পটিয়ার নতুন থানাহাটে নির্মাণ হচ্ছে আধুনিক ওয়েট মার্কেট

21

পটিয়া পৌর এলাকায় নির্মাণ হচ্ছে বিদেশি স্টাইলে আধুনিক ওয়েট মার্কেট। সে লক্ষে সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের জন্য গত ১২ জুন পটিয়া পৌরসভার মেয়র আইউব বাবুল ও প্রাণি সম্পদ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা ডা. সুব্রত সরকারের যৌথ নেতৃত্বে একটি টিম তিনটি হাট পরিদর্শন করেছেন। তৈরি হকে অত্যাধুনিক কসাইখানা। তবে এ কসাইখানার জন্য এখনো স্থান নির্ধারণ করা হয় নি। তবে আগামী ১৫ দিনের মধ্যে স্থান নির্ধারণ করা হবে বলে জানিয়েছেন পৌর কর্তৃপক্ষ। পরিদর্শন শেষে পটিয়া পৌরসভার পক্ষ থেকে লিখিত আকারে প্রস্তাব যাবে প্রাণি সম্পদ অধিদপ্তরের কাছে। এরপর উচ্চ পর্যায়ের একটি টিম সরেজমিন পরিদর্শন শেষে ব্যবস্থা নেবেন বলে জানানো হয়েছে। এ লক্ষে গত ১০ জুন পটিয়া পৌরসভার মেয়র ও প্রাণি সম্পদ অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের সাথে প্রাথমিক আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভা সিদ্ধান্ত মোতাবেক গত ১২ জুন থানাহাট পরির্দশন করা হয়েছে। প্রাণি সম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় প্রাণি সম্পদ অধিদপ্তর আধুনিক কসাইখানা ও ওয়েট মার্কেট নির্মাণের কথা রয়েছে। এদিকে পটিয়া পৌর এলাকার ৪টি গুরুত্বপূর্ণ সড়কের ফুটপপাত থেকে মুক্ত করা হচ্ছে হকার। তাদের বসানোর জন্য স্থান দেয়া হয়েছে নতুন থানাহাটের পাশে। গতকাল থেকে হকাররা সেচ্ছ্বায় সেখানে চলে যাওয়ার অঙ্গীকার করেছেন। এরপরও তারা ফুটপাত দখল করে রাখলে ্ইানগত ব্যবস্থা নেয়ার হুশিয়ারী দিয়েছেন মেয়র আইউব বাবুল। গত ১০ জুন সভায় উপস্থিত ছিলেন পটিয়া পৌরসভার মেয়র আইউব বাবুল, প্রাণি সম্পদ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা ডা. সুব্রত সরকার, পটিয়া পৌরসভার সচিব নেজামুল হক, ইঞ্জিনিয়ার মিজানুর রহমান খোন্দকার, মোহাম্মদ শাহজাহান, হিসাব রক্ষক গোলাম মোহাম্মদ প্রমুখ। গতকাল সরেজমিন পরিদর্শনকালে উল্লেখিত ব্যক্তিবর্গ ছাড়াও ৯ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর শেখ সাইফুল ইসলাম ও ২ নম্বরয়োর্ড কাউন্সিলর রুপক কুমার সেন উপপস্থিত ছিলেন। অলোচনা সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক পৌর এলাকার ৩টি হাটের মধ্যে যেকোন একটিতে বা সুবিধাজনক স্থানে আধুনিক মানের কসাইখানা করা হবে। তবে এ জন্য প্রায় ৩০ শতক জমি প্রয়োজন হবে। এছাড়া এসব নতুন থানাহাটে আধুনিক মানের ওয়েট মার্কেট নির্মাণের জন্যও প্রস্তাবনা দেয়া হবে। সে লক্ষে গত ১২ জুন পটিয়ার পৌরসভা ও প্রাণি সম্পদ অধিদপ্তরের যৌথ টিম পৌরহাট সরেজমিন পরিদর্শন করবেন। এরপর তারা কিভাবে এবং কোন হাটে কি পরিমাণ মার্কেট নির্মাণ করা যায় সে সিদ্ধান্ত নেবেন। এছাড়া আধুনিক কসাইখানা নির্মাণের জন্য ৩০ শতক জমির সংস্থান কিভাবে এবং কোথায় করা যায় তা নিয়েও আলোচনা হবে পৌর পরিষদের মাসিক সভায়। এরপর গৃহিত সিদ্ধান্ত মোতাবেক পটিয়া পৌরসভা থেকে আনুষ্ঠানিক প্রস্তাবনা প্রেরণ করা হবে প্রাণি সম্পদ অধিদপ্তরে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পটিয়া পৌরসভার মেয়র আই্উব বাবুল। তিনি জানান, পৌরবাসীর সেবার মানোন্নয়নের জন্য তিনি যতদিন দায়িত্বে আছেন কাজ করে যাবেন। এদিকে পটিয়া পৌর সদরের সড়কগুলো হকারের কারণে প্রতিনিয়ত যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে।
এসব সড়ক দিয়ে হাটা চলাও দায় হয়ে দাড়িয়েছে। এমতাবস্থায় পটিয়া পৌরবাসীর রাভিশ্বাস উঠেছে। এর ফলে পটিয়া পৌরসভার মেয়র আইউব বাবুল প্রধান সড়কগুলো হকারমুক্ত করতে উদ্যোগ নেন। এরই ফলশ্রুতিতে হকারদের সাথে আলোচনা করে তাদের জন্য নতুন থানাহাটের পাশে স্থান নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছে। এখন থেকে হকাররা সেখানে সেচ্ছ্বায় চলে যাবেন। এছাড়া প্রধান সড়কগুলোতে মোটরসাইকেল পার্কিং করা যাবে না। এর পরিবর্তে থানা হাটের সম্মুখে পার্কিংয়ের জন্য স্থান নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পৌরসভার মেয়র।