পটিয়ায় দুই চোরকে গণপিটুনি শেষে পুলিশে দিল জনতা

12

পটিয়া প্রতিনিধি

পটিয়ায় দুই চোরকে ধরে পিটুনী শেষে পুলিশে দিয়েছেন স্থানীয়রা। খসরু নামের এক ব্যবসায়ীর প্রতিষ্ঠানের দোকানের তালা ভেঙে চুরি করে পালিয়ে যাওয়ার সময় তাদের আটক করা হয়। এরপর তাদের গণপিটুনী দেয়া হয়। তাদের স্বীকারোক্তি মোতাবেক চুরি করা একটি গ্যাস সিলিন্ডার উদ্ধার করা হয়। এরপর পুলিশ এসে তাদের আটক করে। গতকাল শনিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে পটিয়া পৌর সদরের ৩নং ওয়ার্ডের তালতলা চৌকি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আটককৃতরা হলেন মোহাম্মদ হাসান (২১), সে কক্সবাজার জেলা সদরের সমিতি পাড়া এলাকার মৃত নুরুল আলমের ছেলে ও রবিউল হাসান (২২), সে কক্সবাজার জেলার মহেশখালী উপজেলার কালারমার ছাড়া এলাকার শাহ আলমের ছেলে। এ ঘটনায় ব্যবসায়ী খসরু বাদী হয়ে পটিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। আটককৃতদের পুলিশ ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়েছেন।
স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর গিয়াস উদ্দিন আজাদ জানান, স্থানীয়দের হাতে ধৃত দুই চোর গত পাঁচ বছর ধরে আমার ওয়ার্ডের বিভিন্ন ঘরবাড়ি, দোকানের তালা ভেঙে চুরি করে আসছে। এমনকি গত এক সপ্তাহ আগেও আমার অফিসের লকার ভেঙে চুরির চেষ্টা চালায়। বারে বারে চুরির ঘটনায় সন্দেহজনকভাবে স্থানীয় লোকজন দুজনকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে। এক ব্যবসায়ীর দোকানের তালা ভেঙে চুরির ঘটনা দেখে চৌকিদার তাদের শনাক্ত করেন। পরে তাদের ধরে আনলে তারা উপস্থিত জনতার সামনে চুরির কথা স্বীকার করে। তারা কয়েকটি গরুর ফার্ম থেকে গরু চুরিসহ বেশ কয়েকটি চুরির ঘটনায় সম্পৃক্ত থাকার কথা জানায়।
কাউন্সিলর আজাদ আরও জানান, তারা তালতলা চৌকি এলাকায় ঘরভাড়া নিয়ে দীর্ঘ বছর যাবত বসবাস করে আসছে। এমন কোন দোকান নাই তারা চুরি করে নাই। তারা দিনের বেলায় বাসায় থাকতো না। রাতে আসত। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবসায়ী সমিতির পক্ষে পটিয়া থানায় আগে থেকে জিডি করা ছিল।
পটিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রেজাউল করিম মজুমদার বলেন, পটিয়া পৌর সদরের বিভিন্ন দোকানপাট, বাসাবাড়িতে চুরিতে জড়িত দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। স্থানীয় এক ব্যবসায়ী এ ঘটনায় মামলা দায়ের করেছেন। আহত দুই চোরকে পটিয়া হাসপাতালে নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়।