নৌকার মাঝিরা পেলেন তথ্যমন্ত্রীর কম্বল

13

সঞ্জয় দাশের বয়স ৬০। রাঙ্গুনিয়া উপজেলার চন্দ্রঘোনা-কদমতলী ইউনিয়নের বুইজ্জার দোকান এলাকায় বাড়ি। গতকাল বুধবার সকাল ১১টার দিকে বুইজ্জার দোকান কর্ণফুলী নদীর দেওয়ানজীহাট খেয়াঘাটে বসে যাত্রীর জন্য অপেক্ষা করছিলেন। এ সময় তথ্যমন্ত্রীর পারিবারিক দাতব্য প্রতিষ্ঠান এনএনকে ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তারা ঘাটে হাজির হয়ে তাকে একটি উন্নতমানের কম্বল উপহার দেন।
আচমকা কম্বল হাতে পেয়ে স্মৃতি থেকে বের করে বলেন, তারাই তো গেল করোনার সময় চাল, ডাল, তেল ও লবণ দিছিল, এবার কম্বল দিল। আমার কি যে ভাল লাগছে, বোঝাতে পারবো না।
শুধু সঞ্জয় দাশকেই নয়, তার মতো দেওয়ানজীহাট খেয়াঘাট ও চন্দ্রঘোনা ফেরিঘাট এলাকার শতাধিক নৌকার মাঝিকে এদিন তথ্যমন্ত্রীর পারিবারিক
দাতব্য প্রতিষ্ঠান এনএনকে ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে কম্বল উপহার দেয়া হয়। কনকনে শীতের সময় কম্বল হাতে পেয়ে তাদের মুখে দেখা গেছে হাসির ঝিলিক। এভাবে নিয়মিত পাশে থাকার জন্য তথ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান তারা।
এদিন কম্বল বিতরণকালে উপস্থিত ছিলেন এনএনকে ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তা আবদুর রউফ মাস্টার, এনামুল হক, চন্দ্রঘোনা ইউনিয়নের সভাপতি এম আবু নাসের, আওয়ামী লীগ নেতা মো. হারুন, মো. ফোরকান, যুবলীগ নেতা মো. সোহেল, ছাত্রলীগ নেতা মো. আলী শাহ প্রমুখ।
একইদিন হোসনাবাদ ইউনিয়নেও এনএনকে ফাউন্ডেশনের কম্বল বিতরণ করা হয়। এ সময় আওয়ামী লীগ নেতা অসীম বরণ সুশীল, মো. আলমগীরসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, রাঙ্গুনিয়ার প্রতিটি ইউনিয়নের পাশাপাশি চট্টগ্রামের বিভিন্ন এলাকাতে শীতার্তদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করে চলেছে এনএনকে ফাউন্ডেশন। এ পর্যন্ত প্রায় ১০ হাজারেরও বেশি শীতবস্ত্র দেয়া হয়েছে। এই ধারা অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন দাতব্য প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তারা। বিজ্ঞপ্তি