পটিয়ার বরলিয়ায় দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত ৬

17

পটিয়ার বরলিয়ায় আ.লীগ নেতার সাথে ইউপি মেম্বারের সংঘর্ষে উভয় পক্ষের ৬ জন আহত হয়েছে। সংঘর্ষের ঘটনায় আ.লীগ নেতা ও ইউপি মেম্বারসহ আহত ৬ জন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা নিয়েছেন। উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ মোরশেদ উল্লাহ ও তার পরিবার, বড়লিয়া ইউনিয়ন ৫নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য এবং উপজেলা মেম্বার সমিতির সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ জাবেদ সরোয়ারের মধ্যে এ ঘটনা ঘটে। উপজেলার বড়লিয়া ইউনিয়নের পূর্ব বাড়ৈইকাড়া গ্রামে সম্প্রতি দুপুরে এ সংঘর্ষের ঘটনায় সৈয়দ মোরশেদ উল্লাহ্ ও ইউপি সদস্য সৈয়দ জাবেদ সরোয়ারের ভাই সৈয়দ জাহেদ সরোয়ার বাদি হয়ে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ দায়ের করেন। উভয় পক্ষের সংঘর্ষে আহতরা হলেন- সৈয়দ মোরশেদ উল্লাহ্, সৈয়দ শোয়েব উল্লাহ্, সৈয়দ এরশাদ উল্লাহ্, সৈয়দ জাবেদ সরোয়ার, সৈয়দ জাহেদ সরোয়ার, সৈয়দ মোহাম্মদ উল্লাহ। সূত্রে জানা যায়, সামাজিক পুকুরের মাটি স্কেভেটর দিয়ে কেটে পাড় ভরাট করার কথা থাকলেও তা না করে ইউপি সদস্য জাবেদ সরোয়ার ট্রাক করে রাতের আধাঁরে বাইরে বিক্রি করার অভিযোগ উঠে। সংবাদ পেয়ে পুলিশ দুই দফায় ঘটনাস্থল থেকে স্কেভেটরের ব্যাটারি খুলে নিয়ে আসে। এরই জের ধরে দুই পক্ষের মাঝে বিরোধ ও হামলা এবং মারামারির ঘটনা ঘটে। ইউপি সদস্য জাবেদ সরোয়ার জানান, তাদের পারিবারিক সমস্য নিয়ে আমাকে বিচার করতে ডাকেন। এ নিয়ে এক বৈঠকে তর্কাতর্কির এক পর্যায়ে তারা আমার উপর ও আমার পরিবারের উপর হামলা চালিয়ে আমাদের আহত করে। এদিকে এ ঘটনায় জাবেদ সরোয়ার উপর হামলার প্রতিবাদ ও বিচারের দাবিতে উপজেলা মেম্বার সমিতির পক্ষ থেকে সম্প্রতি এক সংবাদ সম্মেলন করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সমিতির সভাপতি শহিদুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম, ইউপি মেম্বার জসিম উদ্দিন, মোহাম্মদ নুরুল ইসলাম, টিপু দেব, হামিদুল হক ডানু, নাছিমা আকতার, নার্গিস আকতার, জেসমিন আকতার প্রমুখ। অপরদিকে পৃথক সংবাদ সম্মেলনে সৈয়দ মোরশেদ উল্লাহ তার পরিবারের উপর ষড়যন্ত্রমূলকভাবে হামলার ঘটনার বিচার দাবি করেন। তিনি জানান, ঘটনার পর প্রতিপক্ষ সংঘবদ্ধভাবে তাদের ঘরে কাচারী ঘরে রক্ষিত প্রায় আড়াই লক্ষ টাকার নির্মাণ সামগ্রী লুট করে নিয়ে যায়। সম্প্রতি সংবাদ সম্মেলনে লিখিত অভিযোগ পাঠ করেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ মোরশেদ উল্লাহ ও তার পরিবারের সদস্যরা। এসময় উপস্থিত ছিলেন, সৈয়দ শোয়েব উল্লাহ, সৈয়দ এরশাদ উল্লাহ, শহিদুল ইসলাম, মোহাম্মদ করিম, জুয়েল প্রমুখ। এ বিষয়ে জানতে চাইলে পটিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ রেজাউল করিম মজুমদার জানান, দুই পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তাদের মধ্যে হয়তো দীর্ঘদিনের বিরোধ থাকতে পারে। বিষয়টি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।