পটিয়ায় ছেলেধরা সন্দেহে পিটুনি খেল চোর

40

পটিয়ায় ছেলেধরা সন্দেহে শুক্রবার রাতে মাসুদ (৩৮) নামে এক যুবককে আটক করে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেছে জনতা। পরে পুলিশ তদন্ত করে জানতে পারে তিনি ছেলে ধরা নন, একজন পেশাদর চোর। গত শুক্রবার গভীর রাতে চুরি করতে গিয়ে ধরা পড়েন তিনি। কিন্তু লোকজন তাকে ছেলেধরা বলে গণপিটুনি দেয়।
পটিয়া থানা পুলিশ জানান, প্রাথমিক তদন্তে চুরির সাথে তার সংশ্লিষ্টতা পাওয়ার পর চুরির অভিযোগে মামলায় কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। মাসুদ নেত্রকোনা জেলার আটপাড়া গ্রামের আবু সিদ্দিকের ছেলে। গত শুক্রবার রাত পৌনে ১২টায় চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের নতুন বাইপাস সড়কের পটিয়া ভাটিখাইন ইউনিয়ন সড়ক এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, শুক্রবার রাত সাড়ে ১১ টার দিকে ওই যুবক এলাকায় আসেন। পরে মহাসড়কের নতুন বাইপাসের সাথে লাগানো নাথপাড়া গ্রামে ঢুকেন। এ সময় গ্রামের প্রদীপ নাথের পুত্র অর্ক নাথ ঘরের বাইরে বের হলে তাকে দেখতে পায়। অর্ক স্থানীয় পাইকপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৪র্থ শ্রেণির ছাত্র। অর্ক অপরিচিত লোকটিকে দেখে ভয়ে ঘরে ঢুকে যায়। বিষয়টি তার পরিবারের সদস্যদের জানালে তারা আশপাশের লোকজনকে ছেলেধরা এসেছে বলে খবর দেন। লোকজন আসা শুরু করলে লোকটি গ্রামের নির্জন অন্ধকারের একটি টয়লেটে লুকিয়ে যায়।
স্থানীয় লোকজন তাকে সেখান থেকে ধরে আনার পর এলাকায় আসার কারণ জানতে চান। কিন্তু তার কাছ থেকে সঠিক উত্তর মেলেনি এবং তিনি পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। এতে স্থানীয় লোকজনের সন্দেহ আরও বাড়ে গেলে উপস্থিত লোকজন তাকে গণপিটুনি দেন।
পরে খবর পেয়ে পটিয়া থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে উত্তেজিত জনতার হাত থেকে ওই যুবককে উদ্ধার করেন। পরে তাকে পটিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়।
পটিয়া থানার ওসি বোরহান উদ্দিন জানান, তারা খবর পেয়ে বাইপাস এলাকায় যান। গিয়ে দেখেন, ছেলেধরা সন্দেহে এক ব্যক্তিকে জনতা পিটুনি দিচ্ছে। তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়। তবে সে ছেলেধরা নয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে বিভিন্ন চুরির সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। শুক্রবার রাতে ওই এলাকায় চুরি করার জন্য গিয়েছিল। আহত চোরকে চিকিৎসা শেষে চুরির মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।