পটিয়ার ধলঘাটে বাজারের পশ্চিম পাশে মন্দির নির্মাণের দাবি

460

পটিয়ার ধলঘাট ক্যাম্পবাজার এলাকায় বাজারের পশ্চিম পাশে মন্দির নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী। সৌন্দর্য্য এবং অন্যান্য ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠান সুষ্ঠুভাবে পালন ও যানজট মুক্ত রাখতে এ দাবি জানানো হয়। সে লক্ষে মন্দির পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও ধলঘাট ইউপি চেয়ারম্যানকে একটি স্মারকলিপি দেয়া হয়েছে। স্মারকলিপিতে বলা হয় জমির পশ্চিম পাশে মন্দির নির্মাণ করা হলে জনসমাগম ও বিভিন্ন পরিবহনের স্টেশনের যানজট এবং মন্দিরের পবিত্রতা বিনষ্ট হবে না। এসব বিষয় উল্লেখ করে গত বৃহস্পতিবার প্রায় ২ শতাধিক এলাকাবাসী ধলঘাট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও মন্দির নির্মাণ কমিটির সভাপতি চেয়ারম্যান রনধীর ঘোষকে একটি স্মারকলিপি প্রদান করেন।
চেয়ারম্যান স্মারকলিপি গ্রহণ করে বিবেচনার আশ্বাস দিয়েছেন। চেয়ারম্যানের কাছে স্থানীয় বাসিন্দা ও ইউপি সদস্য মাসুদ রানা, সাবেক ইউপি সদস্য শফিকুল ইসলাম, সমাজকর্মী ফরিদুল আলম, নিজাম উদ্দিন, আবুল কালাম, নাছির উদ্দিন, জাফর আহমদ, জাহিদুল আলমসহ স্থানীয় নিভিন্ন ব্যক্তিগর্বসহ শতাধিক জনসাধারণ এ স্মারকলিপিকে স্বাক্ষর করেন। স্থানীয়রা জানান, ধলঘাট ক্যাম্প বাজারস্থ রাস্তার পাশে একটি জামে মসজিদ, ট্যাক্সি ও টেম্প স্টেশন এবং নিয়মিত বাজার বসে।
পটিয়া ও বোয়ালখালীর প্রধান এ সড়কের কাছাকাছি নতুন করে রাস্তার সাথে মন্দির নির্মাণ করা হলে তাতে ধর্মীয় সম্প্রীতি বিনষ্ট এবং যানজট হতে পারে। চেয়ারম্যানের কাছে লিখিত আবেদনে স্থানীয়রা বলেন, বিপুল পরিমাণ মন্দিরের সম্পত্তির উপর এক পাশে তথা মাঠের পশ্চিম পাশে মন্দির নির্মাণ করা হলে সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় থাকবে। এর ফলে যানজট নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে না।
পাশপাশি মসজিদ থেকে কিছুটা দুরত্ব বাড়বে। এর ফলে সম্প্রীতি বিনষ্ট হবে না। ধলঘাট ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ও মন্দির নির্মাণ কমিটির সভাপতি রনধির ঘোষ স্মারকলিপি পাওয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, এ জমি হারাধন দাশ গংয়ের। তারা প্রায় ৩৫ শতক জমি শ্বশানের জন্য প্রদান করেন। সেই জমিতে প্রতি বছর দুর্গা উৎসব পালিত হয়। এ জমি নিয়ে দায়েরকৃত মামলায় তাদের পক্ষের আদালত রায় প্রদান করেন। বর্তমান মন্দির কমিটি কর্তৃক সে জমিতে দুর্গা মন্দির নির্মাণের প্রস্তাব করা হয়। সে লক্ষে নির্মাণ সামগ্রী আনা হয়।
স্থনীয় লোকজন চৌমুহনি এলাকায় রাস্তার কাছাকাছি মন্দির নাম করে জমি পশ্চিম পাশে করার দাবি জানান। এ প্রেক্ষিতে এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও মন্দির কমিটির নেতৃবৃন্দকে নিয়ে বৈঠক করে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের প্রয়োজনে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।