পটিয়ায় অপহৃত চালক উদ্ধার দুই অপহরণকারী গ্রেপ্তার

21

পটিয়ায় অপহৃত পরিবহন চালক ইমতিয়াজ হোসাইন টিটুকে (২৪) উদ্ধার করেছে পটিয়া থানা পুলিশ। এসময় দুই অপহরণকারীকেও গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয় থানা পুলিশ। গত শনিবার ওই বাস চালককে অপহরণের পর তার পরিবারের তাছে ৩ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে অপহরণকারী চক্রটি। ওই ঘটনায় অপহৃত ব্যক্তির স্ত্রী জুলি আকতার বাদি পটিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় গত রবিবার রাতে অপহরণের শিকার টিটুকে উদ্ধার করতে সক্ষম হয় পুলিশ।
গতকাল সোমবার দুপুরে আসামিদের আদালতে নেয়া হলে বিচারক তাদের কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন। অপহরণকারী দুই আসামি হলেন উপজেলার কুসুমপুরা ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের মৃত সামছুল আলমের ছেলে আলমগীর হোসেন (৪৫) এবং সিলেট জেলার বালাগঞ্জ উপজেলার মৃত টুনু মিয়ার ছেলে আলী আহম্মদ (৩৮)। তিনি বর্তমানে উপজেলার কুসুমপুরা ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডে শ্বশুর মাহবুব আলমের বাড়িতে বসবাস করছিলেন।
মামলার অভিযোগসূত্রে জানা গেছে, গত শনিবার সন্ধ্যায় আনোয়ারা উপজেলার কেইপিজেডস্থ ইয়াং ওয়ান গার্মেন্টস শ্রমিকদের ছুটি শেষে চালক ইমতিয়াজ হোসাইন টিটু গার্মেন্টস শ্রমিকদের নিয়ে তার মিনিবাসে করে ইয়াং ওয়ান গার্মেন্টস থেকে পটিয়া উপজেলার মনসার উদ্দেশ্যে রওনা করেন। সন্ধ্যা ৭ টার দিকে পটিয়া উপজেলার কুসুমপুরা ইউনিয়নের শান্তিরহাটস্থ মীর সুপার মার্কেটের সামনে থেকে তাকে অপহরণ করে নিয়ে যায় অভিযুক্ত দুই অপহরণকারী। পরে তারা অপহৃতের পরিবারের কাছে মোবাইল ফোনে ৩ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। অপহৃতের পরিবার বিষয়টি থানাকে অবগত করলে গত রবিবার রাতে উপজেলার শান্তিরহাটের মসজিদ মার্কেটের ৪র্থ তলায় অভিযান চালিয়ে একটি কক্ষ থেকে অবরুদ্ধ অবস্থায় অপহৃতকে উদ্ধার করা হয়। এসময় মুক্তিপণ দাবি করা আলমগীর হোসেন ও আলী আহম্মদকেও গ্রেপ্তার করা হয়।
পটিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বোরহান উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ‘গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। তাদেরকে আদালতে নেয়া হলে সেখানে তারা ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দেয়। এরপর তাদের কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন আদালতের বিচারক। অন্যান্য আসামিদেরও গ্রেপ্তার করতে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।