশ কিছুদিন ধরে পারিবারিক কলহ চলে আসছিল। গত ১২ বছর আগে সামশুল আলমের সঙ্গে হাজেরার দ্বিতীয় বিয়ে হয়। হাজেরার প্রথম সংসারে দুই পুত্র সন্তান রয়েছে। হাজেরাকে স্বামী সামশু প্রায়ই মারধর করতেন। এর জের ধরে হাজেরা বুধবার ভোরে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে জানায় পুলিশ। অপরদিকে, পটিয়া পৌরসভার মুন্সেফ বাজার এলাকায় সেলুনের দোকানে কাজ করতেন বোয়ালখালী এলাকার রিংকু শীল। তার বাড়ি বোয়ালখালী উপজেলায় হলেও সে পটিয়ায় ভাড়া বাসায় থাকতেন। সে বিভিন্ন ব্যক্তির কাছ থেকে কিস্তিতে টাকা নিয়ে তা শোধ করতে না পেরে গত বুধবার দুপুরে আত্মহত্যা করে। পরে পার্শ্ববর্তী লোকজন দেখতে পেয়ে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
পটিয়া থানার ওসি বোরহান উদ্দিন জানান, পৃথক দু’টি লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে হাজেরা ও সেলুন কর্মচারী রিংকু শীল আত্মহত্যা করেছেন। ময়না তদন্তের জন্য লাশ মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। এ ব্যাপারে থানায় পৃথক দু’টি অপমৃত্যু মামলা রেকর্ড করা হয়েছে।