নোয়াখালীতে বিএনপি প্রার্থী গুলিবিদ্ধ

83

নোয়াখালীর সোনাইমুড়িতে বিএনপির যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার এএম মাহবুব উদ্দিন খোকন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। শনিবার বিকালে সোনাইমুড়ি বাজারে নোয়াখালী-১ (চাটখিল ও সোনাইমুড়ি আংশিক) আসনের বিএনপি ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের এই প্রার্থী গুলিবিদ্ধ হন। তাকে নোয়াখালী জেলারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। নোয়াখালীর পুলিশ সুপার ইলিয়াস শরীফ এ খবর নিশ্চিত করেন।
এ ঘটনায় আরও ৩ জন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। তারা হলেন-মাহবুব উদ্দিন খোকনের ব্যক্তিগত সহকারী বেগমগঞ্জ উপজেলার মিরওয়ারিশপুরের তাজুল ইসলামের ছেলে ইকবাল হেসেন রুবেল (৩৫), সোনাইমুড়ি উপজেলার নদনা ইউনিয়নের আবুল কাশেমের ছেলে মো. সোহেল (৩০) এবং একই উপজেলার সোনাইমুড়ি পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ডের ভানুয়াই গ্রামের আনোয়ার হেসেনের ছেলে আলাউদ্দিন রাজু (২৭)। তারাও নোয়াখালী জেলারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। খবর বাংলা ট্রিবিউনের
কর্তব্যরত চিকিৎসক ফজলে রাব্বানী বলেন, ‘এএম মাহবুব উদ্দিন খোকনের পিঠে ৬টি ছররা (ছিটা) গুলি লেগেছে, সোহেলের ঘাড়ে লেগেছে দুইটি এবং রুবেলের পায়ে লেগেছে একটি। আহতদের শরীরে ছররা (ছিটা) গুলি রয়েছে কিনা তা পরীক্ষার জন্য এক্স-রে করা হয়েছে।’
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিকাল সাড়ে ৪টায় দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে সোনাইমুড়ি বাজারে নির্বাচনি লিফলেট বিলির সময় ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকনের সঙ্গে নৌকা প্রার্থীর সমর্থকদের কথা কাটাকাটি হয়। এরই জের ধরে দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও একপর্যায়ে সংঘর্ষ শুরু হয়। এসময় ভাঙচুরের ঘটনাও ঘটে। পরে খবর পেয়ে সোনাইমুড়ি থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য কয়েক রাউন্ড শর্টগানের গুলি ছোড়ে। এসময় ওই ৪ জন আহত হন।
ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেন, ‘সোনাইমুড়ি থানার পুলিশের উপস্থিতিতে নৌকা প্রার্থীর সমর্থকেরা আমাদের ওপর হামলা চালায় এবং আমাদের লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে।’
পুলিশ সুপার ইলিয়াছ শরীফ বলেন, ‘পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য ফাঁকা গুলি ছোড়ে পুলিশ। কাউকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ার ঘটনা ঘটেনি।’