পটিয়ায় কয়েকদিনে জ্বলেছে কয়েকজন নৌকা প্রার্থীর ক্যাম্প

16

পটিয়া প্রতিনিধি

পটিয়ায় মাত্র দু’দিন পরেই অনুষ্ঠিত হবে ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচন। নির্বাচন ঘনিয়ে আসার সাথে সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে সংঘাতও। গত কয়েক দিনে বিভিন্ন ইউনিয়নে দুর্বৃত্তদের দেয়া আগুনে পুড়েছে নির্বাচনী ক্যাম্প। পুড়ে যাওয়া সবগুলো ক্যাম্পই আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থীদের। ক্যাম্প জ্বালিয়ে দেয়ার ঘটনায় ছনহরা ও কাশিয়াইশে ইতোমধ্যে দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
কয়েকটি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান প্রার্থীরা সংবাদ সম্মেলন করেছেন। তারা ভোটের দিন নিরাপত্তা জোরদার এবং সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবি জানিয়েছেন। সর্বশেষ গত বুধবার রাতে শাহগদী মার্কেট এলাকায় জঙ্গলখাইন ইউনিয়নের নৌকার প্রার্থী গাজী ইদ্রিসের নির্বাচনী ক্যাম্প জ্বালিয়ে দেয়া হয়েছে। একই দিন রাতে গ্রেপ্তার করা হয়েছে হাবিলাসদ্বীপে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী শফিকুল ইসলামের প্রস্তাবকারী মমতাজুল ইসলামকে। তাকে কাশিয়াইশে সংঘর্ষের ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় চালান দেয়া হয়েছে।
জানা যায়, উপজেলার কাশিয়াইশ, খরনা, হাবিলাসদ্বীপ, জঙ্গলখাইন ইউনিয়নে দুর্বৃত্তরা জ্বালিয়ে দিয়েছে একাধিক নৌকা প্রতীকের নির্বাচনী ক্যাম্প। গত ২১ ডিসেম্বর কাশিয়াইশে বড় ধরনের সংঘাতের ঘটনা ঘটেছে। ওই ঘটনায় সেনা বাহিনীর ল্যান্স কর্পোরাল রাসেলসহ উভয় পক্ষের কয়েকজন আহত হন। এর আগে হাবিলাসদ্বীপ ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী শফিকুল ইসলামের সমর্থককে মারধর ও সর্বশেষ নির্বাচনী ক্যাম্প থেকে গত বুধবার সন্ধ্যায় তার প্রস্তাবক মমতাজুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তাকে সন্দেহভাজন আসামি হিসেবে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে হাবিলদ্বীপ ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থীর দায়ের করা মামলায়। ওই ঘটনায় শফিকুল ইসলাম নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশের স্বার্থে তার প্রস্তাবককে মুক্তি ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের আহবান জানিয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার জেলা প্রশাসকের কাছে আবেদন করেছেন।
জানা গেছে, গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে কোলাগাঁও ইউনিয়নের স্বতন্ত্র প্রার্থী আবুল কাসেম রাসেল সাংবাদিক সম্মেলনের আয়োজন করেন। এতে তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী মাহবুবুল হকের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন। তিনি বলেন, প্রতিপক্ষ কেন্দ্র দখলের পাঁয়তারা করছেন। সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবি তার।
এদিকে গত ২০ ডিসেম্বর রাতে ছনহরা ইউনিয়নে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী সামশুল আলমের নির্বাচনী ক্যাম্পে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনার জন্য বিএনপি নেতা আবদুর রশিদ দৌলতীকে দায়ী করা হয়। ওই ঘটনায় মামুনুর রশিদ রাসেল বাদি হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন। আবদুর রশিদ দৌলতি ২১ ডিসেম্বর বিকালে সংবাদ সম্মেলনে নির্বাচনের মাঠ থেকে তাকে দূরে সরিয়ে দেয়ার জন্যই তারা ঘটনা ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন।
পটিয়া থানার ওসি রেজাউল করিম মজুমদার জানান, যেসব ইউনিয়নে অগ্নিসংযোগসহ নানা ধরনের অপরাধের ঘটনা ঘটেছে, সেসব ইউনিয়নে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েনের সিদ্ধান্ত হয়েছে। নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ যাতে বিঘিœত না হয় সে জন্য সর্বোচ্চ সতর্কাবস্থায় রয়েছে পুলিশ।