নৌকা বিজয়ী হলে সমৃদ্ধ হবে চট্টগ্রাম

67

প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ও আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া বলেছেন, নৌকা প্রতীকের প্রার্থী জয়ী হলে চট্টগ্রাম নগরী হবে সমৃদ্ধ। আধুনিক নগরী হবে চট্টগ্রাম। চট্টগ্রামে শেখ হাসিনা অনেক প্রকল্প বাস্তবায়ন করছেন। এতে কানেকটিভিটি বাড়লে, বন্দরের সক্ষমতা বাড়লে, ব্যবসায়ীদের স্বপ্ন পূরণ হবে। মেয়র প্রার্থী রেজাউল করিম চৌধুরী একজন সৎ রাজনীতিক। আগামী ২৭ জানুয়ারি চসিক নির্বাচনে নৌকা প্রতীককে বিজয়ী করতে হবে।
গতকাল শনিবার আগ্রাবাদ ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারে মেয়র প্রার্থী রেজাউল করিম চৌধুরীর সঙ্গে ব্যবসায়ীদের মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, চট্টগ্রামে বঙ্গবন্ধু কন্যার অনেক ব্যক্তিগত স্মৃতি আছে। গণভবনের আঙিনায় লাগিয়েছেন চট্টগ্রামের হাটহাজারীর মরিচের চারা। চসিক নির্বাচনে সরকার পরিবর্তন হবে না। কিন্তু রেজাউল ভাইকে জয়ী করতে পারলে শেখ হাসিনার কাছে আমাদের মুখ উজ্জ্বল হবে। প্রধানমন্ত্রী চট্টগ্রাম বন্দরের উন্নয়ন করছেন, বে টার্মিনাল করছেন। বঙ্গবন্ধু শিল্পনগরে ১৫ লাখ মানুষের কর্মসংস্থান হবে।
সম্মিলিত ব্যবসায়ী পরিষদ চট্টগ্রাম’র ব্যানারে আয়োজিত সভায় সভাপতিত্ব করেন চিটাগাং চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (সিসিসিআই) সভাপতি ও পরিষদের আহŸায়ক মাহবুবুল আলম।
এতে মেয়র প্রার্থী রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, চট্টগ্রাম ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রাণ কেন্দ্র ছিল উপনিবেশিক আমলে। সেই গৌরব আমরা হারিয়েছি। এ চট্টগ্রাম সমৃদ্ধ হলে সমগ্র দেশ সমৃদ্ধ হবে। মহাত্মা গান্ধি বলেছিলেন, চট্টগ্রাম সর্বাগ্রে। জননেত্রী শেখ হাসিনা চট্টগ্রামের প্রতি আন্তরিক। সবার পরামর্শ ও মেধাকে কাজে লাগাতে চাই চট্টগ্রামের টেকসই উন্নয়নের জন্য।
নগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যার নেতৃত্বে ব্যবসায়ীদের পরিশ্রম ও মেধায় দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। দেশপ্রেমিক মুক্তিযোদ্ধা রেজাউলের জন্য শহীদ পরিবারের সন্তান হিসেবে আমি ভোট ভিক্ষা করছি।
নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন ব্যবসায়ীদের উদ্দেশে বলেন, চট্টগ্রাম এগিয়ে যাওয়া মানে, বাংলাদেশ এগিয়ে যাওয়া৷ চট্টগ্রাম অনেকাংশে ঢাকার চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ। এ মানসিকতা লালন করলে সবার প্রত্যাশা পূরণ সময়ের ব্যাপার মাত্র। নাগরিক হিসেবে সঠিক দায়িত্ব পালন করলে মেয়রের কাছ থেকে সেবা পাবেন। এ নগরের প্রতি আমার আলাদা টান আছে। প্রধানমন্ত্রী আপ্রাণ চেষ্টা করছেন এ শহরের উন্নয়নের জন্য। সেবা সংস্থাগুলোর সমন্বয় নিশ্চিত হলে পরিকল্পিত, টেকসই উন্নয়নের সুফল মিলবে।
চিটাগাং চেম্বার সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেন, সরকারের সফলতা ও উন্নয়নের ধারাবাহিকতা রক্ষায় রেজাউল করিম চৌধুরীকে বিজয়ী করার কোন বিকল্প নেই। আমরা জয় রেজাউলকে নয়, প্রধানমন্ত্রীকে উপহার দেব। আমি বিশ্বাস করি চট্টগ্রামের ব্যবসায়ীরা সোচ্চার, সচেতন। তারা প্রধানমন্ত্রী যাকে মেয়র পদে মনোনয়ন দিয়েছেন তাকে জয়ী করবেন। প্রধানমন্ত্রী চট্টগ্রামের দায়িত্ব নিয়েছেন। তিনি কথা রেখেছেন। টানেল, বঙ্গবন্ধু শিল্পনগরসহ চট্টগ্রামে চারটি স্পেশাল ইকোনমিক জোন হচ্ছে চট্টগ্রামে। মাতারবাড়িতে সমুদ্রবন্দরসহ এনার্জি হাব হচ্ছে। জলাবদ্ধতা নিরসনে মেগা প্রকল্পের কাজ চলছে। সব মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে চট্টগ্রাম হবে দক্ষিণ এশিয়ার বাণিজ্যিক হাব।
শেখ মোহাম্মদ তানভীরের সঞ্চালনায় সভায় বক্তব্য আরও রাখেন চেম্বারের পরিচালক এসএম আবু তৈয়ব, অহীদ সিরাজ চৌধুরী স্বপন, সাবেক পরিচালক মাহফুজুল হক শাহ, চট্টগ্রাম উইম্যান চেম্বারের আবিদা মোস্তফা, সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের যুগ্ম সম্পাদক কাজী মাহমুদ ইমাস বিলু, দোকান মালিক সমিতির সভাপতি সালামত আলী, সালেহ আমদ সোলেমান, নেছার আহমদ, তাসকিন আহমেদ, মোস্তাক আহমদ চৌধুরী, মো. শাহাবউদ্দিন, মুহাম্মদ জামাল হোসেন, আনোয়ার হোসেন খান, চৌধুরী জাফর আহমদ, রেখা আলম চৌধুরী প্রমুখ।